নিচের কোন ভৌগোলিক এলাকাটি 'রামসার সাইট' হিসেবে স্বীকৃত?
A
রামসাগর
B
বগা লেইক (Lake)
C
টাঙ্গুয়ার হাওর
D
কাপ্তাই হ্রদ
উত্তরের বিবরণ
রামসার কনভেনশন
-
রামসার কনভেনশন (Ramsar Convention) হলো জলাভূমি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশ্বের দেশগুলোর যৌথ উদ্যোগ।
-
এটিই পরিবেশ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে গৃহীত প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি।
-
১৯৭১ সালে ইরানের রামসার শহরে বিভিন্ন দেশ একত্র হয়ে Convention on Wetlands নামে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
-
চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭৫ সালে।
-
বর্তমানে এর সদস্য দেশের সংখ্যা ১৭২টি।
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
-
বাংলাদেশ ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২ সালে রামসার কনভেনশনের সদস্য হয়।
-
দেশে মোট ২টি স্থান রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃত:
১. সুন্দরবন
২. টাঙ্গুয়ার হাওর
উৎস:

0
Updated: 1 month ago
একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত অঞ্চলসমূহকে যে কাল্পনিক রেখার সাহায্যে দেখানো হয় তার নাম-
Created: 1 month ago
A
আইসােপ্লিথ
B
আইসোহাইট
C
আইসােহ্যালাইন
D
আইসোথার্ম
সমরেখ পদ্ধতি হল একটি মানচিত্রে বিভিন্ন অঞ্চলের সমমান বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনের প্রক্রিয়া, যা প্রকৃতিক ও পরিমাণগত উপাত্তের ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এ পদ্ধতিতে একই মান বিশিষ্ট বিভিন্ন স্থানের মধ্যে রেখার মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হয়, যা তথ্যকে সহজে বোঝার উপযোগী করে।
-
পরিমাণগত বা ঘনত্ব জ্ঞাপক একই মান বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয় তাকে সমমান রেখা বা Isopleth line বলা হয়।
-
এই রেখা সাধারণত সমমান বিশিষ্ট অঞ্চলগুলোকে অতিক্রম করে।
-
প্রকৃতিক বিষয় যেমন আবহাওয়া, জলবায়ু, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি সংক্রান্ত উপাত্ত প্রদর্শনের জন্য সমরেখ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, সমতাপ বা সমোষ্ণরেখা, সমচাপ রেখা, সমবর্ষণ রেখা, এবং সমোচ্চরেখা।
বিশেষ রেখাগুলো:
-
সমোষ্ণ রেখা (Isotherm line): ভূপৃষ্ঠের সমান তাপমাত্রার স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয়।
-
সমচাপ রেখা (Isobar line): বায়ুর সমচাপযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমবর্ষণ রেখা (Isohyet line): সম বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমোচ্চরেখা (Contour line): সমান উচ্চতা বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
এ সমস্ত রেখা মূলত কাল্পনিক এবং মানচিত্রে তথ্যকে চিত্রায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 month ago
মধ্যম উচ্চতার মেঘ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সিরাস
B
নিম্বাস
C
অল্টোকিউম্যুলাস
D
স্ট্রেটাস
মেঘসমূহ তাদের অবস্থান এবং উচ্চতার ভিত্তিতে তিনটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত। উঁচু, মাঝারি এবং নিম্ন উচ্চতার মেঘ এই শ্রেণিবিভাগের মধ্যে পড়ে এবং প্রতিটি শ্রেণির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও ধরন রয়েছে।
-
উঁচু উচ্চতার মেঘ: এই মেঘসমূহ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬,০০০ মিটারের উপরে অবস্থান করে। সাধারণত পাতলা এবং হালকা হয়। উঁচু উচ্চতার মেঘের মধ্যে রয়েছে:
-
সিরাস
-
সিরোকিউম্যুলাস
-
সিরোস্ট্রেটাস
-
-
মাঝারি উচ্চতার মেঘ: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,০০০ থেকে ৬,০০০ মিটার উচ্চতায় থাকা মেঘগুলোকে মাঝারি উচ্চতার মেঘ বলা হয়। এদের বৈশিষ্ট্য হলো তুলনামূলকভাবে ঘন এবং আংশিক আড়ম্বরপূর্ণ আকারের হওয়া। এতে অন্তর্ভুক্ত:
-
অল্টোস্ট্রেটাস
-
কিউম্যুলাসস্ট্রেটাস
-
নিম্বোস্ট্রেটাস
-
-
নিম্ন উচ্চতার মেঘ: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,০০০ মিটারের নিচে অবস্থান করা মেঘগুলোকে নিম্ন উচ্চতার মেঘ বলা হয়। এই মেঘগুলো সাধারণত ঘন, ভারী এবং বৃষ্টিপাত সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ। এতে রয়েছে:
-
স্ট্রেটাস
-
স্ট্রেটোকিউম্যুলাস
-
কিউম্যুলাস
-
কিউম্যুলোনিম্বাস
-

0
Updated: 1 month ago
ভূতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ভূমিরূপ গঠিত হয়:
Created: 1 month ago
A
টারশিয়ারি যুগে
B
প্লাইস্টোসিন যুগে
C
কোয়াটারনারী যুগে
D
সাম্প্রতিক কালে
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি ও টারশিয়ারি যুগের পাহাড়
ভূতাত্ত্বিক গবেষণায় জানা যায়, বাংলাদেশের প্রাচীনতম ভূমিরূপ তৈরি হয়েছে টারশিয়ারি যুগে, প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে।
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতির ধরন
ভূপ্রকৃতি অনুসারে বাংলাদেশকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়,
-
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপানভূমি,
-
সাম্প্রতিক প্লাবন সমভূমি।
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
-
বাংলাদেশের মোট ভূমির প্রায় ১২% এলাকা এই যুগের পাহাড় দ্বারা গঠিত।
-
এ পাহাড়গুলো গঠিত হয়েছিল যখন হিমালয় পর্বতমালা গঠিত হয়।
-
বর্তমানে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার পাহাড়গুলো এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
-
ধারণা করা হয়, এই পাহাড়গুলো আসামের লুসাই পাহাড় এবং মিয়ানমারের আরাকান পাহাড়ের সঙ্গে একই প্রকারের।
-
এগুলো মূলত বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দিয়ে তৈরি।
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে—
ক) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
খ) উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
-
রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের পূর্বাংশে এ পাহাড় রয়েছে।
-
গড় উচ্চতা প্রায় ৬১০ মিটার।
-
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া হলো তাজিনডং (বিজয়), যার উচ্চতা ১,২৩১ মিটার।
-
এর আগে সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিসেবে পরিচিত ছিল কিওক্রাডং (১,২৩০ মিটার)।
উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
-
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার উত্তরাংশ, সিলেট জেলার উত্তর ও উত্তর-পূর্বাংশ এবং মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিণাংশে এই পাহাড় রয়েছে।
-
এ পাহাড়ের উচ্চতা গড়ে ২৪৪ মিটারের বেশি নয়।
-
এখানে ছোট ছোট পাহাড়কে স্থানীয়ভাবে টিলা বলা হয়।
-
এ টিলার উচ্চতা সাধারণত ৩০ থেকে ৯০ মিটার।
উৎস:ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago