ব্যাকটেরিয়ার কোষে নিচের কোনটি উপস্থিত?
A
প্লাসটিড
B
মাইটোকন্ড্রিয়া
C
নিউক্লিওলাস
D
ক্রোমাটিন বস্তু
উত্তরের বিবরণ
আদিকোষ (Prokaryotic Cell)
ব্যাকটেরিয়ার কোষগুলোকে আদিকোষ বলা হয়।
-
এ ধরনের কোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস (nucleus) থাকে না। এ কারণেই এগুলোকে আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষও বলা হয়।
-
আদিকোষে মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি ঝিল্লীবদ্ধ অঙ্গাণু থাকে না। তবে এতে রাইবোজোম এবং ক্রোমাটিন থাকে।
-
ক্রোমাটিনে কেবল DNA সংরক্ষিত থাকে।
-
ব্যাকটেরিয়ার কোষ সাধারণত জড় কোষপ্রাচীরবিশিষ্ট এককোষী অণুজীব।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
-
ব্যাকটেরিয়ার আকার প্রায় 0.2–50 মাইক্রোমিটার।
-
এরা আণুবীক্ষণিক (Microscopic) প্রাণী।
-
এগুলো এককোষী, তবে অনেকগুলো কোষ কলোনি বা দলবদ্ধভাবে থাকতে পারে।
-
কোষ প্রাককেন্দ্রিক (Prokaryotic), অর্থাৎ রাইবোজোম ছাড়া অন্য কোনো ঝিল্লীবদ্ধ অঙ্গাণু যেমন নিউক্লিয়াস, মাইটোকন্ড্রিয়া, ক্লোরোপ্লাস্ট, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম, গলগি বডি, লাইসোসোম, সাইটোস্কেলেটন ইত্যাদি থাকে না।
উৎস: উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
কোনটি পানিতে দ্রবীভূত হত না?
Created: 2 months ago
A
গ্লিসারিন
B
ফিটকিরি
C
সোডিয়াম ক্লোরাইড
D
ক্যালসিয়াম কার্বনেট
লবণ
-
ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO₃) এক ধরনের লবণ, যা পানিতে গলে না বা দ্রবীভূত হয় না।
-
সাধারণ খাবারে যে লবণ ব্যবহৃত হয় তা হলো –
-
সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) – যা আমরা রান্নায় ব্যবহার করি,
-
সোডিয়াম গ্লুটামেট (C₅H₈NO₄Na) – যা খাবারের স্বাদ বাড়ায় (বিশেষ করে চাইনিজ খাবারে)।
-
-
মাটির অম্লতা (এসিডিটি) দূর করতে চুনাপাথর (CaCO₃) ব্যবহার করা হয়। এটি একটি লবণ।
-
মাটির উর্বরতা বাড়াতে আমরা যে সার ব্যবহার করি, তার অনেকগুলোই আসলে লবণ। যেমন –
-
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH₄NO₃)
-
অ্যামোনিয়াম ফসফেট ((NH₄)₃PO₄)
-
পটাসিয়াম নাইট্রেট (KNO₃)
-
-
তুঁতে বা কপার সালফেট (CuSO₄) একটি লবণ যা কৃষিজমিতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দমন করতে ব্যবহৃত হয়।
-
বেশিরভাগ লবণ পানিতে গলে যায়, তবে কিছু লবণ পানিতে গলে না এবং শৈবাল (algae) নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
যেমন:-
ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO₃)
-
সিলভার সালফেট (Ag₂SO₄)
-
সিলভার ক্লোরাইড (AgCl)
-
এইভাবেই লবণ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় – খাবার, কৃষি ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনায়।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বই।

0
Updated: 2 months ago
মৌলের নিউট্রন সংখ্যা কত?
Created: 1 month ago
A
17
B
18
C
35
D
70
পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা লেখার নিয়ম
কোন মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা (Z) যত তার নিউক্লিয়াসে ঠিক ততটি প্রোটন থাকে। যদি কোন পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা Z হয়, তবে সেই পরমাণুতে Z সংখ্যক প্রোটন ও Z সংখ্যক ইলেকট্রন আছে।
- পরমাণুর ভর সংখ্যা যদি A হয়, তবে নিউট্রনের সংখ্যা = A - Z.
- কোন মৌলের পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা, ভর সংখ্যা নিম্ন রীতিতে দেখানো হয়।

এখানে,
X = মৌলের প্রতীক।
Z = মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা। এটি প্রতীকের বাম পার্শ্বে পাদদেশে বসে।
A = পরমাণুর ভর সংখ্যা। এটি প্রতীকের বাম পার্শ্বে শীর্ষদেশে বসে। এটি প্রোটন ও নিউট্রনের সংখ্যা যাকে নিউক্লিয়ন সংখ্যাও বলা হয়।
ক্লোরিন (Cl) মৌলের নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয়:

- ক্লোরিনের প্রোটন সংখ্যা 17 এবং
- নিউক্লিয়ন সংখ্যা বা পারমাণবিক ভর 35
অতএব, নিউট্রন সংখ্যা হবে = 35 - 17 = 18 ।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
কোনটি মৌলিক পদার্থ?
Created: 2 months ago
A
লোহা
B
ব্রোঞ্জ
C
পানি
D
ইস্পাত
মৌলিক পদার্থ
মৌলিক পদার্থ হলো সেই পদার্থ যা ভেঙে বা বিশ্লেষণ করলে আর কোনো নতুন ধরনের পদার্থ পাওয়া যায় না। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি “অটুট” পদার্থ।
উদাহরণ: হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, হিলিয়াম, কার্বন, গন্ধক, তামা, দস্তা, পারদ, সোনা, রূপা, লৌহ ইত্যাদি।
যৌগিক পদার্থ
যৌগিক পদার্থ হলো সেই পদার্থ যা একাধিক মৌলিক পদার্থের রাসায়নিকভাবে নির্দিষ্ট অনুপাতে মিলিত হয়ে তৈরি হয়। এই পদার্থকে ভাঙলে এক বা একাধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়।
উদাহরণ: পানি (H₂O), কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO₂), খাদ্য লবণ, বিভিন্ন এসিড ও ক্ষার।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণি

0
Updated: 2 months ago