A
ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় জলবায়ু
B
ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু
C
উপক্রান্তীয় জলবায়ু
D
আর্দ্র ক্রান্তীয় জলবায়ু
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের জলবায়ু
বাংলাদেশে ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু বিদ্যমান। মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর দিকও পরিবর্তিত হয়, যাকে মৌসুমী বায়ু বলা হয়।
🔹 গ্রীষ্মকালে
-
প্রচণ্ড তাপের কারণে উত্তর গোলার্ধে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।
-
এ সময় দক্ষিণ গোলার্ধে তুলনামূলকভাবে কম তাপ থাকায় উচ্চচাপ বিদ্যমান থাকে।
-
ফলে দক্ষিণের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে বায়ু উত্তর গোলার্ধের নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
এই বায়ু সমুদ্রের ওপর দিয়ে আসায় এতে প্রচুর জলীয়বাষ্প থাকে।
-
বাংলাদেশের দিকে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে আসে, তাই একে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বলা হয়।
-
এই বায়ুর কারণেই বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
🔹 শীতকালে
-
শীতকালে অবস্থা একেবারে উল্টো হয়।
-
তখন উত্তর গোলার্ধে উচ্চচাপ এবং দক্ষিণ গোলার্ধে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।
-
ফলে উত্তর দিক থেকে বায়ু দক্ষিণের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
এই বায়ু সাধারণত স্থলভাগের ওপর দিয়ে আসে বলে এতে জলীয়বাষ্প খুবই কম থাকে।
-
বাংলাদেশের দিকে এটি উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসে, তাই একে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু বলা হয়।
-
ফলে শীতকালে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত খুব সামান্য ঘটে।
অর্থাৎ, ঋতুর পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর দিক ও বায়ুচাপের পার্থক্যের কারণে বাংলাদেশের জলবায়ুতে বৈচিত্র্য দেখা যায়।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোন জেলাতে প্লাইস্টোসিন চত্বরভূমি রয়েছে?
Created: 1 day ago
A
চাঁদপুর
B
পিরোজপুর
C
মাদারীপুর
D
গাজীপুর
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি
ভূপ্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়,
-
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপান বা উঁচুভূমি,
-
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপানসমূহ
-
আনুমানিক ২৫ হাজার বছর আগে যে সময়কাল ছিল, তাকে প্লাইস্টোসিন যুগ বলা হয়।
-
এ সময়ের মাটি সাধারণত লালচে বা ধূসর বর্ণের।
-
দেশের উত্তর-পশ্চিমে বরেন্দ্রভূমি, মধ্যাঞ্চলে মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, আর পূর্বে কুমিল্লার লালমাই উচ্চভূমি—এসবই প্লাইস্টোসিনকালের উঁচুভূমি হিসেবে গড়ে ওঠে।
বরেন্দ্রভূমি
-
গঠিত হয়েছে রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশ নিয়ে।
-
আয়তন প্রায় ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার।
-
চারপাশের সমভূমি থেকে এর উচ্চতা ৬–১২ মিটার।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের সবচেয়ে বড় উঁচুভূমি।
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়
-
অবস্থান: টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলার ভাওয়াল এলাকা।
-
আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার।
-
সমভূমির চেয়ে গড়ে ৩০ মিটার উঁচু।
-
এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচুভূমি এবং গজারী বনের প্রধান কেন্দ্র।
লালমাই পাহাড়
-
কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে, লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিলোমিটার।
-
গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 day ago
নিম্নের কোন নিয়ামকটি একটি অঞ্চলের বা দেশের জলবায়ু নির্ধারণ করে না?
Created: 5 days ago
A
অক্ষরেখা
B
দ্রাঘিমারেখা
C
উচ্চতা
D
সমুদ্রস্রোত
জলবায়ুর নিয়ামক হলো সেই সব উপাদান, যেগুলো আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
প্রধান জলবায়ুর নিয়ামকগুলো
১. অক্ষাংশ
-
সূর্যই পৃথিবীর তাপ ও আলোর মূল উৎস।
-
অক্ষাংশের ভেদে সূর্যের কিরণ কোথাও লম্বভাবে, আবার কোথাও তীর্যকভাবে পড়ে।
-
নিরক্ষরেখার কাছাকাছি সূর্যকিরণ প্রায় লম্বভাবে পড়ে এবং দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য প্রায় সমান থাকে।
-
তাই নিরক্ষীয় অঞ্চলে সবসময় তুলনামূলকভাবে বেশি গরম থাকে।
২. সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা
-
কোনো স্থানের উচ্চতা যত বেশি, তাপমাত্রা তত কম হয়।
-
একই অক্ষাংশে থাকা দুই স্থানের মধ্যে যে স্থানের উচ্চতা বেশি, সেটি তুলনায় ঠান্ডা হয়।
৩. জলভাগ ও স্থলভাগের অবস্থান
-
স্থলভাগ দ্রুত গরম ও ঠান্ডা হয়, কিন্তু জলভাগ তুলনায় ধীরে গরম-ঠান্ডা হয়।
-
জলভাগের ওপর সূর্যের তাপের বড় অংশ বাষ্পীভবনে ব্যয় হয়, কিন্তু স্থলভাগে তা হয় না।
-
এজন্য স্থলভাগ সাধারণত বেশি উষ্ণ থাকে।
৪. পাহাড়-পর্বতের অবস্থান
-
পাহাড়-পর্বত জলবায়ুকে প্রভাবিত করে।
-
এগুলো কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৫. বনভূমি
-
ঘন বনাঞ্চলে সূর্যের আলো পুরোপুরি প্রবেশ করতে পারে না।
-
এজন্য বনাঞ্চল আর্দ্র ও শীতল থাকে।
৬. সমুদ্র থেকে দূরত্ব
-
সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলে সামুদ্রিক আবহাওয়া বিরাজ করে, যা তুলনামূলকভাবে মৃদু।
-
সমুদ্র থেকে দূরে গেলে জলবায়ু চরম হয়ে যায়—গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরম, শীতে প্রচণ্ড ঠান্ডা।
৭. সমুদ্রস্রোত
-
উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের ওপর দিয়ে বইতে থাকা বাতাস উষ্ণ হয়।
-
বিপরীতে, শীতল সমুদ্রস্রোতের ওপর দিয়ে বইতে থাকা বাতাস শীতল হয়।
-
এতে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটে।
৮. বায়ুপ্রবাহ
-
সমুদ্র থেকে জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু এলে বৃষ্টি হয় এবং তাপমাত্রা কমে যায়।
-
আবার শুষ্ক বায়ু প্রবাহিত হলে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
৯. বৃষ্টিপাত
-
যেখানে বেশি বৃষ্টি হয়, সেখানকার আবহাওয়া ঠান্ডা ও আর্দ্র থাকে।
-
যেখানে বৃষ্টি কম হয়, সেখানে গরম বেশি হয়।
১০. ভূমির ঢাল
-
সূর্যের দিকে মুখ করা ঢালে সূর্যকিরণ সরাসরি পড়ে, ফলে বেশি গরম হয়।
-
বিপরীতে, সূর্যের বিপরীতে থাকা ঢালে সূর্যের আলো তির্যকভাবে পড়ে, ফলে তুলনামূলক কম গরম হয়।
১১. জলীয়বাষ্প
-
বায়ুমণ্ডলের জলীয়বাষ্প পৃথিবীর তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
-
বেশি জলীয়বাষ্প থাকলে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম হয়।
১২. দিনের দৈর্ঘ্য
-
দিনের দৈর্ঘ্য বেশি হলে সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠ বেশি উত্তপ্ত হয়।
-
রাত ছোট হলে শীত কম অনুভূত হয়।
১৩. বায়ুর আর্দ্রতা
-
আর্দ্র বায়ু জলবায়ুর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
-
এ ধরনের বায়ুতে দিনে খুব গরম এবং রাতে খুব ঠান্ডা অনুভূত হয়।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

1
Updated: 5 days ago
নিচের কোনটি আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান নয়?
Created: 2 weeks ago
A
বায়ুর চাপ
B
পানিচক্র ও বৃষ্টিপাত
C
বায়ুর তাপ
D
বনভূমির অবস্থান
আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান
-
বায়ুর তাপ
-
বায়ুর চাপ
-
বায়ু প্রবাহ
-
বায়ুর আর্দ্রতা
-
পানিচক্র ও বৃষ্টিপাত
আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ামক
-
অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ
-
সমুদ্রস্রোত
-
বায়ু প্রবাহ
-
সমুদ্র থেকে দূরত্ব
-
বনভূমির অবস্থান
-
ভূমির বন্ধুরতা / ঢাল / পর্বতের অবস্থান (বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে)
-
মৃত্তিকার গঠন
-
ভূপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা (উচ্চতার সাথে তাপ ও চাপের পরিবর্তন)

0
Updated: 2 weeks ago