A
রামসাগর
B
বগা লেইক (Lake)
C
টাঙ্গুয়ার হাওর
D
কাপ্তাই হ্রদ
উত্তরের বিবরণ
রামসার কনভেনশন
-
রামসার কনভেনশন (Ramsar Convention) হলো জলাভূমি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশ্বের দেশগুলোর যৌথ উদ্যোগ।
-
এটিই পরিবেশ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে গৃহীত প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি।
-
১৯৭১ সালে ইরানের রামসার শহরে বিভিন্ন দেশ একত্র হয়ে Convention on Wetlands নামে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
-
চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭৫ সালে।
-
বর্তমানে এর সদস্য দেশের সংখ্যা ১৭২টি।
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
-
বাংলাদেশ ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২ সালে রামসার কনভেনশনের সদস্য হয়।
-
দেশে মোট ২টি স্থান রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃত:
১. সুন্দরবন
২. টাঙ্গুয়ার হাওর
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
ভারতীয় কোন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের কোনো সীমান্ত নেই?
Created: 1 week ago
A
আসাম
B
মিজোরাম
C
ত্রিপুরা
D
নাগাল্যান্ড
ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত
-
নাগাল্যান্ডের সীমান্ত:
ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সরাসরি কোনো সীমান্ত ভাগাভাগি করে না। -
সেভেন সিস্টার্স (Seven Sisters):
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে একত্রে “সেভেন সিস্টার্স” বলা হয়।-
এই রাজ্যগুলো হলো: আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম।
-
-
বাংলাদেশের সঙ্গে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর সীমান্ত:
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের মোট ৫টি রাজ্যের সীমান্ত আছে, যার মধ্যে সেভেন সিস্টার্সের ৪টি রাজ্য রয়েছে।-
এই রাজ্যগুলো হলো:
-
আসাম
-
মেঘালয়
-
ত্রিপুরা
-
মিজোরাম
-
-
উল্লেখ্য: সেভেন সিস্টার্সভুক্ত মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং নাগাল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ কোনো সীমান্ত ভাগ করে না।
-
এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্য একটি রাজ্য, যা বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে।
-
-
বাংলাদেশের সীমান্তে অন্যান্য তথ্য:
-
বাংলাদেশ মোট ৩২টি জেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যুক্ত।
-
ভারতের সঙ্গে: ৩০টি জেলা
-
মিয়ানমারের সঙ্গে: ৩টি জেলা
-
-
বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলা হলো একমাত্র জেলা, যার সঙ্গে উভয় দেশের (ভারত ও মিয়ানমার) সীমান্ত রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা।
-
তথ্যসূত্র: Britannica, ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 week ago
আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলকে কী নামে অভিহিত করা হয়?
Created: 1 day ago
A
সাভানা
B
তুন্দ্রা
C
প্রেইরি
D
সাহেল
সাহেল (Sahel)
-
সাহেল হলো আফ্রিকার পশ্চিমাংশে সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে অবস্থিত একটি অঞ্চল।
-
এখানে মৌরিতানিয়া, মালি, নাইজারসহ একাধিক দেশ রয়েছে।
-
এ অঞ্চলের প্রধান প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হলো সাভানা ধরনের বনভূমি।
প্রেইরি (Prairie)
-
প্রেইরি হলো উত্তর আমেরিকার বিশাল উর্বর তৃণভূমি।
তুন্দ্রা (Tundra):
-
তুন্দ্রা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তর প্রান্তের স্থলজ জীবমণ্ডল বা বায়োম, যেখানে গাছপালা প্রায় জন্মায় না।
উৎস: Encyclopedia Britannica

0
Updated: 1 day ago
সমুদ্রপৃষ্ঠ ৪৫cm বৃদ্ধি পেলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে climate refugee হবে?
Created: 1 week ago
A
৩ কোটি
B
৩.৫ কোটি
C
৪ কোটি
D
৪.৫ কোটি
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও বাংলাদেশে সম্ভাব্য ফলাফল
মানুষের অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস (যেমন: কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড) নির্গমনের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। এই পরিবর্তনের ফলে বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে, এবং স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে।
বাংলাদেশ এ ধরনের ঝুঁকির মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগামী। অন্যান্য দেশ এখনও বিপদের মুখোমুখি হয়নি, আমাদের দেশ ইতিমধ্যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব অনুভব করছে।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী:
-
আগামী ৫০ বছরে যদি সমুদ্রপৃষ্ঠ ৩ ফুট (প্রায় ৯১ সেন্টিমিটার) বৃদ্ধি পায়, তবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হবে এবং প্রায় ১৭% জমি পানির নিচে চলে যেতে পারে।
-
আনুমানিক ৩–৩.৫ কোটি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে যেতে পারেন।
-
ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (IPCC) জানিয়েছে, ২০৩০ সালের পর নদীর জল প্রবাহ কমতে পারে, ফলে এশিয়ায় পানির ঘাটতি দেখা দেবে। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
-
উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বন্যা, ঝড়, অনাবৃষ্টি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি আরও বাড়বে। এই প্রভাব ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে অনুভূত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও তীব্র হবে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের মাত্রা ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়লে বাংলাদেশের প্রায় ১০.৯% ভূমি প্লাবিত হবে।
-
এতে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৩.৫ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
উৎস: World Bank ওয়েবসাইট

1
Updated: 1 week ago