মস্তিষ্কের ডোপামিন তৈরির কোষগুলো নষ্ট হলে কি রোগ হয়?
A
এপিলেপসি
B
পারকিনসন
C
প্যারালাইসিস
D
থ্রমবোসিন
উত্তরের বিবরণ
পারকিনসন রোগ হলো মস্তিষ্কের একটি সমস্যা, যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত-পা কাঁপতে শুরু করে এবং চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়। সাধারণত এই রোগ ৫০ বছরের পর দেখা দেয়।
রোগের কারণ:
-
মস্তিষ্কে কিছু স্নায়ুকোষ থাকে, যা ডোপামিন নামের রাসায়নিক তৈরি করে।
-
ডোপামিন পেশি নিয়ন্ত্রণ ও নড়াচড়ায় সাহায্য করে।
-
যদি এই কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়, ডোপামিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
-
ডোপামিন না থাকলে স্নায়ুকোষগুলো পেশিকে সঠিক সংকেত দিতে পারে না, ফলে পেশি শক্ত বা অকার্যকর হয়ে যায়।
লক্ষণ:
প্রাথমিকভাবে হাত ও পা হালকা কাঁপতে থাকে। অন্যান্য লক্ষণ হতে পারে:
-
একপাশের পা বা হাত ঠিকমত নড়াচড়া করতে পারা না
-
চোখের পাতার কাঁপুনি
-
কোষ্ঠকাঠিন্য
-
খাবার গিলতে সমস্যা
-
হাঁটাচলায় অসুবিধা
-
মাংসপেশিতে ব্যথা বা টান
-
কথা বলার সময় মুখের অপ্রাকৃতিক অঙ্গভঙ্গি বা মুখের স্থির থাকা
নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ:
-
ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ
-
নিয়মিত ফিজিওথেরাপি
-
পরিমিত ও স্বাস্থ্যকর খাবার
-
সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখা
উৎস: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
'Necessary evil' কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
প্রস্বেদন
B
অভিস্রবন
C
ব্যাপন
D
শোষণ
প্রস্বেদন (Transpiration) হলো উদ্ভিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ শারীরতত্ত্বীয় প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে উদ্ভিদ শোষিত পানির একটি অংশ বাষ্পাকারে পরিবেশে ছাড়ে। উদ্ভিদ মূল দিয়ে মূলত পানি শোষণ করে, শোষিত পানির খুব সামান্য অংশ ব্যবহৃত হয় উদ্ভিদের জৈবিক কার্যাবলির জন্য, এবং অবশিষ্ট পানি প্রধানত পাতা, কচিকাণ্ড, ফুল ও পাপড়ির বায়বীয় অংশ দিয়ে বাষ্পাকারে বের হয়। স্থলজ উদ্ভিদে এই প্রক্রিয়াকে প্রস্বেদন বা বাষ্পমোচন বলা হয়। প্রস্বেদনের মাধ্যমে পানি বের হওয়ার স্থান অনুযায়ী এটি তিন ভাগে বিভক্ত:
১. পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন (Stomatal transpiration)
-
পাতায়, কচিকাণ্ডে, ফুলের বৃতি ও পাপড়িতে দুটি রক্ষীকোষ (Guard cell) দ্বারা বেষ্টিত ছোট ছোট রন্ধ্র থাকে, যেগুলোকে পত্ররন্ধ্র (stoma/stomata) বলা হয়।
-
কোনো উদ্ভিদের মোট প্রস্বেদনের ৯০-৯৫% পানি এই পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে বের হয়।
২. কিউটিকুলার প্রস্বেদন (Cuticular transpiration)
-
উদ্ভিদের পাতা ও কাণ্ডের বহিঃত্বকে কিউটিনের আবরণ থাকে, যাকে কিউটিকল বলা হয়।
-
কিউটিকল ভেদ করে কিছু পানি বাষ্পাকারে বের হয়, যা কিউটিকুলার প্রস্বেদন নামে পরিচিত।
৩. লেন্টিকুলার প্রস্বেদন (Lenticular transpiration)
-
উদ্ভিদে গৌণ বৃদ্ধির কারণে কাণ্ডের বাকল ফেটে লেন্টিসেল নামক ছিদ্র তৈরি হয়।
-
লেন্টিসেলের ভিতরের কোষগুলো বিশেষভাবে সাজানো থাকে এবং এর মাধ্যমে কিছু পানি বাইরে বের হয়, যাকে লেন্টিকুলার প্রস্বেদন বলা হয়।
প্রস্বেদন একটি অতি প্রয়োজনীয় অমঙ্গল (Transpiration is a necessary evil)
-
প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদের কোষের বিপাকীয় কার্যক্রম (metabolic activities) সচল থাকে।
-
প্রস্বেদের ফলে জাইলেমবাহিকায় টান (tension in xylem) সৃষ্টি হয়, যা মূলরোম থেকে শোষিত পানি ও খনিজ লবণ পাতায় পরিবাহিত করতে সাহায্য করে।
-
এই টান না থাকলে পানি শোষণ কমে যায় এবং খাদ্য প্রস্তুতি ও অন্যান্য বিপাকীয় প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে যায়।
-
প্রস্বেদনের মাধ্যমে পাতার মেসোফিলের ব্যাপন চাপ (turgor pressure) বজায় থাকে, যা পানি শোষণে সহায়তা করে।
-
উদ্ভিদ প্রস্বেদনের মাধ্যমে পাতার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, শোষিত তাপশক্তি হ্রাস করে কোষকে সহনীয় তাপমাত্রায় রাখে।
অপরদিকে, প্রস্বেদনের কিছু অপকারী দিকও আছে:
-
যদি প্রস্বেদনের মাধ্যমে পানি হারানোর হার বেশি হয়, তাহলে উদ্ভিদে পানি ও খনিজের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা উদ্ভিদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
-
মাটিতে পানি কম থাকলে শোষণ কম হবে, কিন্তু প্রস্বেদন পূর্বের মতো চলবে।
-
শীতকালে বহু উদ্ভিদ তার পাতা ঝরিয়ে দেয় যাতে অতিরিক্ত পানি হারানো কমানো যায়।
-
প্রস্বেদের অভাবে প্রয়োজনীয় ব্যাপন চাপ সৃষ্টি হবে না, ফলে অভিস্রবণ কমে যাবে।
এভাবে বলা যায়, প্রস্বেদন কিছু ক্ষতি সত্ত্বেও উদ্ভিদের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণে এটি "প্রয়োজনীয় ক্ষতি" (Necessary Evil) হিসেবে বিবেচিত,
কারণ প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদকে টিকে থাকতে সাহায্য করে এবং বিবর্তনের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া উদ্ভিদের জন্য লাভজনক হয়েছে।

0
Updated: 3 weeks ago
তড়িৎ মুদ্রণ কী?
Created: 1 month ago
A
ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রযুক্তি
B
ফটোগ্রাফির প্রিন্টিং প্রযুক্তি
C
কাগজে হাতের লেখা মুদ্রণের পদ্ধতি
D
তড়িৎ প্রলেপের মাধ্যমে হরফ বা ব্লক তৈরি করার পদ্ধতি
তড়িৎ মুদ্রণ (Electrotyping)
-
সংজ্ঞা: তড়িৎ প্রলেপের একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হরফ, ব্লক মডেল ইত্যাদি তৈরিকে তড়িৎ মুদ্রণ বলে।
প্রক্রিয়া
-
প্রথমে লেখাটি সাধারণ টাইপ ব্যবহার করে মোমের উপর ছাপানো হয়।
-
এরপর মোমের ওপর সূক্ষ্ম গ্রাফাইট গুঁড়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে এটি তড়িৎ পরিবাহী হয়।
-
এই মোমের ছাঁচকে কপার সালফেট দ্রবণে ক্যাথোড হিসেবে ডুবানো হয়।
-
একই দ্রবণে একটি তামার পাতকে অ্যানোড হিসেবে রাখা হয়।
-
দ্রবণের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে মোমের ছাঁচের ওপর তামার প্রলেপ জমতে থাকে।
-
প্রলেপ যথেষ্ট পুরু হলে ছাঁচ থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় এবং সেটি ছাপার কাজে ব্যবহার করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোন রােগটি DNA ভাইরাসঘটিত?
Created: 1 month ago
A
ডেঙ্গুজ্বর
B
স্মলপক্স
C
কোভিড-১৯
D
পােলিও
স্মলপক্স একটি DNA ভাইরাসঘটিত রোগ যা ভেরিওলা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। সাধারণত ভাইরাসে নিউক্লিক এসিড হিসেবে হয় DNA অথবা RNA থাকে, কিন্তু উভয়টি একসাথে কখনো থাকে না। অন্যান্য জীবদেহে DNA ও RNA একসাথে পাওয়া গেলেও ভাইরাসের ক্ষেত্রে এটি সম্ভব নয়।
তথ্যগুলো নিচে সাজানো হলো:
-
স্মলপক্স রোগটি DNA ভাইরাসঘটিত।
-
ভেরিওলা ভাইরাস মানবদেহে স্মলপক্স বা গুটি বসন্ত সৃষ্টি করে।
-
ভাইরাসে নিউক্লিক এসিড হিসেবে DNA ও RNA থাকে, তবে একই সাথে দুইটি কখনো থাকে না।
DNA ভাইরাসঘটিত রোগ:
-
যে ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিড হিসেবে DNA থাকে তাদেরকে DNA ভাইরাস বলা হয়।
-
উদাহরণ: হার্পিস সিমপ্লেক্স (মানব), Tipula irridescent, Rabbitpox, Vaccinia (bovine), ভেরিওলা (মানব), Pustular dermatitis (Sheep), এডেনা গ্রুপ, প্যাপিলোমা (মানব), পলিওমা, ΦX174 কলিফাজ, Cauliflower mosaic, Adenoassociated প্রভৃতি।
RNA ভাইরাসঘটিত রোগ:
-
যে ভাইরাসে নিউক্লিক অ্যাসিড হিসেবে RNA থাকে তাদেরকে RNA ভাইরাস বলা হয়।
-
উদাহরণ: ইনফ্লুয়েঞ্জা বি (মানব), পোলিও (মানব), রুবেলা (মানব), পীতজ্বর (মানব), ডেঙ্গু (মানব), Encephalitis (মানব), Leukemia (cat), মাম্পস (মানব), Measles (মানব), Cold (মানব), Newcastle disease (fowl), Rous sarcoma (bird), Rabies (dog), Potato yellow dwarf, Vesicular stomatitis (cattle), Tobacco mosaic, Sugarcane mosaic, fd (Pseudomonas), Cucumber mosaic, f2, fr1, R17 কলিফাজ প্রভৃতি।

0
Updated: 1 month ago