A
Permanent Court of Justice
B
International Tribunal for the Law of the Sea
C
International Court of Justice
D
Permanent Court of Arbitration
উত্তরের বিবরণ
সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি
-
বাংলাদেশ–মিয়ানমার সমুদ্রসীমা:
২০১২ সালের ১৪ মার্চ, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমুদ্রসীমা বিরোধের মামলা নিষ্পত্তি হয়। এটি পরিচালিত হয় জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন ট্রাইবুনাল (International Tribunal for the Law of the Sea – ITLOS) এ। এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ১,১১,৬৩১ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমা লাভ করে। -
বাংলাদেশ–ভারত সমুদ্রসীমা:
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ স্থায়ী সালিশি আদালত (Permanent Court of Arbitration – PCA) দ্বারা সমাধান করা হয়।
তথ্যসূত্র: সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রের রিপোর্ট।

0
Updated: 1 day ago
লর্ড ক্যানিং ভারত উপমহাদেশে প্রথম কোন ব্যবস্থা চালু করেন?
Created: 1 week ago
A
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা
B
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা
C
সতীদাহ নিবারণ ব্যবস্থা
D
পুলিশ ব্যবস্থা
লর্ড ক্যানিং এবং ভারতের প্রশাসনিক সংস্কার
লর্ড জন ক্যানিং ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল (১৮৫৬–১৮৬২) এবং ১৮৫৮ সালের ১ নভেম্বর থেকে ভারতের প্রথম ভাইসরয়। তাঁর প্রশাসনের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ। তিনি এই বিদ্রোহ দমন করেন, এবং এর পর ১৮৫৮ সালে পার্লামেন্টারি আইন প্রণীত হয়।
লর্ড ক্যানিংয়ের উল্লেখযোগ্য অবদানসমূহ:
-
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম কাগজের মুদ্রা প্রচলন। এর আগে মূলত স্বর্ণ ও রূপি ব্যবহার হতো।
-
প্রথম বার্ষিক বাজেট ঘোষণা।
-
১৮৬১ সালে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা, যা আধুনিক পুলিশ ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে।
অন্য প্রশাসনিক সংস্কারের কিছু উদাহরণ:
-
লর্ড কর্নওয়ালিশ (১৭৯৩): ভূমি ব্যবস্থাপনায় ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন।
-
রবার্ট ক্লাইভ (১৭৬৫): বাংলায় দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন।
-
উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (১৮২৯): সতীদাহ প্রথা বিলুপ্তি সংক্রান্ত আইন অনুমোদন।
উৎস: ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
যে বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় তা হলো -
Created: 2 weeks ago
A
অয়ন বায়ু
B
নিয়ত বায়ু
C
প্রত্যয়ন বায়ু
D
মৌসুমী বায়ু
বায়ুপ্রবাহ ও এর প্রকারভেদ
বায়ু সর্বদা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়। সাধারণত, উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে শীতল ও ভারী বায়ু নিম্নচাপ অঞ্চলে যায়। এছাড়াও, ফেরেলের সূত্র অনুসারে বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বাঁকে।
বায়ুপ্রবাহের প্রধান চারটি প্রকার:
-
নিয়ত বায়ু
-
সাময়িক বায়ু
-
স্থানীয় বায়ু
-
অনিয়মিত বায়ু
নিয়ত বায়ু:
-
যে বায়ু সর্বদা উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবাহিত হয়, তাকে নিয়ত বায়ু বলা হয়।
-
এটি বছরের সকল সময় একই দিকে প্রবাহিত হয়।
-
নিয়ত বায়ুর দিক পৃথিবীর চাপ বলয় দ্বারা নির্ধারিত হয়।
-
নিয়ত বায়ু আবার তিন ভাগে বিভক্ত:
-
অয়ন বায়ু
-
পশ্চিমী বায়ু
-
মেরু বায়ু
-
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 weeks ago
পাকিস্তানের গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম দাবি কে উত্থাপন করেন?
Created: 1 week ago
A
আব্দুল মতিন
B
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
C
শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক
D
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি
পাকিস্তানের গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম প্রস্তাব দেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি ছিলেন কুমিল্লার সন্তান।
-
তারিখ ও ঘটনা: ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি করাচিতে পাকিস্তানের গণপরিষদের অধিবেশন শুরু হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রথমবার গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তোলেন।
-
প্রস্তাবের কারণ: তিনি সরকারি কাগজপত্রে বাংলা ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন। অধিবেশনে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, গণপরিষদের কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুতে লেখা হয়, যেখানে বাংলার ব্যবহার নেই।
-
ভাষার গুরুত্ব: সমগ্র পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলে। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষা হিসেবে বাংলার মর্যাদা পাওয়া উচিত বলে তিনি দাবি করেন।
পটভূমি: পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নেতারা উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন। এর ফলে বাংলার সংখ্যা ও প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করা হচ্ছিল।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।

0
Updated: 1 week ago