নৈরাজ্য যে তত্ত্বের মূল উপাদান সেটি হচ্ছে:
A
নয়া উদারতাবাদ
B
গঠনবাদ
C
বাস্তববাদ
D
নব্য মার্কসবাদ
উত্তরের বিবরণ
বাস্তববাদ (Realism)
-
বাস্তববাদের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী মানুষ স্বাভাবিকভাবেই স্বার্থপর এবং বিশৃঙ্খল।
-
যেহেতু মানুষ বিশৃঙ্খল, তাই মানুষের দ্বারা নির্মিত প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রও প্রায়শই বিশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়।
-
রাষ্ট্রসমূহ নিজেদের অস্তিত্ব এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রায়শই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে।
-
বাস্তববাদের মূল ভাবনা অনুযায়ী, রাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মঞ্চে টিকে থাকা; এজন্য জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং ক্ষমতার ব্যবহার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়।
-
বর্তমান বিশ্বে বাস্তববাদিক চিন্তাভাবনা বিস্তৃতভাবে প্রচলিত।
-
বিশ্বব্যাপী আমেরিকার আগ্রাসনমূলক নীতি বাস্তববাদ কেন্দ্রিক রাজনীতির একটি সুপরিচিত উদাহরণ।
উৎস: জ্ঞানতত্ত্ব, এস এস এইচ এল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
'Law of the Sea Convention' অনুযায়ী উপকূল থেকে কত দূরত্ব পর্যন্ত Exclusive Economic Zone' হিসেবে গণ্য?
Created: 1 month ago
A
২২ নটিক্যাল মাইল
B
৪৪ নটিক্যাল মাইল
C
২০০ নটিক্যাল মাইল
D
৩৭০ নটিক্যাল মাইল
UNCLOS (United Nations Convention on the Law of the Sea)
-
পূর্ণরূপ: United Nations Convention on the Law of the Sea
-
প্রকৃতি: এটি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন।
-
স্বাক্ষরিত: ১৯৮২
-
কার্যকর: ১৯৯৪
-
প্রধান বিষয়: মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নৌপরিবহন, মহীসোপান (continental shelf), গভীর সমুদ্র তল, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সমুদ্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।
আঞ্চলিক সমুদ্র অঞ্চল (Territorial Sea)
-
উপকূলীয় রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বজায় থাকে তটরেখা থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত।
-
দূরত্ব: ১৯৮২ সালের UNCLOS অনুসারে ১২ নটিক্যাল মাইল।
সংরক্ষিত অর্থনৈতিক অঞ্চল (Exclusive Economic Zone – EEZ)
-
উপকূলীয় রাষ্ট্রকে সমুদ্রের বিশেষ অর্থনৈতিক অধিকার দেওয়া হয়েছে।
-
এখানে সম্পদ আহরণ, মৎস্য শিকার, খনিজ উত্তোলন ইত্যাদিতে একচেটিয়া অধিকার থাকে।
-
বিস্তার: তটরেখা থেকে সর্বোচ্চ ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত।
মহীসোপান (Continental Shelf)
-
এটি মহাদেশের নিমজ্জিত অংশ যা সমুদ্রের পানির নিচে বিস্তৃত।
-
সমুদ্রের গভীরতা এখানে সাধারণত কম।
-
বিস্তার: UNCLOS ১৯৮২ অনুযায়ী, তটরেখা থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত, অথবা ২৫০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত ১০০ নটিক্যাল মাইল অতিরিক্ত বিস্তৃত করা যায়।
উৎস: UNCLOS ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
ব্যাডমিন্টন কোন দেশের জাতীয় খেলা?
Created: 1 month ago
A
মালয়েশিয়া
B
ইন্দোনেশিয়া
C
চীন
D
ইংল্যান্ড
ব্যাডমিন্টন একটি বহিরাঙ্গন ক্রীড়া যা একক বা যুগ্মভাবে খেলা হয়। খেলাটি নেট দ্বারা বিভক্ত একটি আয়তাকার কোর্টে র্যাকেট ব্যবহার করে শাটলকর্ক প্রতিদ্বন্দীর কোর্টে পাঠানোর মাধ্যমে স্কোর সংগ্রহের উপর ভিত্তি করে।
-
ব্যাডমিন্টন খেলার উদ্ভব উনিশ শতকের মধ্যভাগে ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ সেনা অফিসারদের দ্বারা হয়।
-
তারা ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী খেলা ব্যাটলডোর ও শাটলকর্কে নেট যুক্ত করে খেলাটি চালু করেছিলেন।
-
১৮৯৩ সালে ইংল্যান্ডে ‘ব্যাডমিন্টন এসোশিয়েশন’ গঠন করা হয়।
-
খেলার জনপ্রিয়তা বাড়ায় ১৮৯৯ সালে ইংল্যান্ডে পুরুষদের All England Championship অনুষ্ঠিত হয়।
-
ধারাবাহিকতায় ১৯৩৪ সালে International Badminton Federation (I.B.F) গঠিত হয়।
-
মেয়েদের জন্য প্রথম টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয় ১৯৫৭ সালে।
-
১৯৫৯ সালে এশিয়ার কয়েকটি প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বৈঠক করে I.B.F গঠনকে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করে।
-
১৯৩৮ সালে IBF প্রণীত প্রথম নিয়ম ও নিয়মাবলী প্রকাশিত হয়।
-
নিয়মাবলী পরবর্তীতে পরিবর্তিত, সংশোধিত ও সংযোজিত হয়ে ১৯৮৩ সালের মে মাসে পূর্ণতা লাভ করে, যা এখনও কার্যকর রয়েছে।
-
ব্যাডমিন্টন ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় খেলা।
অন্য দেশের জাতীয় খেলা:
-
মালয়েশিয়া: সেপাক টার্কো
-
চীন: টেবিল টেনিস
-
ইংল্যান্ড: ক্রিকেট

0
Updated: 1 month ago
হারারে'র পূর্ব নাম কি?
Created: 2 months ago
A
সলসবেরি
B
রোডেসিয়া
C
জিবুতি
D
জায়ারে
হারারে
-
জিম্বাবুয়ের রাজধানী শহর হারারে।
-
এটি দেশের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত।
-
আগে এর নাম ছিল সলসবেরি।
জিম্বাবুয়ে
-
জিম্বাবুয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি স্থলবেষ্টিত দেশ।
-
রাজধানী: হারারে
-
সরকারি ভাষা: ইংরেজি
-
মুদ্রা: জিম্বাবুয়ান ডলার
-
এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম প্লাটিনাম উৎপাদনকারী দেশ।
অতিরিক্ত তথ্য
-
জিম্বাবুয়ের পুরনো নাম ছিল দক্ষিণ রোডেশিয়া।
-
ফরমোজার বর্তমান নাম হলো তাইওয়ান।
উৎস: Britannica

0
Updated: 2 months ago