ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল কোনটি?
A
ভারতীয় জনতা পার্টি
B
কমুনিস্ট পার্টি
C
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস
D
বহুজন সমাজ পার্টি
উত্তরের বিবরণ
ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল হলো ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। এটি ছিল ভারতবর্ষের সর্বপ্রথম সর্বভারতীয় রাজনৈতিক সংগঠন।
-
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৫ সালে।
-
এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইংরেজ প্রশাসনিক কর্মকর্তা অ্যালান অক্টাভিয়ান হিউম।
-
প্রথম অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন উমেশচন্দ্র ব্যানার্জী।
-
এর আগে সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী ১৮৭৬ সালে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তুলেছিলেন, যা কংগ্রেস গঠনের পথ সুগম করেছিল।
অতএব, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে কংগ্রেস ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।
উৎস: Encyclopedia Britannica

0
Updated: 1 month ago
বর্তমান বিশ্বের কোন দেশটির সংবিধানকে 'শান্তি সংবিধান' বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
জাপান
B
পেরু
C
কোস্টারিকা
D
সুইজারল্যান্ড
জাপানের সংবিধান ও ‘শান্তির সংবিধান’
জাপানের সংবিধানকে প্রায়শই ‘শান্তির সংবিধান’ বলা হয়। এর প্রধান কারণ হলো সংবিধানের ৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাপান আত্মরক্ষা ব্যতীত কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
প্রেক্ষাপট:
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান পরাজিত হলে বর্তমান সংবিধান প্রণয়ন করা হয়।
-
১৯৪৬ সালের এপ্রিল মাসে জাপানের সংসদ (ডায়েট) সংবিধান প্রস্তাব করে এবং ৩ নভেম্বর ১৯৪৬ সালে এটি গৃহীত হয়।
-
কার্যকর হয় ৩ মে ১৯৪৭ সালে।
-
সংবিধান প্রণয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি প্রভাব ছিল।
-
এটি পূর্বে প্রযোজ্য মেইজি সংবিধান (Meiji Constitution)-এর পরিবর্তে প্রণয়িত হয়।
Article 9 (যুদ্ধ বর্জন):
"Aspiring sincerely to an international peace based on justice and order, the Japanese people forever renounce war as a sovereign right of the nation and the threat or use of force as means of settling international disputes. In order to accomplish the aim of the preceding paragraph, land, sea, and air forces, as well as other war potential, will never be maintained. The right of belligerency of the state will not be recognized."
সংক্ষেপে, এই অনুচ্ছেদ জাপানকে আত্মরক্ষা ব্যতীত কোনো সামরিক আক্রমণ বা যুদ্ধের অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখে।
তবে, ২০১৫ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে যুদ্ধ বা সামরিক পদক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হয়, যার ফলে অনেকেই এখন জাপানের সংবিধানকে সম্পূর্ণ শান্তির সংবিধান হিসেবে মানতে নারাজ।
উৎস: এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা ও জাপানের সরকারি ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
কোন রাষ্ট্রটি বিরােধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমার দাবিদার নয়?
Created: 1 month ago
A
মালয়েশিয়া
B
ফিলিপাইন
C
ভিয়েতনাম
D
কম্বােডিয়া
দক্ষিণ চীন সাগরে সীমানা নিয়ে বিরোধ একটি জটিল বিষয় যা চীন, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া এবং ব্রুনেই’র মধ্যে প্রভাব ফেলেছে। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক গুরুত্বের কারণে বিরোধটি আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
-
দক্ষিণ চীন সাগর একটি প্রধান সমুদ্র পথ, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
-
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা UNCTAD-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বিশ্বের মোট বাণিজ্যের প্রায় ২১ শতাংশ এই সমুদ্র পথে পরিবহন করা হয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৩.৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার।
-
এই সাগরে মৎস্য সম্পদও প্রচুর, যা লাখ লাখ মানুষের জীবননির্বাহের মূল উৎস।
-
বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মাছ ধরা জাহাজ ও নৌকা এই অঞ্চলে কার্যক্রম চালায়।
চীনের ব্যাপক দাবি, যা বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জ এবং সংলগ্ন জলসীমাকে অন্তর্ভুক্ত করে, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া এবং ব্রুনেইকে ক্ষুব্ধ করেছে।
-
এই দেশগুলোও সাগরের ওপর তাদের নিজস্ব সীমানা দাবি করছে।
-
অন্যান্য দেশও প্যারাসেল এবং স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অধিকার দাবি করছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের সবচেয়ে বড় অংশ চীন দাবি করে।
-
চীন তাদের সীমানা নাইন-ড্যাশ লাইনের মাধ্যমে চিহ্নিত করেছে।
-
এই লাইনটি মোট নয়টি ড্যাশ দিয়ে তৈরি এবং চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হাইনান থেকে শত শত মাইল দক্ষিণ ও পূর্বদিকে বিস্তৃত।
অন্যদিকে, কম্বোডিয়া দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ জলসীমার দাবিদার নয়।

0
Updated: 1 month ago
ব্রিটিশ কৃষি বিপ্লব কখন সংঘটিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
ঊনবিংশ শতাব্দীতে
B
অষ্টাদশ শতাব্দীতে
C
ষোড়শ শতাব্দীতে
D
চতুর্দশ শতাব্দীতে
ব্রিটিশ কৃষি বিপ্লব ছিল শিল্প বিপ্লবের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত, যা কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে নিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত জনশক্তি নিশ্চিত করেছিল।
অষ্টাদশ শতাব্দীতে ব্রিটেনে এই বিপ্লব ঘটে এবং এটি দেশের কৃষি ব্যবস্থা ও গ্রামীণ সমাজে মূলগত পরিবর্তন আনে। ব্রিটেনের কৃষি বিপ্লবের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো ছিল:
-
বৃহদায়তন ও সুসংহত কৃষি ব্যবস্থা: বিপ্লবটি বৃহৎ আকারের কৃষি ব্যবস্থার জন্ম দেয়, যা আরও সংগঠিত ও কার্যকরী ছিল।
-
চারণভূমি ও পশুপালনের উন্নয়ন: সাধারণের ব্যবহারযোগ্য উর্বর চারণভূমিতে কৃষির প্রসার ঘটে এবং পশুপালন আরও ঘনিষ্ঠভাবে পরিচালিত হতে থাকে।
-
গ্রামীণ সমাজে পরিবর্তন: স্বনির্ভর কৃষকরা ক্রমে কৃষি শ্রমিকে পরিণত হন, এবং তাদের জীবনযাত্রার মান নির্ভর করতে শুরু করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের উপর। আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীলতার দিন শেষ হয়।
-
উৎপাদনশীলতার বৃদ্ধি: কৃষি বিপ্লবের ফলে কৃষি উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়ক হয়।

0
Updated: 1 month ago