ক্রমহ্রাসমান হারে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী উপাদান বিলীনের বিষয়টি কোন চুক্তিতে বলা হয়েছে?
A
মন্ট্রিল প্রটোকল
B
ক্লোরোফ্লোরো কার্বন চুক্তি
C
IPCC চুক্তি
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
মন্ট্রিল প্রটোকল (Montreal Protocol)
পূর্ণ নাম: The Montreal Protocol on Substances that Deplete the Ozone Layer
মূল উদ্দেশ্য: পৃথিবীর ওজোন স্তরকে সুরক্ষা দেওয়া।
ওজোন স্তরের অবস্থান: বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে।
চুক্তির বিষয়বস্তু:
-
ওজোন স্তর ক্ষয়কারী পদার্থ (ODS) যেমন: রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ও অ্যারোসল স্প্রে-তে ব্যবহৃত ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার ধীরে ধীরে বন্ধ বা কমানোর প্রতিশ্রুতি।
-
এসব ক্ষতিকর পদার্থকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ওজোন স্তরের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
গৃহীত হয়: ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭
কার্যকর হয়: ১ জানুয়ারি, ১৯৮৯
স্থান: মন্ট্রিল, কানাডা
👉 প্রতি বছর ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস পালিত হয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
ODS (Ozone Depleting Substances): এমন সব পদার্থ যা ওজোন স্তর ক্ষয় করে। এগুলো সাধারণত রেফ্রিজারেশন সিস্টেম, এসি, ফায়ার এক্সটিংগুইশার এবং অ্যারোসল স্প্রে-তে পাওয়া যায়।
উৎস: UNEP – United Nations Environment Programme

0
Updated: 1 month ago
কোনটি নিরস্ত্রীকরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়?
Created: 1 month ago
A
NATO
B
SALT
C
NPT
D
CTBT
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও সামরিক জোট
1. SALT (Strategic Arms Limitation Talks)
-
উদ্দেশ্য: কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা সীমিত করা।
-
শুরু: ১৯৬৯ সালে, হেলসিংকিতে।
-
পক্ষ: যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন।
-
চুক্তি:
-
SALT-I: ২৬ মে ১৯৭২
-
SALT-II: ১৮ জুন ১৯৭৯
-
-
গুরুত্বপূর্ণ শর্ত: পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ‘ফ্রিজ’ করা, কোনো পক্ষ সংখ্যা বাড়াতে পারবে না।
-
অনুপ্রেরণা: Anti-Ballistic Missile Treaty।
2. NPT (Nuclear Non-Proliferation Treaty)
-
উদ্দেশ্য: পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ।
-
স্বাক্ষরিত: ১ জুলাই ১৯৬৮
-
কার্যকর: ৫ মার্চ ১৯৭০
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৯১টি
-
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ: চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও ইসরায়েল।
3. CTBT (Comprehensive Nuclear Test Ban Treaty)
-
উদ্দেশ্য: সব ধরনের পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা।
-
গ্রহণ: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬
-
স্বাক্ষরিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৮৭টি
4. NATO (North Atlantic Treaty Organisation)
-
স্বরূপ: উত্তর আটলান্টিক চুক্তির ভিত্তিতে তৈরি একটি সামরিক জোট।
-
লক্ষ্য: পশ্চিম ইউরোপে সম্মিলিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
-
প্রতিষ্ঠিত: ৪ এপ্রিল ১৯৪৯
-
সদস্য:
-
প্রতিষ্ঠাতা: ১২টি
-
বর্তমান: ৩২টি (সর্বশেষ: সুইডেন)
-
-
সদর দপ্তর: ব্রাসেলস, বেলজিয়াম
-
মুসলিম দেশ: আলবেনিয়া ও তুরস্ক
উল্লেখযোগ্য:
-
SALT, NPT, CTBT পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত।
-
NATO পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নয়; এটি একটি সামরিক জোট।
উৎস: Arms Control Association, NATO অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
নৈরাজ্য যে তত্ত্বের মূল উপাদান সেটি হচ্ছে:
Created: 1 month ago
A
নয়া উদারতাবাদ
B
গঠনবাদ
C
বাস্তববাদ
D
নব্য মার্কসবাদ
বাস্তববাদ (Realism)
-
বাস্তববাদের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী মানুষ স্বাভাবিকভাবেই স্বার্থপর এবং বিশৃঙ্খল।
-
যেহেতু মানুষ বিশৃঙ্খল, তাই মানুষের দ্বারা নির্মিত প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রও প্রায়শই বিশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়।
-
রাষ্ট্রসমূহ নিজেদের অস্তিত্ব এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রায়শই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে।
-
বাস্তববাদের মূল ভাবনা অনুযায়ী, রাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মঞ্চে টিকে থাকা; এজন্য জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং ক্ষমতার ব্যবহার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়।
-
বর্তমান বিশ্বে বাস্তববাদিক চিন্তাভাবনা বিস্তৃতভাবে প্রচলিত।
-
বিশ্বব্যাপী আমেরিকার আগ্রাসনমূলক নীতি বাস্তববাদ কেন্দ্রিক রাজনীতির একটি সুপরিচিত উদাহরণ।
উৎস: জ্ঞানতত্ত্ব, এস এস এইচ এল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
ব্রিটিশ কৃষি বিপ্লব কখন সংঘটিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
ঊনবিংশ শতাব্দীতে
B
অষ্টাদশ শতাব্দীতে
C
ষোড়শ শতাব্দীতে
D
চতুর্দশ শতাব্দীতে
ব্রিটিশ কৃষি বিপ্লব ছিল শিল্প বিপ্লবের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত, যা কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে নিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত জনশক্তি নিশ্চিত করেছিল।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে ব্রিটেনে এই বিপ্লব ঘটে এবং এটি দেশের কৃষি ব্যবস্থা ও গ্রামীণ সমাজে মূলগত পরিবর্তন আনে। ব্রিটেনের কৃষি বিপ্লবের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো ছিল:
-
বৃহদায়তন ও সুসংহত কৃষি ব্যবস্থা: বিপ্লবটি বৃহৎ আকারের কৃষি ব্যবস্থার জন্ম দেয়, যা আরও সংগঠিত ও কার্যকরী ছিল।
-
চারণভূমি ও পশুপালনের উন্নয়ন: সাধারণের ব্যবহারযোগ্য উর্বর চারণভূমিতে কৃষির প্রসার ঘটে এবং পশুপালন আরও ঘনিষ্ঠভাবে পরিচালিত হতে থাকে।
-
গ্রামীণ সমাজে পরিবর্তন: স্বনির্ভর কৃষকরা ক্রমে কৃষি শ্রমিকে পরিণত হন, এবং তাদের জীবনযাত্রার মান নির্ভর করতে শুরু করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের উপর। আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীলতার দিন শেষ হয়।
-
উৎপাদনশীলতার বৃদ্ধি: কৃষি বিপ্লবের ফলে কৃষি উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়ক হয়।

0
Updated: 1 month ago