কোনটি জলজ আবহাওয়াজনিত ( hydro-meteorological) দুর্যোগ নয়?
A
ভূমিকম্প
B
ভূমিধস
C
নদীভাঙ্গন
D
ঘূর্ণিঝড়
উত্তরের বিবরণ
ভূমিকম্প (Earthquake)
ভূমিকম্প হলো যখন ভূ-পৃষ্ঠ হঠাৎ কেঁপে ওঠে। এটি ঘটে সাধারণত ভূ-আলোড়ন বা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে।
-
ভূ-গর্ভে যেই স্থানে কম্পন সৃষ্টি হয়, তাকে কম্পকেন্দ্র (Focus) বা উৎসস্থল বলা হয়।
-
কম্পকেন্দ্রের ঠিক উপরে ভূ-পৃষ্ঠের বিন্দুকে উপকেন্দ্র (Epicenter) বলা হয়।
-
সাধারণত ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভূ-ত্বকের ৩২ কিমি-এর মধ্যে থাকে, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও গভীরে হতে পারে।
-
কম্পকেন্দ্র থেকে ভূমিকম্পের ঢেউ চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
মাপার যন্ত্র:
-
ভূমিকম্পের কম্পন মাপার যন্ত্রকে সিসমোমিটার (Seismometer) বলে।
-
সিসমোমিটারের মাধ্যমে যে রেখা আঁকা হয়, তাকে সিসমোগ্রাফ (Seismograph) বলা হয়।
ভূমিকম্পের কারণ
প্রধান কারণ:
-
পৃথিবীর ভূ-ত্বক অনেকগুলো প্লেট বা ফলক দ্বারা গঠিত।
-
এই প্লেটগুলো যেসব স্থানে একে অপরের সাথে ধাক্কা খায় বা সরে যায়, সেই স্থানগুলোতে ভূমিকম্প হয়।
-
অগ্নুৎপাতের কারণে প্লেটগুলোর নড়াচড়াও ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে।
অপ্রধান কারণ:
-
শিলাচ্যুতি বা পাথরের ছন্দহীন নড়াচড়া
-
ভূ-গর্ভস্থ তাপ বিকিরণ
-
ভূ-গর্ভস্থ বাষ্পের চাপ
-
ভূ-গর্ভস্থ চাপের বৃদ্ধি বা হ্রাস
-
হিমবাহের গলন বা চাপের প্রভাব
উদাহরণ:
ভূমিকম্প কখনও কখনও প্রকৃতির হঠাৎ পরিবর্তন বা প্লেটের নড়াচড়ার কারণে ঘটে। এটি জলজ বা আবহাওয়াজনিত (Hydro-meteorological) দুর্যোগ নয়, যেমন ভূমিধস, নদীভাঙ্গন বা ঘূর্ণিঝড়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন জেলাতে প্লাইস্টোসিন চত্বরভূমি রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
চাঁদপুর
B
পিরোজপুর
C
মাদারীপুর
D
গাজীপুর
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি
ভূপ্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়,
-
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপান বা উঁচুভূমি,
-
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপানসমূহ
-
আনুমানিক ২৫ হাজার বছর আগে যে সময়কাল ছিল, তাকে প্লাইস্টোসিন যুগ বলা হয়।
-
এ সময়ের মাটি সাধারণত লালচে বা ধূসর বর্ণের।
-
দেশের উত্তর-পশ্চিমে বরেন্দ্রভূমি, মধ্যাঞ্চলে মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, আর পূর্বে কুমিল্লার লালমাই উচ্চভূমি—এসবই প্লাইস্টোসিনকালের উঁচুভূমি হিসেবে গড়ে ওঠে।
বরেন্দ্রভূমি
-
গঠিত হয়েছে রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশ নিয়ে।
-
আয়তন প্রায় ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার।
-
চারপাশের সমভূমি থেকে এর উচ্চতা ৬–১২ মিটার।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের সবচেয়ে বড় উঁচুভূমি।
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়
-
অবস্থান: টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলার ভাওয়াল এলাকা।
-
আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার।
-
সমভূমির চেয়ে গড়ে ৩০ মিটার উঁচু।
-
এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচুভূমি এবং গজারী বনের প্রধান কেন্দ্র।
লালমাই পাহাড়
-
কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে, লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিলোমিটার।
-
গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
’শুভলং’ ঝরনা কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
রাঙামাটি
B
বান্দরবান
C
মৌলভীবাজার
D
সিলেট
শুভলং ঝর্ণা, রাঙামাটি
শুভলং ঝর্ণা বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলায় অবস্থিত। রাঙামাটি শহর থেকে ঝর্ণাটি মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে।
-
শুকনো মৌসুমে ঝর্ণায় খুব সামান্য পানি থাকে।
-
বর্ষা মৌসুমে ঝর্ণার জল প্রায় ৩০০ ফুট উচ্চতা থেকে নিচে পড়ে এবং কাপ্তাই হ্রদের জলে মিশে যায়।
রাঙামাটিতে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন:
-
কাপ্তাই হ্রদ
-
চাকমা রাজবাড়ি
-
রাজবন বৌদ্ধ বিহার
-
পর্যটকপ্রিয় ঝুলন্ত সেতু
-
ফুরামোন পর্বত
-
উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ও জাদুঘর
-
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য
উৎস: বাংলাপিডিয়া

1
Updated: 1 month ago
'জুম' চাষ পদ্ধতি বাংলাদেশের কোন জেলাসমূহে দেখা যায়?
Created: 1 month ago
A
সাতক্ষীরা, যশোহর, কুষ্টিয়া
B
নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ
C
বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম
D
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাসমূহ
জুমচাষ (Jhum) পদ্ধতি
-
জুমচাষ বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
-
জুমচাষ মানে হলো স্থানের পরিবর্তন করে চাষ করা। এর মাধ্যমে কৃষকরা এক জায়গায় কয়েক বছর (প্রায় ১–৩ বছর) ফসল চাষ করেন, তারপর সেই জমিকে দীর্ঘ সময় (১০–৪০ বছর) বনায়ন ও মাটির উর্বরতা পুনরুদ্ধারের জন্য ফেলে দেন।
-
চাষ করার পদ্ধতিতে বন কেটে বা পোড়ানো হয়, তাই এটিকে সাধারণভাবে ‘সুইডেন চাষাবাদ’ বা জঙ্গল পরিষ্কার ও পোড়ানো চাষাবাদ’ বলা হয়।
-
জুমচাষ কেবল বাংলাদেশে নয়, ভারত, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য পাহাড়ি দেশে দেখা যায়।
-
বাংলাদেশে এটি প্রধানত রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে হয়। এছাড়া সিলেটের কিছু পাহাড়ি এলাকায়ও জুমচাষ হয়।
-
পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে জুমচাষের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
জুমচাষের নেতিবাচক প্রভাব:
-
মাটির উর্বরতা হ্রাস।
-
ভূমিক্ষয় ও পাহাড়ি ঢালে ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।
-
বন উজাড় ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট।
-
নদী, হ্রদ ও জলাশয় ভরাট হওয়া।
উৎস: বাংলাপিডিয়া; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি, সপ্তম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago