পিং পং এর অর্থ হচ্ছে:
A
ভলিবল
B
টেবিল টেনিস
C
বাস্কেট বল
D
লন টেনিস
উত্তরের বিবরণ
পিং পং (Ping Pong)
পিং পং হলো টেবিল টেনিসের অন্য নাম। এটি একটি ইনডোর খেলা, যেখানে ছোট ও হালকা বল এবং ছোট ব্যাট ব্যবহার করা হয়।
পিং পং কূটনীতি (Ping Pong Diplomacy)
-
পিং পং কূটনীতির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে ২০ বছরের বৈরি সম্পর্ক শেষ হয়।
-
১৯৭১ সালে জাপানের নাগোয়াতে ৩১তম বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়।
-
ওই টুর্নামেন্টে মার্কিন টেবিল টেনিস দলকে চীন আমন্ত্রণ জানায়।
-
এটি ১৯৪৯ সালের পর মার্কিন প্রতিনিধিদের চীনে প্রথম সফর ছিল।
-
ঐতিহাসিক এই সফরের পর চীন-মার্কিন সম্পর্কের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়।
-
এর ফলস্বরূপ, ১৯৭২ সালের জুলাইতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন চীন সফরে যান।
-
এর পরই দুই দেশের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
-
এই ঘটনাকে ‘পিং পং কূটনীতি’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
-
পিং পং কূটনীতি চীনের জনগণকে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উল্লেখযোগ্য: যেহেতু খেলা চীনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাই এটি বিশেষভাবে চীনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘ কোন সালে মানবাধিকার সংক্রান্ত বৈশ্বিক ঘোষণার ঐতিহাসিক নথিটি গ্রহণ করে?
Created: 1 month ago
A
১৯৪৮
B
১৯৫৬
C
১৯৪৫
D
২০০০
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন ও সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা
-
১৯৪৬ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন গঠিত হয়।
-
কমিশন একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে, যার কাজ ছিল মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার খসড়া তৈরি করা।
-
এই খসড়া ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গৃহীত হয়।
-
ঘোষণায় মোট ৩০টি অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-
পরবর্তীতে, প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার মূল বক্তব্য
-
মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন এবং অধিকারের দিক থেকে সমান।
-
বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, ভাষা, জাতীয়তা, ধনী-গরিব, রাজনৈতিক মতামত বা সামাজিক অবস্থান— কোনো কিছুর ভিত্তিতে মানবাধিকার ভোগে বৈষম্য করা যাবে না।
-
সবার জন্য সমানভাবে অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
উৎস: জাতিসংঘের ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
Sunshine Policy- এর সাথে কোন দুটি দেশ জড়িত?
Created: 1 month ago
A
চীন, রাশিয়া
B
উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া
C
জাপান, থাইল্যান্ড
D
তাইওয়ান, হংকং
সানশাইন পলিসি (Sunshine Policy)
-
সানশাইন পলিসি মূলত উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য তৈরি করা হয়।
-
১৯৯০-এর দশকে দক্ষিণ কোরিয়া এই নীতি গ্রহণ করে।
-
নীতির উদ্দেশ্য ছিল দুই কোরিয়ার মধ্যে বৈঠক ও সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা।
-
এই নীতি ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
মূল প্রবক্তা:
-
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে জং ছিলেন।
-
সানশাইন পলিসি বাস্তবায়নের কারণে তিনি ২০০০ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
নীতির মূল তিনটি দিক:
-
উত্তরের কোনো সশস্ত্র উস্কানিকে সহ্য করা হবে না।
-
দক্ষিণ কোনোভাবেই উত্তরের উপর আধিপত্য বিস্তার করবে না।
-
দক্ষিণ সক্রিয়ভাবে সহযোগিতার প্রচেষ্টা করবে।
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 month ago
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস-এর সদর দপ্তর:
Created: 1 month ago
A
ভিয়েনা
B
জেনেভা
C
প্যারিস
D
লন্ডন
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস (Red Cross) সংক্রান্ত তথ্য
-
সম্পূর্ণ নাম: The International Red Cross and Red Crescent Movement (সংক্ষেপে রেড ক্রস)।
-
প্রকৃতি: এটি একটি সেবামূলক মানবিক প্রতিষ্ঠান।
-
মূল লক্ষ্য: যুদ্ধ ও সংঘাতের সময় আহত ও অসহায় মানুষদের সহায়তা করা।
-
প্রতিষ্ঠার তারিখ: ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৮৬৩।
-
প্রতিষ্ঠার স্থান: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
-
প্রতিষ্ঠাতা: হেনরী ডুনান্ট (Jean Henri Dunant)।
-
সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
-
বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম: প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংস্থাটি ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবিক কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং মানবতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
হেনরী ডুনান্ট ৮ মে, ১৮২৮ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তাঁর স্মৃতিতে প্রতিবছর বিশ্ব রেড ক্রস/রেড ক্রিসেন্ট দিবস উদযাপন করা হয়।
-
এই দিবসটি বিশ্বব্যাপী ১৯১টি দেশে পালন করা হয়।
উৎস: Red Cross ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago