A
কামরুল হাসান
B
জয়নুল আবেদিন
C
হাশেম খান
D
হামিদুর রহমান
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার — শিল্পী কামরুল হাসান।
১৯৭২ সালে কামরুল হাসান সবুজের মাঝে লাল বৃত্তের জাতীয় পতাকার নকশা করেন।
- এর পূর্বে ব্যবহৃত মানচিত্র খচিত পতাকাটি ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান জহুরুল হক হলের ১১৬ নং কক্ষে শিবনারায়ণ দাস ও আরো কয়েকজন মিলে চূড়ান্ত করেন যা ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম রব প্রথম উত্তোলন করেন।
১৯৭১ সালের ২৩ শে মার্চ বাংলাদেশের সর্বত্র পাকিস্তানের পতাকা’র পরিবর্তে লাল-সবুজের পতাকা উড়ানো হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার বর্তমান রূপটি গৃহীত হয় ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি।
১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার বর্তমান রূপটি সরকারিভাবে গৃহীত হয়।
‘জাতীয় পতাকা’ গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০ : ৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকিবে।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?
Created: 2 weeks ago
A
জয়নুল আবেদিন
B
কামরুল হাসান
C
হামিদুর রহমান
D
হাশেম খান
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশা করেন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান। তিনি ১৯৭২ সালে পতাকার বর্তমান রূপটি তৈরি করেন, যেখানে একটি গাঢ় সবুজ পটভূমির উপর একটি লাল বৃত্ত স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে যে পতাকাটি ব্যবহৃত হয়েছিল, তাতে লাল বৃত্তের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র যুক্ত ছিল। ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের ১১৬ নম্বর কক্ষে শিবনারায়ণ দাস ও তাঁর সহযোদ্ধারা এই মানচিত্রযুক্ত পতাকার নকশা চূড়ান্ত করেন।
এই পতাকা প্রথমবারের মতো উত্তোলন করেন তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রব, ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায়।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ দেশের নানা প্রান্তে পাকিস্তানি পতাকার পরিবর্তে নতুন এই লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলিত হয়, যা জাতির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠে।
মুক্তিযুদ্ধ শেষে, ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি জাতীয় পতাকার বর্তমান রূপটি চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হয় এবং একই বছরের ১৭ জানুয়ারি এটি সরকারিভাবে গৃহীত হয়।
বর্তমান জাতীয় পতাকাটি একটি আয়তাকার, যার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০:৬। সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত রয়েছে, যা দেশের আত্মত্যাগ এবং সূর্যোদয়ের প্রতীক।
তথ্যসূত্র:
-
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি)
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?
Created: 2 months ago
A
জয়নুল আবেদীন
B
কামরুল হাসান
C
হাশেম খান
D
হামিদুর রহমান
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশাকার ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান
কামরুল হাসান
-
তিনি একজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী ছিলেন।
-
তাঁর পুরো নাম ছিল আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
-
১৯২১ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি কলকাতায়, তাঁর পিতার কর্মস্থলে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ১৯৬৯-৭০ সালের স্বাধিকার ও অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
-
‘পটুয়া কামরুল হাসান’ নামেই তিনি জনসাধারণের মাঝে বেশি পরিচিত ছিলেন।
-
১৯৬০ সালে তিনি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের নকশাকেন্দ্রে প্রধান নকশাবিদ হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
তাঁর চিত্রকর্মে প্রধান উপাদান হিসেবে দেখা যায় – নারী-পুরুষ, বিভিন্ন প্রাণী (বিশেষত গরু ও শৃগাল), সাপ ও প্রকৃতি।
-
চিত্রকলায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন সময়ে একাধিক পুরস্কার ও সম্মান লাভ করেন।
-
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে: প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫), কুমিল্লা ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৭৯), চারুশিল্পী সংসদের সম্মাননা (১৯৮৪), এবং বাংলা একাডেমির ফেলোশিপ (১৯৮৫)।
• শিল্পকর্ম ও অবদান
-
কামরুল হাসান ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীক এবং জাতীয় পতাকার নকশাকার।
-
তাঁর বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘তিন কন্যা’ ও ‘নাইওর’ অবলম্বনে যুগোস্লাভ সরকার (১৯৮৫) এবং বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকিট প্রকাশ করে।
-
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিখ্যাত “বলাকা” লোগোও তাঁর নকশা করা।
-
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে – ‘রায়বেশে নৃত্য’, ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’, এবং ‘দেশ আজ বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে’।
• অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য
-
দুর্ভিক্ষচিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন আরেক বিখ্যাত চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন।
-
বাংলাদেশের সংবিধান গ্রন্থের অলংকরণ ও সজ্জার মূল তত্ত্বাবধানে ছিলেন জয়নুল আবেদীন, আর অঙ্গসজ্জার কাজ করেন হাশেম খান।
-
বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ হামিদুর রহমান (১৯৪৫–১৯৭১) ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিপাহি, যিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।
তথ্যসূত্র
i) বাংলাপিডিয়া
ii) বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা : নবম-দশম শ্রেণি
iii) বণিক বার্তা, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

0
Updated: 2 months ago