A
ফার্নেস অয়েল
B
কয়লা
C
প্রাকৃতিক গ্যাস
D
ডিজেল
উত্তরের বিবরণ
বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত প্রধান জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের অবস্থা
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় প্রাকৃতিক গ্যাস। ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ৪৯.০৭% গ্যাস ভিত্তিক, এবং ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক উৎপাদন ২৬.৯৫%।
২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬,৮৪৪ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির ব্যবহারের ভাগ হলো:
-
গ্যাস: ৪৯.০৭%
-
ফার্নেস অয়েল: ২৬.৯৫%
-
কয়লা: ১১.৪৬%
-
ডিজেল: ৫.৪৯%
-
বিদ্যুৎ আমদানি: ৪.৯৪%
-
নবায়নযোগ্য জ্বালানি: ২.০৮%
উৎস: অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪

0
Updated: 1 day ago
মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের ক'টি জেলার সীমান্ত রয়েছে?
Created: 1 day ago
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
৫টি
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা
বাংলাদেশের দুইটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে — একটির সাথে ভারত এবং অন্যটির সাথে মিয়ানমার। দেশে মোট ৩২টি জেলা আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবস্থিত।
এর মধ্যে ভারতের সাথে ৩০টি জেলা সীমান্ত ভাগ করে এবং মিয়ানমারের সাথে ৩টি জেলা সীমান্তবর্তী।
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো হলো:
-
কক্সবাজার
-
রাঙ্গামাটি
-
বান্দরবান
উল্লেখযোগ্যভাবে, রাঙ্গামাটি জেলা হলো একমাত্র জেলা যা ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমারের সাথেও সীমান্ত ভাগ করে।
উৎস: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 day ago
শালবন বিহার কোথায়?
Created: 2 weeks ago
A
গাজীপুর
B
মধুপুর
C
রাজবাড়ী
D
কুমিল্লার ময়ানমতি পাহাড়ের পাশে
শালবন বিহার
শালবন বিহার কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর একটি। এটি কোটবাড়ির বার্ডেরকাছের লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত। বিহারটির নামকরণ হয়েছে আশেপাশের একসময়কার ঘন শাল-গজারি বন থেকে।
ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ দিক থেকে অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এই বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেছিলেন। শালবন বিহারের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬৭.৭ মিটার। এখানে ঢোকা বা বের হওয়ার একটাই পথ ছিল। বিহারের ভিতরে মোট ১৫৫টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা শিক্ষা গ্রহণ ও ধর্মচর্চা করতেন।
প্রত্নতাত্ত্বিক খননের সময় বিহারের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গেছে আটটি তাম্রলিপি, প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, প্রচুর পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রোঞ্জ ও মাটির মূর্তি। এগুলো বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 weeks ago
'সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড' কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
যমুনা নদীতে
B
মেঘনার মোহনায়
C
বঙ্গোপসাগরে
D
সন্দ্বীপ চেনেল
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড – বঙ্গোপসাগরের গভীর খাদ
মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
প্রকৃতি: সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড হলো খাদাকৃতির সামুদ্রিক অববাহিকা বা গভীর গিরিখাত।
-
অবস্থান: এটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদী বিভাগের পশ্চিমে অবস্থিত। অনেকে এটিকে “গঙ্গা খাদ” নামেও চেনে।
-
প্রস্থ ও ঢাল: খাদটির প্রস্থ প্রায় ৫–৭ কিলোমিটার। তলদেশ তুলনামূলকভাবে সমতল, এবং পার্শ্ব দেয়ালের ঢাল প্রায় ১২°।
-
গভীরতা: মহীসোপানের কাছাকাছি অংশে খাদটির গভীরতা প্রায় ১,২০০ মিটার।
-
পলল ও স্রোত: বঙ্গীয় ডিপ সি ফ্যানের গবেষণায় দেখা গেছে, সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড ঘোলাটে স্রোত বহন করে এবং পললসমূহ গভীর সমুদ্রে স্থানান্তর করে। বেশিরভাগ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গমস্থল থেকে উৎপন্ন হয়, যা হিমালয়ের দক্ষিণ ও উত্তর অংশ থেকে আসা নদী ও প্রবাহের মাধ্যমে সাগরে পৌঁছায়।
-
বর্তমান প্রভাব: বর্তমানে স্বল্প পরিমাণ ঘোলাটে স্রোত এবং বালি সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের মাধ্যমে মহীসোপান থেকে গভীর সমুদ্রে পলল পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago