বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে বজ্রপাত ঘটে?
A
ট্রপোমণ্ডল (Troposphere)
B
স্ট্রাটোমণ্ডল (Stratosphere)
C
মেসোমণ্ডল (Mesosphere)
D
তাপমণ্ডল (Troposphere)
উত্তরের বিবরণ
ট্রপোস্ফিয়ার এবং এর বৈশিষ্ট্য
বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তরকে ট্রপোস্ফিয়ার বলা হয়। এখানে তাপীয় মিশ্রণ মুক্তভাবে ঘটে এবং দৈনন্দিন আবহাওয়ার সব ধরনের পরিবর্তন যেমন ঝড়, বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতও ঘটে।
-
শব্দের উৎস: ট্রপোস্ফিয়ার নামটি গ্রিক শব্দ “ট্রপো (Tropo)” থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো “পরিবর্তন”।
-
গঠন: এই স্তরে প্রায় ৭৮% নাইট্রোজেন, ২১% অক্সিজেন এবং ১% আর্গন, জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে।
-
উর্ধ্বসীমা: ট্রপোস্ফিয়ারের উপরের সীমাকে ট্রপোপজ বলা হয়। এই স্তরে বায়ুর উষ্ণতা প্রায় একরকম থাকে, তাই এটিকে সমতাপ অঞ্চলও বলা হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
মানবদেহে শক্তি উৎপাদনের প্রধান উৎস-
Created: 1 month ago
A
পরিপাক
B
খাদ্য গ্রহণ
C
শ্বসন
D
রক্ত সংবহন
শ্বসন
শ্বসন হলো সেই প্রক্রিয়া যেখানে জটিল খাদ্যদ্রব্য যেমন শর্করা, প্রোটিন, এবং চর্বি এনজাইমের সাহায্যে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে ভেঙ্গে সহজ যৌগে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়ার সময় কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂) ও পানি (H₂O) উৎপন্ন হয়।
শ্বসনের মাধ্যমে যে শক্তি তৈরি হয়, তা জীবের বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। তাই মানবদেহে শক্তি উৎপাদনের মূল উৎস হলো শ্বসন।
শ্বসন প্রধানত কোষের মাইটোকন্ড্রিয়া ও সাইটোপ্লাজমে ঘটে, তবে মূলভাবে এটি মাইটোকন্ড্রিয়াতেই সংঘটিত হয়।
অক্সিজেনের প্রয়োজন অনুযায়ী শ্বসনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়:
-
সবাত শ্বসন (Aerobic respiration): যেখানে অক্সিজেন প্রয়োজন।
-
অবাত শ্বসন (Anaerobic respiration): যেখানে অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার জন্য তার যে গঠন দায়ী তা হলো—
Created: 1 month ago
A
পিল্লি
B
ফ্লাজেলা
C
শীথ
D
ক্যাপসুলস
ফ্ল্যাজেলা, পিলি এবং ক্যাপসিউল ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন বহিরঙ্গ উপাঙ্গ যা তাদের চলাচল, সংযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এগুলো কোষ প্রাচীরের বাইরে অবস্থান করে এবং বিশেষ প্রোটিন বা পলিমারের মাধ্যমে গঠিত। মূল তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
ফ্ল্যাজেলা হলো প্রোটোপ্লাজম দ্বারা গঠিত একটি সূত্রাকৃতির উপাঙ্গ, যা কোষ প্রাচীর ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসে। এটি ফ্ল্যাজেলিন নামক প্রোটিন দ্বারা তৈরি। ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে ব্যাকটেরিয়া তরল মাধ্যমে চলাফেরা করতে পারে।
-
ফ্ল্যাজেলার চেয়ে ছোট ও শক্ত উপাঙ্গকে পিলি বলা হয়। পিলি পিলিন নামক প্রোটিন দিয়ে গঠিত এবং ব্যাকটেরিয়াকে কোনো পৃষ্ঠের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে সহায়তা করে।
-
ক্যাপসিউল হলো একটি স্তর, যা পলিস্যাকারাইড বা পলিপেপটাইড দিয়ে গঠিত এবং ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের বাইরে থাকে। এটিকে স্লাইম স্তরও বলা হয় এবং এটি ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিকূল পরিবেশ থেকে রক্ষা করে।

0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোন রােগটি DNA ভাইরাসঘটিত?
Created: 1 month ago
A
ডেঙ্গুজ্বর
B
স্মলপক্স
C
কোভিড-১৯
D
পােলিও
স্মলপক্স একটি DNA ভাইরাসঘটিত রোগ যা ভেরিওলা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। সাধারণত ভাইরাসে নিউক্লিক এসিড হিসেবে হয় DNA অথবা RNA থাকে, কিন্তু উভয়টি একসাথে কখনো থাকে না। অন্যান্য জীবদেহে DNA ও RNA একসাথে পাওয়া গেলেও ভাইরাসের ক্ষেত্রে এটি সম্ভব নয়।
তথ্যগুলো নিচে সাজানো হলো:
-
স্মলপক্স রোগটি DNA ভাইরাসঘটিত।
-
ভেরিওলা ভাইরাস মানবদেহে স্মলপক্স বা গুটি বসন্ত সৃষ্টি করে।
-
ভাইরাসে নিউক্লিক এসিড হিসেবে DNA ও RNA থাকে, তবে একই সাথে দুইটি কখনো থাকে না।
DNA ভাইরাসঘটিত রোগ:
-
যে ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিড হিসেবে DNA থাকে তাদেরকে DNA ভাইরাস বলা হয়।
-
উদাহরণ: হার্পিস সিমপ্লেক্স (মানব), Tipula irridescent, Rabbitpox, Vaccinia (bovine), ভেরিওলা (মানব), Pustular dermatitis (Sheep), এডেনা গ্রুপ, প্যাপিলোমা (মানব), পলিওমা, ΦX174 কলিফাজ, Cauliflower mosaic, Adenoassociated প্রভৃতি।
RNA ভাইরাসঘটিত রোগ:
-
যে ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিড হিসেবে RNA থাকে তাদেরকে RNA ভাইরাস বলা হয়।
-
উদাহরণ: ইনফ্লুয়েঞ্জা বি (মানব), পোলিও (মানব), রুবেলা (মানব), পীতজ্বর (মানব), ডেঙ্গু (মানব), Encephalitis (মানব), Leukemia (cat), মাম্পস (মানব), Measles (মানব), Cold (মানব), Newcastle disease (fowl), Rous sarcoma (bird), Rabies (dog), Potato yellow dwarf, Vesicular stomatitis (cattle), Tobacco mosaic, Sugarcane mosaic, fd (Pseudomonas), Cucumber mosaic, f2, fr1, R17 কলিফাজ প্রভৃতি।

0
Updated: 1 month ago