A
পদ্মায়
B
বঙ্গোপসাগরে
C
ব্রহ্মপুত্রে
D
মেঘনায়
উত্তরের বিবরণ
যমুনা নদী
-
যমুনা নদী বাংলাদেশের প্রধান তিন নদীর অন্যতম।
-
এটি ব্রহ্মপুত্র নদীর প্রধান শাখা হিসেবে পরিচিত।
-
১৭৮২ থেকে ১৭৮৭ সালের মধ্যে সংঘটিত একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প ও বিধ্বংসী বন্যার কারণে ব্রহ্মপুত্রের প্রাচীন গতিপথ বদলে যায় এবং এর ফলস্বরূপ বর্তমান যমুনা নদীর সৃষ্টি ঘটে।
-
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে যমুনা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২০৫ কিলোমিটার।
-
নদীর প্রশস্ততা ৩ থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভিন্ন, তবে গড় প্রশস্ততা প্রায় ১০ কিলোমিটার।
-
যমুনা নদী গোয়ালন্দের কাছে পদ্মা নদীতে মিলিত হয়।
-
যমুনা নদী বয়ে যায় বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল (টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতি ও ভূঞাপুর), এবং গাইবান্ধা জেলা হয়ে।
-
নদীর প্রধান উপনদীগুলোর মধ্যে তিস্তা, ধরলা, করতোয়া, আত্রাই এবং সুবর্ণশ্রী উল্লেখযোগ্য; যার মধ্যে করতোয়া যমুনার সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘতম উপনদী।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার কোন নদী দ্বারা বিভক্ত?
Created: 2 months ago
A
নাফ
B
কর্ণফুলী
C
নবগঙ্গা
D
ভাগীরথী
• নাফ নদী (Naf River):
নাফ নদীর উৎস মিয়ানমারে। এটি বাংলাদেশের টেকনাফ ও মিয়ানমারের মধ্যবর্তী সীমান্ত নির্দেশ করে এবং পরে বঙ্গোপসাগরে মিশে যায়। নদীটির মোহনা বেশ প্রশস্ত, আর এর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬ কিলোমিটার।
• কর্ণফুলী নদী (Karnaphuli River):
এই নদী আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
• নবগঙ্গা নদী (Nabaganga River):
চুয়াডাঙ্গা শহরের কাছাকাছি মাথাভাঙ্গা নদী থেকে নবগঙ্গার উৎপত্তি। ধারণা করা হয়, মাথাভাঙ্গা থেকে বেরিয়ে এটি ‘গঙ্গার নবরূপ’ হিসেবে পরিচিতি পায়, সেখান থেকেই নবগঙ্গা নামের উৎপত্তি।
• ভাগীরথী নদী (Bhagirathi River):
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে প্রবাহিত এই নদী গঙ্গার প্রধান দুটি উৎসধারার একটি। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র হিসেবে বিবেচিত।
তথ্যসূত্র:
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (নবম-দশম শ্রেণি), উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে সবেচেয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে কোনটি?
Created: 1 week ago
A
ব্রহ্মপুত্র
B
পদ্মা
C
মেঘনা
D
যমুনা
ব্রহ্মপুত্র নদ
ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তি দক্ষিণ-পশ্চিম হিমালয়ের তিব্বত অংশে অবস্থিত পবিত্র মানস সরোবর থেকে। এটি বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ নদীগুলোর মধ্যে একটি, যার বিস্তৃতি চীন (তিব্বত), ভারত এবং বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে।
তিব্বতের ভূমি অতিক্রম করে নদীটি ভারতের আসাম রাজ্যে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এরপর দেওয়ানগঞ্জ (ময়মনসিংহ) অতিক্রম করে এটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁক নেয় এবং ভৈরববাজারের দক্ষিণে গিয়ে মেঘনা নদীতে মিলিত হয়।
বাংলাদেশ অংশে প্রবেশের পর মেঘনার সঙ্গে মিলনের আগে নদীটি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত। এই অংশে নদীটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭৭ কিলোমিটার। আর এর সামগ্রিক দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮৫০ কিলোমিটার, যা শুরু হয় তিব্বতের উৎপত্তিস্থল থেকে।
আসাম অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্রকে স্থানীয়ভাবে দিহাঙ নামে ডাকা হয়। এর মোট অববাহিকা এলাকা প্রায় ৫,৮৩,০০০ বর্গকিলোমিটার, যার মধ্যে বাংলাদেশের অংশ ৪৭,০০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। বাংলাদেশে এই নদীটি স্বাভাবিকভাবে বিনুনি (meandering) প্রকৃতির।
এই নদীর উল্লেখযোগ্য শাখানদী হলো বংশী ও শীতলক্ষ্যা, এবং প্রধান উপনদী হিসেবে রয়েছে ধরলা ও তিস্তা।
একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক পরিবর্তন ঘটে ১৭৮৭ সালের এক ভূমিকম্পে, যার ফলে নদীর তলদেশ উঠে আসে এবং ব্রহ্মপুত্রের মূল ধারার পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এতে একটি নতুন স্রোতধারা গঠিত হয়, যা আজকে যমুনা নদী নামে পরিচিত।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
পুনর্ভবা, নাগর ও টাঙ্গন কোন নদীর উপনদী?
Created: 1 week ago
A
মহানন্দা
B
ভৈরব
C
কুমার
D
বড়াল
পুনর্ভবা, নাগর ও টাঙ্গন মহানন্দার উপনদী
• মহানন্দা (Mahananda):
- হিমালয়ের পাদদেশে দার্জিলিং এর নিকটবর্তী মহালড্রীম পর্বত হতে মহানন্দা নদী উৎপত্তি হয়েছে।
- ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পুনরায় ভারতে প্রবেশ করে। অত:পর ভারতের পূর্ণিয়া ও মালদহ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাপাইনবাবগঞ্জের নিকট বাংলাদেশে পুনরায় প্রবেশ করে গোদাগাড়ির কাছে পদ্মার মিলিত হয়েছে।
- পুনর্ভবা, নাগর ও টাঙ্গন এর উপনদী।
সূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago