A
চাঁদপুর
B
পিরোজপুর
C
মাদারীপুর
D
গাজীপুর
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি
ভূপ্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়,
-
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপান বা উঁচুভূমি,
-
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপানসমূহ
-
আনুমানিক ২৫ হাজার বছর আগে যে সময়কাল ছিল, তাকে প্লাইস্টোসিন যুগ বলা হয়।
-
এ সময়ের মাটি সাধারণত লালচে বা ধূসর বর্ণের।
-
দেশের উত্তর-পশ্চিমে বরেন্দ্রভূমি, মধ্যাঞ্চলে মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, আর পূর্বে কুমিল্লার লালমাই উচ্চভূমি—এসবই প্লাইস্টোসিনকালের উঁচুভূমি হিসেবে গড়ে ওঠে।
বরেন্দ্রভূমি
-
গঠিত হয়েছে রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশ নিয়ে।
-
আয়তন প্রায় ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার।
-
চারপাশের সমভূমি থেকে এর উচ্চতা ৬–১২ মিটার।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের সবচেয়ে বড় উঁচুভূমি।
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়
-
অবস্থান: টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলার ভাওয়াল এলাকা।
-
আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার।
-
সমভূমির চেয়ে গড়ে ৩০ মিটার উঁচু।
-
এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচুভূমি এবং গজারী বনের প্রধান কেন্দ্র।
লালমাই পাহাড়
-
কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে, লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিলোমিটার।
-
গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 day ago
বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ কত শতাংশ?
Created: 1 week ago
A
৭৫.৮%
B
৭৮.১%
C
৭৯.২%
D
প্রায় ৮০%
বায়ুমণ্ডল (Atmosphere)
পৃথিবীর পৃষ্ঠের চারপাশে থাকা অদৃশ্য বায়বীয় আবরণকে বায়ুমণ্ডল বলা হয়। এটি বিভিন্ন ধরনের গ্যাস এবং জলীয় বাষ্পের সংমিশ্রণে গঠিত।
উপাদান:
যদিও বায়ুমণ্ডল বিভিন্ন গ্যাস এবং বাষ্প দিয়ে তৈরি, এর প্রধান উপাদান দুটি:
-
নাইট্রোজেন (Nitrogen) – সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উপস্থিত।
-
অক্সিজেন (Oxygen) – দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিমাণে থাকে।
বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানগুলোর আনুমানিক শতকরা (%) পরিমাণ:
-
নাইট্রোজেন: ৭৮.০১% (কাছাকাছি ৭৮.১% হিসাবেও ধরা যেতে পারে)
-
অক্সিজেন: ২০.৭১%
-
আর্গন: ০.৮০%
-
জলীয় বাষ্প: ০.৪১%
-
কার্বন-ডাই-অক্সাইড: ০.০৩%
মন্তব্য: কখনও কখনও প্রশ্নপত্রে টাইপিং ভুলের কারণে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ৭৮.০১% না হয়ে ৭৮.১% দেখানো হতে পারে। প্রায় একই কারণে কাছাকাছি মানকেই সঠিক উত্তর হিসেবে ধরা হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, ভূগোল প্রথম পত্র, এইচ এস সি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
ভূতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ভূমিরূপ গঠিত হয়:
Created: 1 day ago
A
টারশিয়ারি যুগে
B
প্লাইস্টোসিন যুগে
C
কোয়াটারনারী যুগে
D
সাম্প্রতিক কালে
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি ও টারশিয়ারি যুগের পাহাড়
ভূতাত্ত্বিক গবেষণায় জানা যায়, বাংলাদেশের প্রাচীনতম ভূমিরূপ তৈরি হয়েছে টারশিয়ারি যুগে, প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে।
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতির ধরন
ভূপ্রকৃতি অনুসারে বাংলাদেশকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়,
-
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপানভূমি,
-
সাম্প্রতিক প্লাবন সমভূমি।
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
-
বাংলাদেশের মোট ভূমির প্রায় ১২% এলাকা এই যুগের পাহাড় দ্বারা গঠিত।
-
এ পাহাড়গুলো গঠিত হয়েছিল যখন হিমালয় পর্বতমালা গঠিত হয়।
-
বর্তমানে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার পাহাড়গুলো এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
-
ধারণা করা হয়, এই পাহাড়গুলো আসামের লুসাই পাহাড় এবং মিয়ানমারের আরাকান পাহাড়ের সঙ্গে একই প্রকারের।
-
এগুলো মূলত বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দিয়ে তৈরি।
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে—
ক) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
খ) উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
-
রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের পূর্বাংশে এ পাহাড় রয়েছে।
-
গড় উচ্চতা প্রায় ৬১০ মিটার।
-
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া হলো তাজিনডং (বিজয়), যার উচ্চতা ১,২৩১ মিটার।
-
এর আগে সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিসেবে পরিচিত ছিল কিওক্রাডং (১,২৩০ মিটার)।
উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
-
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার উত্তরাংশ, সিলেট জেলার উত্তর ও উত্তর-পূর্বাংশ এবং মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিণাংশে এই পাহাড় রয়েছে।
-
এ পাহাড়ের উচ্চতা গড়ে ২৪৪ মিটারের বেশি নয়।
-
এখানে ছোট ছোট পাহাড়কে স্থানীয়ভাবে টিলা বলা হয়।
-
এ টিলার উচ্চতা সাধারণত ৩০ থেকে ৯০ মিটার।
উৎস:ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 day ago
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন কাজকে পর্যায়ক্রম অনুযায়ী সাজাতে হলে কোন কাজটি সর্বপ্রথমে হবে?
Created: 1 week ago
A
পুনর্বাসন
B
ঝুঁকি (Risk) চিহ্নিতকরণ
C
দুর্যোগ প্রস্তুতি
D
দুর্যোগ প্রশমন কর্মকাণ্ড
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
ঝুঁকি ও দুর্যোগ:
ঝুঁকি বলতে আমরা বুঝি কোনো আপদ বা বিপদের সম্ভাবনা, যা পরিবেশের সঙ্গে মানুষের বা সম্পদের পারস্পরিক সম্পর্কের কারণে ক্ষতি করতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে প্রথম কাজ হলো এই ঝুঁকি চিহ্নিত করা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মূল লক্ষ্য:
-
দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো।
-
সম্পদ ও পরিবেশে ক্ষতি এড়ানো বা ক্ষতির পরিমাণ কমানো।
-
প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দ্রুত ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।
-
দুর্যোগের পর পুনরুদ্ধার কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত আইন ও নীতিমালা:
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০১৫
-
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (NPDM) ২০২১–২০২৫
-
বাংলাদেশ দ্বীপ পরিকল্পনা, ২১০০
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, একাদশ শ্রেণির ভূগোল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago