নিচের কোনটি ঘোষ অল্পপ্রাণ বর্ণ?
A
ট
B
থ
C
ড
D
ভ
উত্তরের বিবরণ
যে বর্ণগুলো উচ্চারণ করতে ফুসফুস থেকে অপেক্ষাকৃত অধিক বাতাস প্রবাহিত হয় এবং উচ্চারণ নিনাদিত হয় তাদের ঘোষ বর্ণ বলে। বর্গের ৩য় - ৪র্থ বর্ণ ঘোষ বর্ণঃ গ - ঘ - জ - ঝ - ড - ঢ - দ - ধ - ব - ভ .

0
Updated: 1 month ago
বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা কয়টি?
Created: 4 weeks ago
A
৭টি
B
৮টি
C
১০টি
D
১১টি
ধ্বনির প্রতীককে বর্ণ বলা হয়। এটি কানে শোনার বিষয়কে চোখে দেখার রূপে প্রকাশ করে। ভাষার সবগুলো বর্ণ একত্রিত হয়ে গঠন করে বর্ণমালা। বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০টি বর্ণ রয়েছে, যার মধ্যে স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি।
বাংলা বর্ণমালার মাত্রাভেদে শ্রেণিবিন্যাস করা যায় এভাবে:
-
পূর্ণমাত্রা বর্ণের সংখ্যা ৩২টি।
-
মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা ১০টি।
-
অর্ধমাত্রার বর্ণের সংখ্যা ৮টি।
ব্যঞ্জনবর্ণের ক্ষেত্রে মাত্রাভেদ নিম্নরূপ:
-
পূর্ণমাত্রার ব্যঞ্জনবর্ণ সংখ্যা ২৬টি।
-
অর্ধমাত্রার ব্যঞ্জনবর্ণ সংখ্যা ৭টি (খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ)।
-
মাত্রাহীন ব্যঞ্জনবর্ণ সংখ্যা ৬টি (ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ)।
স্বরবর্ণের ক্ষেত্রে মাত্রাভেদ হলো:
-
পূর্ণমাত্রার স্বরবর্ণ সংখ্যা ৬টি।
-
অর্ধমাত্রার স্বরবর্ণ সংখ্যা ১টি (ঋ)।
-
মাত্রাহীন স্বরবর্ণ সংখ্যা ৪টি (এ, ঐ, ও, ঔ)।

0
Updated: 4 weeks ago
বাংলা বর্ণমালা কয়টি?
Created: 16 hours ago
A
৪৮টি
B
৪৯টি
C
৫০টি
D
৫২টি
বাংলা ভাষা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধ ভাষা। এর লেখার পদ্ধতি বাংলা লিপি নামে পরিচিত। বাংলা লিপির নিজস্ব বর্ণমালা আছে, যা ধ্বনিভিত্তিক এবং উচ্চারণ অনুযায়ী গঠিত। বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০টি বর্ণ রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি স্বরবর্ণ এবং ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ। নিচে বাংলা বর্ণমালা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
স্বরবর্ণ (১১টি):
বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ হলো সেই বর্ণসমূহ, যেগুলো উচ্চারণের সময় বায়ুপ্রবাহ বাধা ছাড়াই মুখ দিয়ে বের হয়।
স্বরবর্ণগুলো হলো: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।
এই বর্ণগুলো একা উচ্চারিত হয় এবং অন্য বর্ণের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে।
দ্রষ্টব্য: “ঐ” ও “ঔ” হলো যৌগিক বা দ্বিস্বর স্বরবর্ণ, যেমন — অ + ই = ঐ, অ + উ = ঔ।
ব্যঞ্জনবর্ণ (৩৯টি):
যে বর্ণ উচ্চারণের সময় বায়ুপ্রবাহ কিছুটা বাধা পায়, সেগুলোকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণগুলো ক্রমানুসারে হলো:
ক, খ, গ, ঘ, ঙ
চ, ছ, জ, ঝ, ঞ
ট, ঠ, ড, ঢ, ণ
ত, থ, দ, ধ, ন
প, ফ, ব, ভ, ম
য, র, ল
শ, ষ, স, হ
ড়, ঢ়, য়, ৎ
এই বর্ণগুলো মিলিয়ে মোট ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ গঠিত হয়েছে।
মোট সংখ্যা: স্বরবর্ণ (১১) + ব্যঞ্জনবর্ণ (৩৯) = ৫০টি বর্ণ।
বিশেষ তথ্য:
-
বাংলা বর্ণমালা প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভূত।
-
বাংলা লিপি ধ্বনিভিত্তিক হওয়ায় একে "ধ্বনিমূলক লিপি" বলা হয়।
-
বাংলা ভাষায় বর্ণের সাহায্যে শব্দ গঠন হয়, আর শব্দের মাধ্যমে বাক্য তৈরি হয়।
-
বাংলা লিপি ব্যবহারের সূচনা প্রায় এক হাজার বছর আগে থেকেই দেখা যায়।
বাংলা বর্ণমালার গুরুত্ব:
বাংলা বর্ণমালা শুধু ভাষার প্রতীক নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও পরিচয়ের অংশ। এই বর্ণমালার মাধ্যমে সাহিত্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান, ইতিহাসসহ সমাজের সব ক্ষেত্রে ভাষার বিকাশ ঘটেছে।
সারসংক্ষেপে: বাংলা বর্ণমালা ৫০টি বর্ণ নিয়ে গঠিত — এর মধ্যে ১১টি স্বরবর্ণ ও ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ। এটি বাংলা ভাষার ভিত্তি, যা আমাদের কথা, লেখা ও চিন্তাকে প্রকাশের প্রধান মাধ্যম।

0
Updated: 16 hours ago
৮) স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয়-
Created: 2 months ago
A
কার
B
অণু
C
ফলা
D
রেফ
কারবর্ণ ও অনুবর্ণ
১. কারবর্ণ (স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ)
-
বাংলা স্বরবর্ণের মোট ১০টি সংক্ষিপ্ত রূপ আছে, যাকে বলা হয় কার।
-
কারবর্ণ: া, ি, ী, ু, ূ, ৃ, ে, ৈ, ো, ৌ
-
বৈশিষ্ট্য:
-
স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহৃত হয় না।
-
ব্যঞ্জনবর্ণের আগে, পরে, উপরে, নিচে বা উভয় দিকে যুক্ত হয়।
-
কোনো ব্যঞ্জনের সঙ্গে কারবর্ণ বা হসন্তচিহ্ন না থাকলে ধরে নেওয়া হয় যে ব্যঞ্জনের সঙ্গে [অ] আছে।
-
২. অনুবর্ণ (ব্যঞ্জনের বিকল্প রূপ)
-
ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপকে অনুবর্ণ বলা হয়।
-
অনুবর্ণের মধ্যে আছে: ফলা, রেফ, বর্ণসংক্ষেপ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১-সংস্করণ)

0
Updated: 2 months ago