A
সাভানা
B
তুন্দ্রা
C
প্রেইরি
D
সাহেল
উত্তরের বিবরণ
সাহেল (Sahel)
-
সাহেল হলো আফ্রিকার পশ্চিমাংশে সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে অবস্থিত একটি অঞ্চল।
-
এখানে মৌরিতানিয়া, মালি, নাইজারসহ একাধিক দেশ রয়েছে।
-
এ অঞ্চলের প্রধান প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হলো সাভানা ধরনের বনভূমি।
প্রেইরি (Prairie)
-
প্রেইরি হলো উত্তর আমেরিকার বিশাল উর্বর তৃণভূমি।
তুন্দ্রা (Tundra):
-
তুন্দ্রা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তর প্রান্তের স্থলজ জীবমণ্ডল বা বায়োম, যেখানে গাছপালা প্রায় জন্মায় না।
উৎস: Encyclopedia Britannica

0
Updated: 1 day ago
পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই কোন দুর্যোগ সংঘটিত হয়?
Created: 1 week ago
A
বন্যা
B
খরা
C
ভূমিকম্প
D
ঘূর্ণিঝড়
• পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সংঘটিত হয়- ভূমিকম্প।
-----------------
• ভূমিকম্প:
- ভূ-অভ্যন্তরে আকস্মিক সৃষ্ট কম্পনের দরুণ আকস্মিকভাবে ভূমির যে কম্পন হয় তাকে ভূমিকম্প বলে।
- কোন ধরনের আগাম সতর্ক সংকেত ব্যতীত অর্থাৎ কার্যকর পূর্বাভাস ছাড়া সংঘটিত দুর্যোগ হলো ভূমিকম্প।
- ভূমিকম্প সংঘটনের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল চিহ্নিত করা সম্ভব হলেও ভূমিকম্প সংঘটনের পূর্বে সতর্কতা প্রাপ্তি এখনো সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে,
- বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ও শৈত্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
----------------------------------
• আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- ১৯৯৩ সালে সমগ্র বাংলাদেশকে তিনটি ভূমিকম্পনীয় সংঘটিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।
- মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ (উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল), মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ (মধ্য অঞ্চল) এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ (দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল)।
- ভূমিকম্পের ফলে অনেক সময় নদীর গতিপথ পাল্টে যায়।
যেমন, ১৭৮৭ সালে আসামে (ডাউকি ফন্ট) যে ভূমিকম্প হয় তাতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ কিছুটা উচু হয় ফলে তার গতিপথ পাল্টে গিয়ে যমুনা নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে।
- ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্রের নাম সিসমোগ্রাফ।
- ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণায়ক যন্ত্রের নাম রিখটার স্কেল।
তথ্যসূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১৫ কবে জারি হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
১ জানুয়ারি
B
১১ জানুয়ারি
C
১৯ জানুয়ারি
D
২১ মার্চ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ও আইন
বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবেলার কার্যক্রমকে সমন্বিত, লক্ষ্যভিত্তিক ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য আইন এবং নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। এর প্রধান কাঠামো হলো:
বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২
-
আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য: সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি করা, জনগণের দুর্যোগ লাঘব করা, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি সহায়তা, পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমকে দক্ষভাবে পরিচালনা করা।
-
এই আইন সংসদে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে পাস হয়।
-
২০১২ সালে একই সরকারের নেতৃত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
আইনটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১৯ ধারা অনুযায়ী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০১৫
-
এই নীতিমালা দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি, মানবিক সহায়তা, পুনর্বাসন ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়।
-
জারি তারিখ: ১৯ জানুয়ারি ২০১৫
-
ধরন: প্রজ্ঞাপন
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন

1
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের কৃষি কোন প্রকার?
Created: 1 week ago
A
ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী
B
ধান-প্রধান বাণিজ্যিক
C
স্বয়ংভোগী মিশ্র
D
স্বয়ংভোগী শষ্য চাষ ও পশুপালন
বাংলাদেশের কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী ধরনের।
• ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী:
- শুধুমাত্র মানুষ নিজ নিজ প্রয়োজন মেটানোর জন্য যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে তাকে স্বয়ংভোগী চাষাবাদ বলে।
- আদ্র মৌসুমী ভাবাপন্ন ঘনবসিতপূর্ণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন, জাপানে ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী কৃষি ব্যবস্থা চালু আছে।
• বৈশিষ্ট্যসমূহ:
- ক্ষুদ্রায়তন জমি।
- নিবিড় চাষাবাদ।
- ধানের প্রাধান্য।
- কায়িক শ্রম নির্ভর।
- একাদিক্রমে চাষাবাদ।
- চাষাবাদ প্রকৃতির উপর বেশী নির্ভরশীল।
• বাংলাদেশের কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী বলার কারণ:
- আমাদের দেশের কৃষির প্রধান উপখাত হলো- শস্য (ধান) উৎপাদন।
- বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাবার ভাত, আর তাই এই দেশের প্রায় ৮০ ভাগ কৃষি জমিতেই ধান উৎপাদন হয়।
- এছাড়াও গম, ভুট্টা, সহ শাকসবজি উৎপাদন প্রচুর পরিমানে হয়।
- এজন্যই বাংলাদেশকে কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী বলা হয়।
---------------------
• বাংলাদেশের জাতীয় কৃষি:
- বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এক সোনালি অধ্যায়ের নাম কৃষি।
- উৎপাদনশীলতা, আয় বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধির জন্য কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
- বাংলাদেশে প্রতি বছর ১লা অগ্রহায়ণ 'জাতীয় কৃষি দিবস ও নবান্ন উৎসব' পালিত হয়।
- কৃষিই সমৃদ্ধি এ শ্লোগানকে ধারণ করে ২০০৮ সালের ১৫ নভেম্বর বা '১লা অগ্রহায়ণ, ১৪১৫' সালে প্রথম জাতীয় কৃষি দিবস পালন করা হয়।
- সেই থেকে প্রতিবছর কৃষি দিবস পালিত হয়ে আসছে।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর অর্থনীতি (২য় পত্র) -মোস্তাফিজুর রহমান, একাদশ শ্রেণির ভূগোল- উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago