A
আইন মন্ত্রণালয়ের
B
রাষ্ট্রপতির
C
স্পিকারের
D
জাতীয় সংসদের
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় সংসদের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা
বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে নিয়ন্ত্রিত। সংবিধান অনুযায়ী, এটি দেশের একমাত্র আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
সংবিধান ৬৫(১) ধারায় বলা হয়েছে:
"জাতীয় সংসদ" নামে বাংলাদেশের একটি সংসদ থাকবে এবং এই সংবিধানের বিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সংসদের উপর থাকবে।
তবে এখানে একটি শর্তও রয়েছে: সংসদ যে আইন প্রণয়ন করে, তাতে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে যে আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন বা অন্যান্য আইনগত কার্যকর চুক্তি তৈরি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেই ক্ষমতা সংসদকে আইন প্রণয়নের দায়িত্ব থেকে মুক্ত করবে না। অর্থাৎ, সংসদ সবসময় প্রধান আইন প্রণয়নকারী থাকবে।
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান, ধারা ৬৫

0
Updated: 1 day ago
জুম চাষ হয়-
Created: 1 day ago
A
বরিশালে
B
ময়মনসিংহে
C
খাগড়াছড়িতে
D
দিনাজপুরে
জুম চাষ (Jhum Cultivation) বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচলিত এক প্রাচীন চাষাবাদ পদ্ধতি। এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো—এক জায়গায় কয়েক বছর চাষ করার পর জমির উর্বরতা পুনরুদ্ধারের জন্য সেটি ফেলে রেখে পাহাড়ের অন্য জায়গায় চাষ শুরু করা। অর্থাৎ জমি পরিবর্তনের মাধ্যমে চাষ করাকেই জুম বলা হয়।
এই চাষের জন্য প্রথমে পাহাড়ের জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়, তারপর সেখানে ফসল ফলানো হয়। যারা এই চাষ করেন, তাঁদের বলা হয় জুমিয়া। পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জীবিকার প্রধান ভরসা হলো জুম চাষ। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয়।
জুমে সাধারণত যেসব ফসল জন্মে তার মধ্যে রয়েছে—ধান, ভুট্টা, কাউন, তিল, শসা, মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ, বরবটি, তুলা, কলা, আদা ও হলুদ।
বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা—রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানেই মূলত জুম চাষ হয়ে থাকে।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 day ago
[তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন] সরকারি হিসাব মতে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু-
Created: 5 days ago
A
৬৫.৪ বছর
B
৬৭.৫ বছর
C
৭০.৮ বছর
D
৭৩.৭ বছর
[অপশনে সঠিক উত্তর নেই । তাছাড়াও এই প্রশ্নের তথ্য পরিবর্তনশীল। অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন।]
------------------
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪:
- বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা: ১৭১ মিলিয়ন।
- জনসংখ্যা বৃদ্ধির স্বাভাবিক হার: ১.৩৩%।
- গড় আয়ু: ৭২.৩ বছর।
- মাথাপিছু জাতীয় আয়: ২,৭৮৪ মার্কিন ডলার।
- মাথাপিছু জিডিপি: ২,৬৭৫ মার্কিন ডলার।
- স্থির মূল্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৮২%।
- মোট রপ্তানি আয়: মিলিয়ন ডলার।
- মোট আমদানি ব্যয়: মিলিয়ন ডলার।
- মূল্যস্ফীতি: ৯.৭৪%।
- সাক্ষরতার হার (৭ বছর +): ৭৭.৯%।
- দারিদ্র্যের হার: ১৮.৭%।
- চরম দারিদ্র্যের হার: ৫.৬%।
তথ্যসূত্র - বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪।

0
Updated: 5 days ago
একটি দেশের মোট আয়তনের কত শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন?
Created: 1 month ago
A
১৫-২০%
B
২০-২৫%
C
৩০-৩৫%
D
৩৫-৪০%
বন: প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ
একটি দেশের মোট জমির কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা খুবই জরুরি। এর মাধ্যমে ভূমির ক্ষয় রোধ, মাটি উর্বর রাখা, জলবায়ুর ভারসাম্য বজায় রাখা এবং বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়।
বাংলাদেশের বনভূমি
বাংলাদেশের বনভূমি পাঁচটি প্রধান অঞ্চলে ভাগ করা যায়:
১। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বন
২। সিলেটের বনাঞ্চল
৩। সুন্দরবন
৪। মধুপুর ও ভাওয়ালের বন
৫। দিনাজপুর ও রংপুরের বন
বাংলাদেশের বনাঞ্চলে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, কেওড়া, গর্জন, সেগুন, চাপালিস, গামারি, শিরীষ, শাল এর মতো গাছ পাওয়া যায়।
সুন্দরবনে গোলপাতা এবং সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে বাঁশ ও বেত প্রচুর পরিমাণে জন্মে।
এগুলো থেকে কাঠ সংগ্রহ করে ঘর-বাড়ি, আসবাবপত্র, নৌকা, রেলওয়ের স্লিপার, খুঁটি ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বন থেকে আমরা জ্বালানি কাঠ, মধু, মোম, গোলপাতা প্রভৃতি পেয়ে থাকি, যা অনেক মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম।
বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ
-
বাংলাদেশের মোট আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।
-
সরকার নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর, যা মোট জমির প্রায় ১৫.৫৮%।
-
বন অধিদপ্তর পরিচালিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ১৬ লাখ হেক্টর, যা দেশের মোট আয়তনের প্রায় ১০.৭৪%।
-
মোট বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের মোট জমির ২২.৩৭%।
উৎস: অর্থনীতি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago