ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অনুবাদ গ্রন্থ 'শকুন্তলা' কোন কবির রচনা অবলম্বনে অনুবাদ করা হয়েছিল?
A
বাল্মীকি
B
কালিদাস
C
মার্শম্যান
D
মৈনাসত
উত্তরের বিবরণ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০–১৮৯১)
-
পূর্ণ নাম: ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
-
তিনি অনেক সময় “ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা” নামেও স্বাক্ষর করতেন।
-
সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অসাধারণ পাণ্ডিত্যের জন্য ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাঁকে “বিদ্যাসাগর” উপাধি প্রদান করে।
-
১৮৪১ সালের ২৯ ডিসেম্বর, মাত্র একুশ বছর বয়সে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান পণ্ডিত হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
-
তাঁর আত্মজীবনীমূলক অসমাপ্ত রচনা: ‘আত্মচরিত’।
অনুবাদ গ্রন্থসমূহ
-
ভ্রান্তিবিলাস – শেক্সপিয়রের Comedy of Errors অবলম্বনে।
-
বেতালপঞ্চবিংশতি – হিন্দি বৈতালপচ্চিসি এর বঙ্গানুবাদ।
-
শকুন্তলা – কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলাম অনুসারে।
-
সীতার বনবাস – রামায়ণ অনুসারে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; উচ্চমাধ্যমিক সাহিত্যপাঠ; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত মৌলিক গ্রন্থ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
সীতার বনবাস
B
অল্প হইল
C
শকুন্তলা
D
ব্রজবিলাস
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট সংস্কৃত পণ্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ এবং সমাজসংস্কারক। তিনি জনহিতৈষী চিন্তাধারার অধিকারী এবং বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে সুপরিচিত।
-
জন্ম ও মৃত্যু: ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন; ২৯ জুলাই, ১৮৯১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
-
পদবি ও স্বাক্ষর: পৈতৃক পদবি বন্দ্যোপাধ্যায়; স্বাক্ষর করতেন 'ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা' নামে।
-
উপাধি: ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাঁকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদান করে।
-
ভাষা ও সাহিত্য: বাংলা গদ্যের প্রবর্তক; প্রথম যতি বা বিরামচিহ্ন স্থাপন করেন।
-
প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ: 'বেতাল পঞ্চবিংশতি'।
-
বাংলা ভাষায় প্রথম মৌলিক গদ্য রচনা: 'প্রভাবতী সম্ভাষণ'।
-
ব্যাকরণ গ্রন্থ: 'ব্যাকরণ কৌমুদী'।
বিখ্যাত গ্রন্থ:
-
শকুন্তলা
-
সীতার বনবাস
-
ভ্রান্তিবিলাস
মৌলিক রচনা:
-
অতি অল্প হইল
-
আবার অতি অল্প হইল
-
ব্রজবিলাস
-
বিধবা বিবাহ ও যশোরের হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা
-
রত্ন পরীক্ষা
শিক্ষামূলক গ্রন্থ:
-
আখ্যান মঞ্জরী
-
বোধোদয়
-
বর্ণপরিচয়
-
কথামালা

0
Updated: 2 weeks ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রথম কোনগ্রন্থে বিরামচিহ্ন ব্যবহার করেন?
Created: 6 days ago
A
বেতাল পঞ্চবিংশতি
B
ব্যকরণ কৌমুদী
C
শকুন্তলা
D
ভূগোলখগোল বর্ণনম
বাংলা গদ্যভাষার বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান অনন্য। তাঁর রচিত ও সম্পাদিত ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’ ছিল সেই প্রথম গ্রন্থ, যেখানে বাংলা গদ্য জড়তা ও দুর্বোধ্যতা থেকে মুক্ত হয়ে সাহিত্যিক রূপে আত্মপ্রকাশ করে। তিনি গদ্যের ভাষাকে শুধু সরল করেননি, বরং তাকে নিয়ম, শৃঙ্খলা ও শৈল্পিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ করেছেন।
-
বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যের বিশৃঙ্খল ও অনিয়মিত রূপকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন।
-
তিনি কমা ও অন্যান্য যতিচিহ্নের সুষ্ঠু ব্যবহার করে বাক্যকে অর্থবোধক অংশে বিভক্ত করেন, ফলে ভাষা হয় সুসংগঠিত।
-
গদ্যে উপবাক্য ও অন্বয় প্রয়োগের মাধ্যমে তিনি বাক্যগঠনকে যুক্তিসঙ্গত ও ভাবসম্পন্ন করেন।
-
ভাবের গভীরতা অনুযায়ী বাক্যের দৈর্ঘ্য ও ছন্দে বৈচিত্র্য আনেন, যা গদ্যে লাবণ্য ও সংগতি সৃষ্টি করে।
-
তাঁর এই শৈলীকৌশল বাংলা গদ্যকে প্রথমবারের মতো সাহিত্যসুলভ মর্যাদা ও নান্দনিক পূর্ণতা দেয়।

0
Updated: 6 days ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ব্যাকরণগ্রন্থ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
গৌড়ীয় ব্যাকরণ
B
ব্যাকরণ কৌমুদী
C
ব্যাকরণ মঞ্জরী
D
ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সমাজ সংস্কারে এক অগ্রণী ব্যক্তি। তিনি শুধু শিক্ষাবিদ ও লেখক ছিলেন না, বরং সমাজসংস্কারক এবং জনহিতৈষী হিসেবেও খ্যাত।
-
জন্ম: ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে।
-
১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাঁকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি প্রদান করে।
-
তিনি বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে পরিচিত।
-
বাংলা গদ্যে প্রথম যতি বা বিরামচিহ্ন স্থাপন করেন।
-
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: বেতাল পঞ্চবিংশতি
-
ব্যাকরণগ্রন্থ: ব্যাকরণ কৌমুদী
-
মৃত্যু: ২৯ জুলাই ১৮৯১
বিখ্যাত গদ্যগ্রন্থ:
-
শকুন্তলা
-
সীতার বনবাস
-
ভ্রান্তিবিলাস
অন্যান্য ব্যাকরণগ্রন্থ ও রচয়িতা:
-
গৌড়ীয় ব্যাকরণ → রাজা রামমোহন রায়
-
ব্যাকরণ মঞ্জরী → ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক
-
ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ → সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

0
Updated: 3 weeks ago