A
টারশিয়ারি যুগে
B
প্লাইস্টোসিন যুগে
C
কোয়াটারনারী যুগে
D
সাম্প্রতিক কালে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি ও টারশিয়ারি যুগের পাহাড়
ভূতাত্ত্বিক গবেষণায় জানা যায়, বাংলাদেশের প্রাচীনতম ভূমিরূপ তৈরি হয়েছে টারশিয়ারি যুগে, প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে।
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতির ধরন
ভূপ্রকৃতি অনুসারে বাংলাদেশকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়,
-
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপানভূমি,
-
সাম্প্রতিক প্লাবন সমভূমি।
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
-
বাংলাদেশের মোট ভূমির প্রায় ১২% এলাকা এই যুগের পাহাড় দ্বারা গঠিত।
-
এ পাহাড়গুলো গঠিত হয়েছিল যখন হিমালয় পর্বতমালা গঠিত হয়।
-
বর্তমানে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার পাহাড়গুলো এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
-
ধারণা করা হয়, এই পাহাড়গুলো আসামের লুসাই পাহাড় এবং মিয়ানমারের আরাকান পাহাড়ের সঙ্গে একই প্রকারের।
-
এগুলো মূলত বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দিয়ে তৈরি।
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে—
ক) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
খ) উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
-
রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের পূর্বাংশে এ পাহাড় রয়েছে।
-
গড় উচ্চতা প্রায় ৬১০ মিটার।
-
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া হলো তাজিনডং (বিজয়), যার উচ্চতা ১,২৩১ মিটার।
-
এর আগে সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিসেবে পরিচিত ছিল কিওক্রাডং (১,২৩০ মিটার)।
উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
-
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার উত্তরাংশ, সিলেট জেলার উত্তর ও উত্তর-পূর্বাংশ এবং মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিণাংশে এই পাহাড় রয়েছে।
-
এ পাহাড়ের উচ্চতা গড়ে ২৪৪ মিটারের বেশি নয়।
-
এখানে ছোট ছোট পাহাড়কে স্থানীয়ভাবে টিলা বলা হয়।
-
এ টিলার উচ্চতা সাধারণত ৩০ থেকে ৯০ মিটার।
উৎস:ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 day ago
বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ কত শতাংশ?
Created: 1 week ago
A
৭৫.৮%
B
৭৮.১%
C
৭৯.২%
D
প্রায় ৮০%
বায়ুমণ্ডল (Atmosphere)
পৃথিবীর পৃষ্ঠের চারপাশে থাকা অদৃশ্য বায়বীয় আবরণকে বায়ুমণ্ডল বলা হয়। এটি বিভিন্ন ধরনের গ্যাস এবং জলীয় বাষ্পের সংমিশ্রণে গঠিত।
উপাদান:
যদিও বায়ুমণ্ডল বিভিন্ন গ্যাস এবং বাষ্প দিয়ে তৈরি, এর প্রধান উপাদান দুটি:
-
নাইট্রোজেন (Nitrogen) – সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উপস্থিত।
-
অক্সিজেন (Oxygen) – দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিমাণে থাকে।
বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানগুলোর আনুমানিক শতকরা (%) পরিমাণ:
-
নাইট্রোজেন: ৭৮.০১% (কাছাকাছি ৭৮.১% হিসাবেও ধরা যেতে পারে)
-
অক্সিজেন: ২০.৭১%
-
আর্গন: ০.৮০%
-
জলীয় বাষ্প: ০.৪১%
-
কার্বন-ডাই-অক্সাইড: ০.০৩%
মন্তব্য: কখনও কখনও প্রশ্নপত্রে টাইপিং ভুলের কারণে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ৭৮.০১% না হয়ে ৭৮.১% দেখানো হতে পারে। প্রায় একই কারণে কাছাকাছি মানকেই সঠিক উত্তর হিসেবে ধরা হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, ভূগোল প্রথম পত্র, এইচ এস সি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোন জেলাতে প্লাইস্টোসিন চত্বরভূমি রয়েছে?
Created: 1 day ago
A
চাঁদপুর
B
পিরোজপুর
C
মাদারীপুর
D
গাজীপুর
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি
ভূপ্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়,
-
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপান বা উঁচুভূমি,
-
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপানসমূহ
-
আনুমানিক ২৫ হাজার বছর আগে যে সময়কাল ছিল, তাকে প্লাইস্টোসিন যুগ বলা হয়।
-
এ সময়ের মাটি সাধারণত লালচে বা ধূসর বর্ণের।
-
দেশের উত্তর-পশ্চিমে বরেন্দ্রভূমি, মধ্যাঞ্চলে মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, আর পূর্বে কুমিল্লার লালমাই উচ্চভূমি—এসবই প্লাইস্টোসিনকালের উঁচুভূমি হিসেবে গড়ে ওঠে।
বরেন্দ্রভূমি
-
গঠিত হয়েছে রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশ নিয়ে।
-
আয়তন প্রায় ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার।
-
চারপাশের সমভূমি থেকে এর উচ্চতা ৬–১২ মিটার।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের সবচেয়ে বড় উঁচুভূমি।
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়
-
অবস্থান: টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলার ভাওয়াল এলাকা।
-
আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার।
-
সমভূমির চেয়ে গড়ে ৩০ মিটার উঁচু।
-
এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচুভূমি এবং গজারী বনের প্রধান কেন্দ্র।
লালমাই পাহাড়
-
কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে, লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিলোমিটার।
-
গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 day ago
কোনটি জলজ আবহাওয়াজনিত ( hydro-meteorological) দুর্যোগ নয়?
Created: 1 day ago
A
ভূমিকম্প
B
ভূমিধস
C
নদীভাঙ্গন
D
ঘূর্ণিঝড়
ভূমিকম্প (Earthquake)
ভূমিকম্প হলো যখন ভূ-পৃষ্ঠ হঠাৎ কেঁপে ওঠে। এটি ঘটে সাধারণত ভূ-আলোড়ন বা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে।
-
ভূ-গর্ভে যেই স্থানে কম্পন সৃষ্টি হয়, তাকে কম্পকেন্দ্র (Focus) বা উৎসস্থল বলা হয়।
-
কম্পকেন্দ্রের ঠিক উপরে ভূ-পৃষ্ঠের বিন্দুকে উপকেন্দ্র (Epicenter) বলা হয়।
-
সাধারণত ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভূ-ত্বকের ৩২ কিমি-এর মধ্যে থাকে, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও গভীরে হতে পারে।
-
কম্পকেন্দ্র থেকে ভূমিকম্পের ঢেউ চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
মাপার যন্ত্র:
-
ভূমিকম্পের কম্পন মাপার যন্ত্রকে সিসমোমিটার (Seismometer) বলে।
-
সিসমোমিটারের মাধ্যমে যে রেখা আঁকা হয়, তাকে সিসমোগ্রাফ (Seismograph) বলা হয়।
ভূমিকম্পের কারণ
প্রধান কারণ:
-
পৃথিবীর ভূ-ত্বক অনেকগুলো প্লেট বা ফলক দ্বারা গঠিত।
-
এই প্লেটগুলো যেসব স্থানে একে অপরের সাথে ধাক্কা খায় বা সরে যায়, সেই স্থানগুলোতে ভূমিকম্প হয়।
-
অগ্নুৎপাতের কারণে প্লেটগুলোর নড়াচড়াও ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে।
অপ্রধান কারণ:
-
শিলাচ্যুতি বা পাথরের ছন্দহীন নড়াচড়া
-
ভূ-গর্ভস্থ তাপ বিকিরণ
-
ভূ-গর্ভস্থ বাষ্পের চাপ
-
ভূ-গর্ভস্থ চাপের বৃদ্ধি বা হ্রাস
-
হিমবাহের গলন বা চাপের প্রভাব
উদাহরণ:
ভূমিকম্প কখনও কখনও প্রকৃতির হঠাৎ পরিবর্তন বা প্লেটের নড়াচড়ার কারণে ঘটে। এটি জলজ বা আবহাওয়াজনিত (Hydro-meteorological) দুর্যোগ নয়, যেমন ভূমিধস, নদীভাঙ্গন বা ঘূর্ণিঝড়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 day ago