গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হবার ন্যূনতম বয়স -
A
৩০ বছর
B
৩৫ বছর
C
৪০ বছর
D
৪৫ বছর
উত্তরের বিবরণ
রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদ
১. রাষ্ট্রপতির ন্যূনতম বয়স:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রার্থীকে ন্যূনতম ৩৫ বছর বয়সী হতে হবে।
২. জাতীয় সংসদ:
-
জাতীয় সংসদ হলো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা।
-
সংবিধানের পঞ্চম ভাগে জাতীয় সংসদ সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা আছে।
-
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ এককক্ষবিশিষ্ট।
-
জাতীয় সংসদে মোট ৩৫০ জন সদস্য থাকেন, যেখানে সারাদেশ থেকে নির্বাচিত ৩০০ জন এবং সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি।
-
প্রতিটি সংসদ পাঁচ বছর মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
-
রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর হতে হবে।
-
প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বয়সের ন্যূনতম সীমা ২৫ বছর।
৩. রাষ্ট্রপতি:
-
সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি হলো দেশের সর্বোচ্চ মর্যাদার পদ।
-
রাষ্ট্রপতি সংসদ সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হন।
-
রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি সংবিধান ও আইন দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন এবং দায়িত্ব পালন করবেন।
-
কোনো ব্যক্তি একাধিক দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারবেন না, তা পরপর হোক বা না হোক।
-
রাষ্ট্রপতি সংসদের সদস্য হতে পারবেন না। যদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, তবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার দিনই তার আসন খালি হবে।
-
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী অযোগ্য হবেন, যদি তার বয়স ৩৫ বছরের কম হয় বা সে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য না হয়।
-
রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারণ করা যায় অভিশংসনের মাধ্যমে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান, অনুচ্ছেদ-৪৮

0
Updated: 1 month ago
কোনটি বিচার বিভাগের কাজ নয়?
Created: 2 weeks ago
A
আইনের প্রয়োগ
B
আইনের ব্যাখ্যা
C
সংবিধানের ব্যাখ্যা
D
সংবিধান প্রণয়ন
বিচার বিভাগ দেশের শাসন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শুধু মামলার নিষ্পত্তি নয় বরং আইন, শাসন ও সংবিধানের রক্ষা নিশ্চিত করে।
এটি দেশের সমস্ত বিচারকের দ্বারা গঠিত এবং দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা ও ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। বিচার বিভাগের কার্যাবলি নিম্নরূপ:
বিচার সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ আইনকে বাস্তবায়ন করে এবং দেশের আইনের প্রতি আনুগত্য নিশ্চিত করে।
-
এটি ব্যক্তির, রাষ্ট্রের এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উদ্ভূত বিরোধ সমাধান করে।
আইন সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ আইনের ব্যাখ্যা প্রদান করে এবং প্রয়োজনে নিজের মতামতও প্রতিফলিত করে।
-
এই ব্যাখ্যাগুলো পরবর্তীতে উদাহরণ (precedent) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
শাসন সংক্রান্ত কাজ
-
বিচার বিভাগ শুধু মামলার নিষ্পত্তি করে না, শাসন সংক্রান্ত কাজও করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, নাবালকের সম্পত্তি তদারকি করা বা বিদেশী নাগরিককে নাগরিকত্ব প্রদান করা।
পরামর্শ প্রদান
-
শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগ প্রায়ই বিচার বিভাগের পরামর্শের উপর নির্ভর করে।
-
বিচার বিভাগ এখানে জ্ঞানসমৃদ্ধ পরামর্শ বা উপদেশ (advice) প্রদান করে।
জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা
-
বিচার বিভাগ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করে।
-
শাসন বিভাগের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে এটি একমাত্র প্রতিরক্ষা হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে এবং প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা (injunction) জারি করে।
তদন্ত সংক্রান্ত কাজ
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার জনগণের সম্পত্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে বাধ্য।
-
অন্যায়, জোর-জবরদস্তি, অপরাধ বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ তদন্ত পরিচালনা করে এবং আইন শাসন নিশ্চিত করে।
সংবিধান সংরক্ষণ
-
বিচার বিভাগ সংবিধানের রক্ষক (guardian of the constitution)।
-
সংবিধান ব্যাখ্যা করে কেন্দ্র ও অঙ্গরাজ্যের মধ্যে বিবাদ সমাধান করে এবং সংবিধানের প্রাধান্য নিশ্চিত করে।
ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা
-
ন্যায় প্রতিষ্ঠা বিচার বিভাগের একটি মূল কাজ।
-
এটি মামলা পরিচালনা করে নথি পর্যালোচনা, সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ এবং অপরাধীর শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে।

0
Updated: 2 weeks ago
শালবন বিহার কোথায়?
Created: 2 months ago
A
গাজীপুর
B
মধুপুর
C
রাজবাড়ী
D
কুমিল্লার ময়ানমতি পাহাড়ের পাশে
শালবন বিহার
শালবন বিহার কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর একটি। এটি কোটবাড়ির বার্ডেরকাছের লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত। বিহারটির নামকরণ হয়েছে আশেপাশের একসময়কার ঘন শাল-গজারি বন থেকে।
ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ দিক থেকে অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এই বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেছিলেন। শালবন বিহারের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬৭.৭ মিটার। এখানে ঢোকা বা বের হওয়ার একটাই পথ ছিল। বিহারের ভিতরে মোট ১৫৫টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা শিক্ষা গ্রহণ ও ধর্মচর্চা করতেন।
প্রত্নতাত্ত্বিক খননের সময় বিহারের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গেছে আটটি তাম্রলিপি, প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, প্রচুর পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রোঞ্জ ও মাটির মূর্তি। এগুলো বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 months ago
‘সেকেন্ডারি মার্কেট’ কিসের সাথে সংশ্লিষ্ট?
Created: 1 month ago
A
শ্রম বাজার
B
চাকুরি বাজার
C
স্টক মার্কেট
D
কৃষি বাজার
পুঁজি বাজার বা স্টক মার্কেটকে সাধারণত সেকেন্ডারি মার্কেট হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। বাংলাদেশে এই বাজার পরিচালনার জন্য দুটি প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে।
-
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE), প্রতিষ্ঠিত ১৯৫৪ সালে, কিন্তু আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে ১৯৫৬ সালে নারায়ণগঞ্জে। পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে ঢাকার মতিঝিলে স্থানান্তরিত হয়।
-
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (CSE), প্রতিষ্ঠিত ১৯৯৫ সালে।
-
বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (BSEC), যা ১৯৯৩ সালের ৮ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকের পুঁজির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পুঁজি বাজারে বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা।

0
Updated: 1 month ago