A
জাপানের উন্নয়ন কৌশল
B
সুনামি দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
C
দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
D
ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
উত্তরের বিবরণ
সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক (Sendai Framework)
-
১৪–১৮ মার্চ, ২০১৫ সালে জাপানের সেন্দাই শহরে জাতিসংঘের তৃতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
-
সম্মেলনের শেষ দিনে "সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন ২০১৫–২০৩০" গৃহীত হয়।
-
এই ফ্রেমওয়ার্কে দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর জন্য ৭টি লক্ষ্য এবং ৪টি অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়।
-
মূল উদ্দেশ্য ছিল— টেকসই ব্যবস্থাপনা, যথাযথ বিনিয়োগ, এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
সাতটি লক্ষ্য (Goals of Sendai Framework)
১. ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী দুর্যোগজনিত মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো।
২. ২০৩০ সালের মধ্যে দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনা।
৩. ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্ষতি জিডিপির তুলনায় হ্রাস করা।
৪. ২০৩০ সালের মধ্যে দুর্যোগে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সেবার ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা।
৫. ২০২০ সালের মধ্যে দেশগুলোতে জাতীয় ও স্থানীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশল গ্রহণের হার বাড়ানো।
৬. ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সহায়তা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি করা।
৭. ২০৩০ সালের মধ্যে বহু-বিপদ প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি সম্পর্কিত তথ্য সবার জন্য সহজলভ্য করা।
উৎস: UNDRR ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের কোন অঞ্চল বেশি খরাপ্রবণ?
Created: 5 days ago
A
উত্তর-পূর্ব অঞ্চল
B
উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল
C
দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল
D
দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল: খরাপ্রবণতা
খরা হলো এমন একটি পরিস্থিতি যখন কোনো অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয় না। এই অবস্থায় মাটির আর্দ্রতা কমে যায়, মাটি শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়, এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরও নিচে নেমে যায়। সহজভাবে বলতে গেলে, বৃষ্টিহীন বা কম বৃষ্টিপাতের কারণে মাটি ও পরিবেশ শুষ্ক হয়ে যাওয়াই খরা।
বাংলাদেশে খরাপ্রবণ অঞ্চল:
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল বিশেষভাবে খরার জন্য পরিচিত। বিগত অর্ধশতকের মধ্যে ১৯৭৩, ১৯৭৫, ১৯৭৮, ১৯৭৯, ১৯৮১, ১৯৮২, ১৯৮৯, ১৯৯২, ১৯৯৪, ১৯৯৫ এবং ২০১৬ সালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র খরার ঘটনা ঘটেছে।
খরার মাত্রা অনুযায়ী অঞ্চল:
-
অতি তীব্র: রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ
-
তীব্র: দিনাজপুর, বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোর এবং টাঙ্গাইলের কিছু অংশ
-
মাঝারি: রংপুর, বরিশাল এবং দিনাজপুর, কুষ্টিয়া ও যশোরের কিছু অংশ
-
সামান্য: তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা পললভূমি এলাকা
খরার প্রধান কারণ:
১. নির্ধারিত সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া
২. পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা
৩. বনভূমি উজাড় করা
৪. নদীর উজানে অব্যবস্থাপনার কারণে বাঁধ নির্মাণ
৫. এল নিনো এবং লা নিনোর প্রভাব
উৎস:ভূগোল ২য় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 5 days ago
পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই কোন দুর্যোগ সংঘটিত হয়?
Created: 1 week ago
A
বন্যা
B
খরা
C
ভূমিকম্প
D
ঘূর্ণিঝড়
• পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সংঘটিত হয়- ভূমিকম্প।
-----------------
• ভূমিকম্প:
- ভূ-অভ্যন্তরে আকস্মিক সৃষ্ট কম্পনের দরুণ আকস্মিকভাবে ভূমির যে কম্পন হয় তাকে ভূমিকম্প বলে।
- কোন ধরনের আগাম সতর্ক সংকেত ব্যতীত অর্থাৎ কার্যকর পূর্বাভাস ছাড়া সংঘটিত দুর্যোগ হলো ভূমিকম্প।
- ভূমিকম্প সংঘটনের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল চিহ্নিত করা সম্ভব হলেও ভূমিকম্প সংঘটনের পূর্বে সতর্কতা প্রাপ্তি এখনো সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে,
- বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ও শৈত্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
----------------------------------
• আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- ১৯৯৩ সালে সমগ্র বাংলাদেশকে তিনটি ভূমিকম্পনীয় সংঘটিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।
- মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ (উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল), মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ (মধ্য অঞ্চল) এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ (দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল)।
- ভূমিকম্পের ফলে অনেক সময় নদীর গতিপথ পাল্টে যায়।
যেমন, ১৭৮৭ সালে আসামে (ডাউকি ফন্ট) যে ভূমিকম্প হয় তাতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ কিছুটা উচু হয় ফলে তার গতিপথ পাল্টে গিয়ে যমুনা নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে।
- ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্রের নাম সিসমোগ্রাফ।
- ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণায়ক যন্ত্রের নাম রিখটার স্কেল।
তথ্যসূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago
কোনটি জলজ আবহাওয়াজনিত ( hydro-meteorological) দুর্যোগ নয়?
Created: 1 day ago
A
ভূমিকম্প
B
ভূমিধস
C
নদীভাঙ্গন
D
ঘূর্ণিঝড়
ভূমিকম্প (Earthquake)
ভূমিকম্প হলো যখন ভূ-পৃষ্ঠ হঠাৎ কেঁপে ওঠে। এটি ঘটে সাধারণত ভূ-আলোড়ন বা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে।
-
ভূ-গর্ভে যেই স্থানে কম্পন সৃষ্টি হয়, তাকে কম্পকেন্দ্র (Focus) বা উৎসস্থল বলা হয়।
-
কম্পকেন্দ্রের ঠিক উপরে ভূ-পৃষ্ঠের বিন্দুকে উপকেন্দ্র (Epicenter) বলা হয়।
-
সাধারণত ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভূ-ত্বকের ৩২ কিমি-এর মধ্যে থাকে, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও গভীরে হতে পারে।
-
কম্পকেন্দ্র থেকে ভূমিকম্পের ঢেউ চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
মাপার যন্ত্র:
-
ভূমিকম্পের কম্পন মাপার যন্ত্রকে সিসমোমিটার (Seismometer) বলে।
-
সিসমোমিটারের মাধ্যমে যে রেখা আঁকা হয়, তাকে সিসমোগ্রাফ (Seismograph) বলা হয়।
ভূমিকম্পের কারণ
প্রধান কারণ:
-
পৃথিবীর ভূ-ত্বক অনেকগুলো প্লেট বা ফলক দ্বারা গঠিত।
-
এই প্লেটগুলো যেসব স্থানে একে অপরের সাথে ধাক্কা খায় বা সরে যায়, সেই স্থানগুলোতে ভূমিকম্প হয়।
-
অগ্নুৎপাতের কারণে প্লেটগুলোর নড়াচড়াও ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে।
অপ্রধান কারণ:
-
শিলাচ্যুতি বা পাথরের ছন্দহীন নড়াচড়া
-
ভূ-গর্ভস্থ তাপ বিকিরণ
-
ভূ-গর্ভস্থ বাষ্পের চাপ
-
ভূ-গর্ভস্থ চাপের বৃদ্ধি বা হ্রাস
-
হিমবাহের গলন বা চাপের প্রভাব
উদাহরণ:
ভূমিকম্প কখনও কখনও প্রকৃতির হঠাৎ পরিবর্তন বা প্লেটের নড়াচড়ার কারণে ঘটে। এটি জলজ বা আবহাওয়াজনিত (Hydro-meteorological) দুর্যোগ নয়, যেমন ভূমিধস, নদীভাঙ্গন বা ঘূর্ণিঝড়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 day ago