বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের মধ্যে সমুদ্র সীমা বিরোধ কোন সংস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়?
A
Permanent Court of Justice
B
International Tribunal for the Law of the Sea
C
International Court of Justice
D
Permanent Court of Arbitration
উত্তরের বিবরণ
সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি
-
বাংলাদেশ–মিয়ানমার সমুদ্রসীমা:
২০১২ সালের ১৪ মার্চ, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমুদ্রসীমা বিরোধের মামলা নিষ্পত্তি হয়। এটি পরিচালিত হয় জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন ট্রাইবুনাল (International Tribunal for the Law of the Sea – ITLOS) এ। এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ১,১১,৬৩১ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমা লাভ করে। -
বাংলাদেশ–ভারত সমুদ্রসীমা:
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ স্থায়ী সালিশি আদালত (Permanent Court of Arbitration – PCA) দ্বারা সমাধান করা হয়।
তথ্যসূত্র: সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রের রিপোর্ট।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র?
Created: 1 month ago
A
ধীরে বহে মেঘনা
B
কলমিলতা
C
আবার তােরা মানুষ হ
D
হুলিয়া
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো বাংলা সিনেমায় যুদ্ধ ও তার প্রভাবকে জীবন্তভাবে তুলে ধরে। এই চলচ্চিত্রগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবতা, সামাজিক অবক্ষয়, এবং মানুষের মানসিক যন্ত্রণার চিত্র ফুটে উঠেছে।
মুক্তিযুদ্ধের ভেতরের নানামাত্রিক ঘটনা ও চরিত্রের আবেগকে বিভিন্ন পরিচালক তাদের নিজস্ব ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন।
-
হুলিয়া: এটি নির্মাণ করেছেন তানভীর মোকাম্মেল। চলচ্চিত্রটি ষাটের দশকে প্রগতিশীল সংগঠনের কর্মীদের ওপর পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রেক্ষাপটে লেখা নির্মলেন্দু গুণের কবিতা অনুযায়ী নির্মিত। গল্পে হুলিয়া বুকে নিয়ে ঘরছাড়া এক তরুণের জীবনকে ক্যামেরার ফ্রেমে তুলে ধরা হয়েছে।
-
ধীরে বহে মেঘনা (১৯৭৩): মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই চলচ্চিত্রের পরিচালক আলমগীর কবির। গল্পে ভারতীয় মেয়ে অনিতার প্রেমিক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয় এবং অনিতা ঢাকায় এসে যুদ্ধের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করে গভীরভাবে মর্মাহত হয়। এতে অভিনয় করেছেন বুলবুল আহমেদ, ববিতা, গোলাম মোস্তফা, আনোয়ার হোসেন, খলিল উল্লাহ প্রমুখ। চলচ্চিত্রটিতে গান রয়েছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এর কণ্ঠে।
-
তোরা মানুষ হ (১৯৭৩): পরিচালক খান আতাউর রহমান। এই চলচ্চিত্রে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অবক্ষয়ের চিত্র ফুটে উঠেছে। চরিত্র হিসেবে অভিনয় করেছেন ফারুক, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ববিতা, রোজী আফসারী, রওশন জামিল প্রমুখ। গল্পে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও তরুণদের কার্যকলাপ এবং একজন আদর্শবাদী অধ্যক্ষের দৃঢ়তা তুলে ধরা হয়েছে।
-
কলমীলতা: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পরিচালক শহীদুল হক খান।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে White gold কোনটি?
Created: 2 months ago
A
ইলিশ
B
পাট
C
রূপা
D
চিংড়ি
বাংলাদেশ চিংড়ির কারণে ‘সাদা সোনা’ হিসেবে পরিচিত। বঙ্গোপসাগর, নদী মোহনা ও স্বাদু পানিতে প্রচুর চিংড়ি থাকায় এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য সম্পদ। দেশে মোট ৫৬টি চিংড়ির প্রজাতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে:
-
৩৭টি লবণাক্ত পানিতে,
-
১২টি কমলবণাক্ত পানিতে,
-
৭টি স্বাদু পানিতে বাস করে।
চিংড়ি রপ্তানি থেকে দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। তাই চিংড়িকে ‘হোয়াইট গোল্ড’ বা সাদা সোনা বলা হয়। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী রপ্তানি পণ্য।
উৎপাদন এলাকা:
চিংড়ির প্রাধান্য রয়েছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল যেমন বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা। ৭০-এর দশকের শুরুতে এখানকার চাষীরা সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ শুরু করেন। ৮০-এর দশক থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাগদা চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি শুরু হয়।
-
শুরুতে খুলনা অঞ্চলে আধা-লোনা পানিতে এবং কক্সবাজারে লবণাক্ত পানি ব্যবহার করে চিংড়ি চাষ করা হয়।
-
এরপর মৎস্য অধিদপ্তরের হ্যাচারি পোনা উৎপাদনে সফল হয় এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে হ্যাচারি স্থাপনে সহায়তা করা হয়।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
দেশের জাতীয় মাছ: ইলিশ
-
দেশের গুরুত্বপূর্ণ ফসল: পাট, যাকে বলা হয় ‘সোনালী আশ’
উৎস: পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 months ago
বঙ্গভঙ্গের ফলে কোন নতুন প্রদেশ সৃষ্টি হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
পূর্ববঙ্গ
B
পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা
C
পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ
D
পূর্ববঙ্গ ও আসাম
১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের নেতৃত্বে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাংলা প্রদেশকে দুইটি প্রদেশে বিভক্ত করা হয়। পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ এই নতুন বিন্যাসে তৈরি হয়,
যা তৎকালীন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। নতুন প্রদেশের গঠন, আয়তন, জনসংখ্যা ও প্রতিক্রিয়ার বিবরণ নিম্নরূপ:
-
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ করে দুটি প্রদেশ তৈরি করা হয়।
-
প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রশাসনিক সুবিধা এবং রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ।
-
পূর্ববঙ্গ প্রদেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিভাগের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি, পার্বত্য ত্রিপুরা, মালদাহ এবং আসাম যুক্ত করা হয়।
-
নতুন প্রদেশের নাম হয় পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ।
-
পূর্ববঙ্গ প্রদেশের আয়তন দাঁড়ায় ১০৬,৫৪০ বর্গমাইল।
-
জনসংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১০ লক্ষ, যার মধ্যে ১ কোটি ৮০ লক্ষ মুসলমান।
-
নতুন প্রদেশের রাজধানী করা হয় ঢাকা এবং অনুসঙ্গী সদর দপ্তর চট্টগ্রামে।
অন্য দিকে:
-
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উড়িষ্যা নিয়ে আরেকটি প্রদেশ গঠিত হয়।
-
এর নামকরণ করা হয় বাংলা প্রদেশ।
-
বাংলা প্রদেশের রাজধানী করা হয় কলকাতা।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
-
নতুন প্রদেশে মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় তারা কার্জনের উদ্যোগকে স্বাগত জানায়।
-
উচ্চ বর্ণের হিন্দুরা এর তীব্র বিরোধিতা করে।
-
কংগ্রেস এর বিরুদ্ধে প্রচণ্ড আন্দোলন গড়ে ওঠে।
-
অবশেষে সরকার ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ বাতিল করে।

0
Updated: 1 month ago