A
ধারা ২৬
B
ধারা ২৭
C
ধারা ২৮
D
ধারা ২৯
উত্তরের বিবরণ
আইন অনুযায়ী সমতা (অনুচ্ছেদ ২৭)
বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং সকলের আইনের সমান আশ্রয় গ্রহণের অধিকার রয়েছে। এর অর্থ, কোনো ব্যক্তি তার ধর্ম, জাতি, লিঙ্গ বা সামাজিক অবস্থার কারণে আইন থেকে বঞ্চিত হতে পারবে না।
সংবিধানে মৌলিক অধিকার
বাংলাদেশ সংবিধানের তৃতীয় ভাগে ২৭ নং অনুচ্ছেদ থেকে ৪৭ নং অনুচ্ছেদ পর্যন্ত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারসমূহ বর্ণিত আছে। এই অধিকারগুলো নাগরিকদের জীবনে ন্যায়, সমতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ
-
অনুচ্ছেদ ২১: নাগরিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের কর্তব্য নির্ধারণ।
-
অনুচ্ছেদ ২২: নির্বাহী ও বিচার বিভাগকে পৃথক করা।
-
অনুচ্ছেদ ২৪: জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন সংরক্ষণ।
-
অনুচ্ছেদ ২৫: আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা।
-
অনুচ্ছেদ ২৬: মৌলিক অধিকারের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ আইন বাতিল।
-
অনুচ্ছেদ ২৮: ধর্ম বা অন্যান্য কারণে বৈষম্য করা যাবে না।
-
অনুচ্ছেদ ২৯: সরকারি চাকরি ও নিয়োগে সুযোগের সমতা।
-
অনুচ্ছেদ ৩০: বিদেশী উপাধি বা খেতাব গ্রহণে বিধিনিষেধ।
-
অনুচ্ছেদ ৪৭: কিছু নির্দিষ্ট আইন রক্ষার বিষয় নির্দেশ।
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান; পৌরনীতি ও সুশাসন (দ্বিতীয় পত্র), এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর উদ্দেশ্য কী ছিল?
Created: 1 month ago
A
জরুরি অবস্থা ঘোষণা
B
মহিলাদের জন্য সংসদের আসন সংরক্ষণ
C
সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠা
D
৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দির বিচার অনুষ্ঠান
বাংলাদেশের সংবিধান, যা ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং একই বছর ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা ও শাসনের মূল ভিত্তি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি মোট ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে, তবে এর মধ্যে চারটি সংশোধনীকে সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছে।
প্রথম সংশোধনী: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ব্যবস্থা
১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই দেশের সংবিধানে প্রথম সংশোধনী আনা হয়। এই সংশোধনীর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সংঘটিত গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রমকে আইনগত স্বীকৃতি প্রদান। সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ৪৭ নং অনুচ্ছেদতে পরিবর্তন এনে ‘৪৭-(ক)’ নামে একটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়। এই ধারার আওতায় যুদ্ধাপরাধী ও গণহত্যার অভিযোগে বন্দিদের বিচার করা সম্ভবপর হয়, যা দেশের ন্যায়বিচারের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।
দ্বিতীয় সংশোধনী: জরুরি অবস্থা ঘোষণা
এর পরের গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী হয় ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। এই সংশোধনীতে সংবিধানে জরুরি অবস্থার বিধান সংযোজন করা হয়। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বা বহিরাক্রমণের ফলে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত হলে সরকার ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করতে পারবে। এ ধারা দেশের নিরাপত্তা ও শাসনের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সর্বশেষ সংশোধনী ও নারী আসনের সংরক্ষণ
বাংলাদেশের সংবিধানে সর্বশেষ, অর্থাৎ সপ্তদশ সংশোধনী পাশ হয় ২০১৮ সালের ৮ জুলাই। এতে জাতীয় সংসদের ৫০টি আসন বিশেষভাবে নারীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়, যেটি আরও ২৫ বছর প্রযোজ্য থাকবে। এই পদক্ষেপ দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের হস্তলিখিত সংবিধানটির অঙ্গসজ্জা কে করেন?
Created: 2 weeks ago
A
কামরুল হাসান
B
জয়নুল আবেদীন
C
আব্দুর রউফ
D
হাশেম খান
বাংলাদেশের সংবিধান
-
সংবিধান প্রণয়ন কমিটি:
-
গঠন: ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল
-
সভাপতি: আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন
-
সদস্য সংখ্যা: ৩৪ জন
-
-
কার্যকরী হওয়ার তারিখ: ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২
-
মূল লেখক: শিল্পী আব্দুর রউফ
-
অঙ্গসজ্জা (Illustration/Decoration): শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন
-
প্রচ্ছদ: শীতলপাটিতে লেখা: “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান”
-
স্বাক্ষর:
-
গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্য হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন
-
স্বাক্ষর করা হয় বাংলা ও ইংরেজি লিপিতে, তারিখ: ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭২
-
একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্বাক্ষর করেননি
-
সূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলাদেশ সংবিধান, আরিফ খান।

0
Updated: 2 weeks ago
সংবিধানের কোন ভাগে মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
দ্বিতীয় ভাগ
B
তৃতীয় ভাগ
C
চতুর্থ ভাগ
D
পঞ্চম ভাগ
সংবিধানে মৌলিক অধিকার:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩য় ভাগে ‘মৌলিক অধিকার’ উল্লেখ করা হয়েছে।
-
সংবিধানের তৃতীয় ভাগে ২৬ নং থেকে ৪৭ নং অনুচ্ছেদ পর্যন্ত মৌলিক অধিকারসমূহ সংযোজিত আছে।
-
-
সংবিধানের ভাগসমূহ:
-
প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র
-
দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
-
তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার
-
চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
-
পঞ্চম ভাগ: আইনসভা
-
ষষ্ঠ ভাগ: বিচার বিভাগ
-
সপ্তম ভাগ: নির্বাচন
-
অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
-
দশম ভাগ: সংবিধান-সংশোধন
-
একাদশ ভাগ: বিবিধ
-
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান।

0
Updated: 2 weeks ago