A
পাহাড়ের পাদদেশে
B
নদীর নিম্ন অববাহিকায়
C
নদীর উৎপত্তিস্থলে
D
নদী মোহনায়
উত্তরের বিবরণ
পলল পাখা ভূমিরূপ
-
পলল পাখা সাধারণত পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি হয়।
-
যখন কোনো নদী হঠাৎ করে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে সমভূমিতে প্রবেশ করে, তখন সঙ্গে আনা শিলাখণ্ড, বালি ও পলিমাটি পাহাড়ের পাদদেশে জমা হয়।
-
এসব পলল মিলে একটি ত্রিভুজাকার ভূমি গঠন করে, যা হাতপাখার মতো দেখতে। এই বিশেষ পললভূমিকেই বলা হয় পলল পাখা বা পলল কোণ।
মাটির ধরনভেদে পার্থক্য
-
যদি অঞ্চলের মাটি বেশি পানি শোষণ করতে পারে, তবে শিলাচূর্ণ বেশি দূরে যেতে পারে না। ফলে পাহাড়ের পাদদেশেই পলল কোণ তৈরি হয়।
-
আর মাটির পানি শোষণ ক্ষমতা কম হলে, পলল কিছুটা দূরে ছড়িয়ে গিয়ে পলল পাখা তৈরি করে।
উদাহরণ
হিমালয়ের পাদদেশে গঙ্গার বিভিন্ন উপনদীর ধারে এ ধরনের পলল কোণ ও পলল পাখা ভূমিরূপ দেখা যায়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 day ago
নিম্নে উল্লেখিত ভূমিরূপসমূহের মধ্যে কোনটি হিমবাহের ক্ষয় কার্যের দ্বারা গঠিত?
Created: 1 week ago
A
পার্শ্ব গ্রাবরেখা
B
শৈলশিরা
C
ভি-আকৃতির উপত্যকা
D
ইউ-আকৃতির উপত্যকা
হিমবাহিক ক্ষয় ও ক্ষয়জাত ভূমিরূপ
হিমবাহের চলাচল ও ক্ষয় সাধনের ফলে পৃথিবীর ভূ-আকৃতি পরিবর্তিত হয় এবং নতুন ধরনের ভূমি গঠিত হয়। হিমবাহ যখন পাহাড়ের মধ্য দিয়ে নেমে আসে, তখন এটি পাহাড়ের পাথর ও মাটি কেটে এক বিশেষ ধরনের উপত্যকা তৈরি করে, যা সাধারণত ইউ-আকৃতির উপত্যকা (U-shaped Valley) নামে পরিচিত।
হিমবাহের ক্ষয় প্রক্রিয়া বিভিন্ন ধরনের ভূমির সৃষ্টি করে। প্রধান ক্ষয়জাত ভূমিরূপগুলো হলো:
-
হইমবাহিক উপত্যকা (Glaciated/U-shaped Valley) – হিমবাহের ধ্বসন ও ক্ষয় দ্বারা গঠিত।
-
ঝুলন্ত উপত্যকা (Hanging Valley) – প্রধান উপত্যকার তুলনায় উঁচুতে অবস্থিত ছোট উপত্যকা।
-
সার্ক বা কোরি (Cirque) – ছোট আর গহ্বরাকৃতির হিমবাহিক উদ্ভিদ।
-
এরিটি ও পিরামিডীয় শৃঙ্গ (Arete & Pyramidal Peak) – ধারালো পাহাড়ি শৃঙ্গ।
-
নুনাট্যাক (Nunatak) – হিমবাহের উপরের exposes পাথরের অংশ।
-
রসে মতানো (Roche Moutonnée) – হিমবাহের চাপের কারণে পালিশ ও ছিদ্রযুক্ত পাথর।
-
হিমসিড়ি ও প্যাটার্নস্টার হ্রদ (Kettle & Patterned Lakes) – হিমবাহের গলনের ফলে তৈরি হ্রদ।
-
শৈলময় পর্বত ও অনিয়মিত প্রস্তরখন্ড (Rocky Mountains & Irregular Boulders) – ক্ষয়ে বিভক্ত পাথরের স্তর।
-
ক্রিভাসেস (Crevasses) – হিমবাহে ফাটল বা চিরা।
-
ঢিবি ও পুচ্ছ (Drumlin & Esker) – হিমবাহের গলন এবং চূর্ণকরণের ফলে তৈরি ঢিবি।
-
দানবীর সিঁড়ি (Moraine Steps) – হিমবাহের আগমনের সীমানায় জমে থাকা মাটি ও পাথরের স্তর।
-
ফিয়র্ড (Fjord) – সমুদ্রের সাথে মিলিত হিমবাহিক উপত্যকা।
-
কর্তিত স্পার (Truncated Spur) – হিমবাহের ক্ষয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত পাহাড়ি স্পার।
উৎস: উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যবই, ভূগোল বিভাগ।

1
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমানা কত?
Created: 1 week ago
A
৫১৩৮ কি.মি
B
৪৩৭১ কি.মি
C
৪১৫৬ কি.মি
D
৩৯৭৮ কি.মি
বাংলাদেশের সীমান্ত ও ভূ-গঠন
বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত।
-
দেশের তিনদিকের মূল সীমান্ত ভারত ও মিয়ানমার দ্বারা বেষ্টিত, এবং দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর রয়েছে।
-
বাংলাদেশের মোট সীমান্ত দৈর্ঘ্য প্রায় ৫,১৩৮ কিলোমিটার, যার মধ্যে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত ৪,১৫৬ কিলোমিটার এবং মিয়ানমারের সঙ্গে ২২২ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশে ৩০টি জেলা ভারতের এবং ৩টি জেলা মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা ভাগাভাগি করে।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
দেশের মোট আয়তন: ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার।
-
সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য: ৭১১ কিলোমিটার, যার মধ্যে কক্সবাজারের অংশ ১৫৫ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা: ১২ নটিক্যাল মাইল, এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল: ২০০ নটিক্যাল মাইল।
উৎস: ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের জলবায়ু কী ধরনের?
Created: 1 day ago
A
ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় জলবায়ু
B
ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু
C
উপক্রান্তীয় জলবায়ু
D
আর্দ্র ক্রান্তীয় জলবায়ু
বাংলাদেশের জলবায়ু
বাংলাদেশে ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু বিদ্যমান। মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর দিকও পরিবর্তিত হয়, যাকে মৌসুমী বায়ু বলা হয়।
🔹 গ্রীষ্মকালে
-
প্রচণ্ড তাপের কারণে উত্তর গোলার্ধে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।
-
এ সময় দক্ষিণ গোলার্ধে তুলনামূলকভাবে কম তাপ থাকায় উচ্চচাপ বিদ্যমান থাকে।
-
ফলে দক্ষিণের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে বায়ু উত্তর গোলার্ধের নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
এই বায়ু সমুদ্রের ওপর দিয়ে আসায় এতে প্রচুর জলীয়বাষ্প থাকে।
-
বাংলাদেশের দিকে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে আসে, তাই একে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বলা হয়।
-
এই বায়ুর কারণেই বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
🔹 শীতকালে
-
শীতকালে অবস্থা একেবারে উল্টো হয়।
-
তখন উত্তর গোলার্ধে উচ্চচাপ এবং দক্ষিণ গোলার্ধে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।
-
ফলে উত্তর দিক থেকে বায়ু দক্ষিণের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
এই বায়ু সাধারণত স্থলভাগের ওপর দিয়ে আসে বলে এতে জলীয়বাষ্প খুবই কম থাকে।
-
বাংলাদেশের দিকে এটি উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসে, তাই একে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু বলা হয়।
-
ফলে শীতকালে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত খুব সামান্য ঘটে।
অর্থাৎ, ঋতুর পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর দিক ও বায়ুচাপের পার্থক্যের কারণে বাংলাদেশের জলবায়ুতে বৈচিত্র্য দেখা যায়।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 day ago