বাংলাদেশের এফসিডিআই প্রকল্পের উদ্দেশ্য:
A
বন্যা নিয়ন্ত্রণ
B
পানি নিষ্কাশন
C
পানি সেচ
D
উপরের তিনটি (ক, খ ও গ)
উত্তরের বিবরণ
এফসিডিআই (FCDIP) প্রকল্প
FCDIP-এর পূর্ণরূপ: Flood Control, Drainage and Irrigation Projects (বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প)।
বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি অপেক্ষাকৃত নিচু হওয়ায় স্বাভাবিক বছরে দেশের প্রায় ২০% এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। আবার ১৯৯৮ সালের মতো ভয়াবহ বন্যায় এই হার প্রায় ৭০% পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় এফসিডিআই প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে—
-
বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণ,
-
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন এবং
-
সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়।
ফলস্বরূপ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং জমি ব্যবহার আরও উপযোগী হয়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (BWDB) গঠনের জন্য Bangladesh Water and Power Development Boards Order, 1972 (P.O. No. 59 of 1972) জারি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নকে আরও কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০০০ প্রণয়ন করা হয়।
মূল উদ্দেশ্য
এফসিডিআই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য তিনটি—
-
বন্যা নিয়ন্ত্রণ
-
পানি নিষ্কাশন
-
সেচ সুবিধা নিশ্চিতকরণ
উৎস: বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর
0
Updated: 1 month ago
ভূতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ভূমিরূপ গঠিত হয়:
Created: 1 month ago
A
টারশিয়ারি যুগে
B
প্লাইস্টোসিন যুগে
C
কোয়াটারনারী যুগে
D
সাম্প্রতিক কালে
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি ও টারশিয়ারি যুগের পাহাড়
ভূতাত্ত্বিক গবেষণায় জানা যায়, বাংলাদেশের প্রাচীনতম ভূমিরূপ তৈরি হয়েছে টারশিয়ারি যুগে, প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে।
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতির ধরন
ভূপ্রকৃতি অনুসারে বাংলাদেশকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়,
-
প্লাইস্টোসিন যুগের সোপানভূমি,
-
সাম্প্রতিক প্লাবন সমভূমি।
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
-
বাংলাদেশের মোট ভূমির প্রায় ১২% এলাকা এই যুগের পাহাড় দ্বারা গঠিত।
-
এ পাহাড়গুলো গঠিত হয়েছিল যখন হিমালয় পর্বতমালা গঠিত হয়।
-
বর্তমানে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার পাহাড়গুলো এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
-
ধারণা করা হয়, এই পাহাড়গুলো আসামের লুসাই পাহাড় এবং মিয়ানমারের আরাকান পাহাড়ের সঙ্গে একই প্রকারের।
-
এগুলো মূলত বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দিয়ে তৈরি।
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে—
ক) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
খ) উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
-
রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের পূর্বাংশে এ পাহাড় রয়েছে।
-
গড় উচ্চতা প্রায় ৬১০ মিটার।
-
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া হলো তাজিনডং (বিজয়), যার উচ্চতা ১,২৩১ মিটার।
-
এর আগে সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিসেবে পরিচিত ছিল কিওক্রাডং (১,২৩০ মিটার)।
উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
-
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার উত্তরাংশ, সিলেট জেলার উত্তর ও উত্তর-পূর্বাংশ এবং মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিণাংশে এই পাহাড় রয়েছে।
-
এ পাহাড়ের উচ্চতা গড়ে ২৪৪ মিটারের বেশি নয়।
-
এখানে ছোট ছোট পাহাড়কে স্থানীয়ভাবে টিলা বলা হয়।
-
এ টিলার উচ্চতা সাধারণত ৩০ থেকে ৯০ মিটার।
উৎস:ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোন দেশটির সাথে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
চীন
B
পাকিস্তান
C
থাইল্যান্ড
D
মায়ানমার
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যা দেশের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও কৌশলগত অবস্থানকে স্পষ্ট করে। নিচে এর বিস্তারিত দেওয়া হলো।
-
বাংলাদেশ ২০°৩৪′ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬°৩৮′ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮°০১′ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯২°৪১′ পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
দেশের মাঝখান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা (২৩°৫′) অতিক্রম করেছে।
-
পূর্ব থেকে পশ্চিমে সর্বোচ্চ বিস্তৃতি ৪৪০ কিলোমিটার এবং উত্তর-উত্তর পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃতি ৭৬০ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত।
-
দেশের তিনদিকের মূলভাগ ভারত ও মিয়ানমার দ্বারা বেষ্টিত, আর দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর।
-
ভারত ও মিয়ানমার উভয় দেশের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে মোট ৩২টি জেলার।
-
এর মধ্যে ভারতের সাথে ৩০টি জেলা এবং মিয়ানমারের সাথে ৩টি জেলা সীমান্ত ভাগাভাগি করেছে।
-
উল্লেখযোগ্যভাবে, রাঙামাটি জেলা ভারতের সাথেও এবং মিয়ানমারের সাথেও সীমান্তযুক্ত।
0
Updated: 1 month ago
‘বেঙ্গল ফ্যান’-ভূমিরূপটি কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
মধুপুর গড়ে
B
বঙ্গোপসাগরে
C
হাওর অঞ্চলে
D
টারশিয়ারি পাহাড়ে
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড (Swatch of No Ground) হলো একটি বিশেষ খাদ আকৃতির সামুদ্রিক অববাহিকা বা গিরিখাত, যা বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানকে কৌণিকভাবে অতিক্রম করেছে।
এটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপের পশ্চিমে অবস্থান করে এবং গঙ্গা খাদ নামেও পরিচিত। সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের আকার, গভীরতা এবং ভূ-আকৃতি সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো নিচে দেওয়া হলো:
-
প্রস্থ: ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার
-
তলদেশ: তুলনামূলকভাবে সমতল
-
পার্শ্ব দেয়াল: প্রায় ১২ ডিগ্রি হেলানো
-
মহীসোপানের কিনারায় গভীরতা: প্রায় ১,২০০ মিটার
-
এটি বঙ্গোপসাগরের ১৪ কিলোমিটার প্রশস্ত গভীর সমুদ্রের উপত্যকা
বেঙ্গল ফ্যানের সাথে সম্পর্কিত তথ্যগুলো হলো:
-
বেঙ্গল ফ্যান ভূমিরূপটি সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে পাওয়া যায়
-
গবেষণায় দেখা গেছে, সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড অবক্ষেপপূর্ণ ঘোলাটে স্রোত এনে বেঙ্গল ফ্যানে পলল জমা করছে
-
বেঙ্গল ডিপ সি ফ্যানের অধিকাংশ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সঙ্গমস্থলে উৎপন্ন
-
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড সাবমেরিন উপত্যকার গভীরতম অংশ প্রায় ১৩৫০ মিটার
-
এই উপত্যকা বেঙ্গল ফ্যান বা বঙ্গ পাখার অংশ, যা বিশ্বের বৃহত্তম সাবমেরিন পাখা হিসেবে পরিচিত
0
Updated: 1 month ago