আইন প্রণয়নের ক্ষমতা-
A
আইন মন্ত্রণালয়ের
B
রাষ্ট্রপতির
C
স্পিকারের
D
জাতীয় সংসদের
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় সংসদের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা
বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে নিয়ন্ত্রিত। সংবিধান অনুযায়ী, এটি দেশের একমাত্র আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান।
সংবিধান ৬৫(১) ধারায় বলা হয়েছে:
"জাতীয় সংসদ" নামে বাংলাদেশের একটি সংসদ থাকবে এবং এই সংবিধানের বিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সংসদের উপর থাকবে।
তবে এখানে একটি শর্তও রয়েছে: সংসদ যে আইন প্রণয়ন করে, তাতে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে যে আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন বা অন্যান্য আইনগত কার্যকর চুক্তি তৈরি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেই ক্ষমতা সংসদকে আইন প্রণয়নের দায়িত্ব থেকে মুক্ত করবে না। অর্থাৎ, সংসদ সবসময় প্রধান আইন প্রণয়নকারী থাকবে।
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান, ধারা ৬৫

0
Updated: 1 month ago
কোন বিদেশী পত্রিকা বঙ্গবন্ধুকে 'রাজনীতির কবি' (Poet of Politics) উপাধি দিয়েছিলেন?
Created: 1 month ago
A
নিউজ উইকস
B
দি ইকোনমিস্ট
C
টাইম
D
গার্ডিয়ান
রাজনীতির কবি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শুধু বাঙালির বঙ্গবন্ধু হিসেবেই নয়, বরং একজন বিশ্ববরেণ্য নেতা হিসেবে ‘বিশ্ববন্ধু’ উপাধিতেও অভিহিত করা হয়। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রধান স্বপ্নদ্রষ্টা।
১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল, মার্কিন সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন নিউজউইক-এর সাংবাদিক লোরেন জেনকিন্স তাঁর প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধুকে প্রথমবারের মতো “Poet of Politics” (রাজনীতির কবি) বলে আখ্যায়িত করেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার অসাধারণ ক্ষমতা এবং অনন্য স্টাইলের কারণেই তিনি এই বিশেষ স্বীকৃতি পান।
বিশেষত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু একটি রাজনৈতিক ভাষণই নয়, বরং এক অনবদ্য কবিতার মতো—যেখানে জাতির মুক্তির আহ্বান স্পষ্টভাবে ধ্বনিত হয়। তাই তাঁকে রাজনৈতিক মহাকবি বলার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
নিউজউইক একটি মার্কিন সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন, যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩৩ সালে।
উৎস: রাষ্ট্রপতির কার্যালয়

0
Updated: 1 month ago
মহাস্থবীর শিলভদ্র কোন মহাবিহারের আচার্য ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
আনন্দ বিহার
B
নালন্দা বিহার
C
গোসিপো বিহার
D
সোমপুর বিহার
মহাস্থবীর শীলভদ্র নালন্দা মহাবিহারের আচার্য ছিলেন
নালন্দা মহাবিহার
-
নালন্দা প্রাচীন ভারতের এক খ্যাতনামা বৌদ্ধ মহাবিহার।
-
সপ্তম শতকে এটি বৌদ্ধ শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল।
-
ধারণা করা হয়, গুপ্ত সম্রাটরাই এই বিখ্যাত মহাবিহারটি নির্মাণ করেছিলেন।
-
পঞ্চম শতক থেকে প্রায় ১২০০ শতক পর্যন্ত নালন্দা একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল।
-
এটি বিহারের পাটনা থেকে প্রায় ৯৫ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে এবং বিহার শরিফ শহরের কাছে অবস্থিত।
-
চৈনিক তীর্থযাত্রী জুয়ান জাং ও ইজিং নালন্দা সম্পর্কে লিখেছেন; তাঁরা সপ্তম শতকে এখানে ভ্রমণ করেছিলেন।
-
বিখ্যাত চীনা তীর্থযাত্রী হিউয়েন-সাংও নালন্দায় কয়েক বছর পড়াশোনা করেছিলেন।
-
নালন্দার পণ্ডিতগণ তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিখ্যাত ছিলেন।
-
হিউয়েন-সাংয়ের সময়, নালন্দার আচার্য ছিলেন বাঙালি বৌদ্ধ ভিক্ষু শীলভদ্র, যিনি সমতটের প্রথম প্রধান দার্শনিক ছিলেন।
-
শীলভদ্র সন্ন্যাস জীবন শুরু করার আগে যুক্তিবিদ্যা, ভাষাতত্ত্ব, সাংখ্যদর্শন ও ধর্মশাস্ত্রে প্রগভভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন।
-
তিনি প্রথম বাঙালি বৌদ্ধ শিক্ষক, যিনি বাংলার বাইরে এই ধরনের মর্যাদা অর্জন করেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য:
-
বর্তমান নালন্দা মহাবিহার ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'আলোকিত মানুষ চাই' - এটি কোন প্রতিষ্ঠানের শ্লোগান?
Created: 2 months ago
A
জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র
B
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
C
সুশাসনের জন্য নাগরিক
D
পাবলিক লাইব্রেরী
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র
-
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র আজ একটি দেশব্যাপী উদ্যোগ।
-
এটি আলোকিত জাতির মানসিক বিকাশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি।
-
কেন্দ্রটি মানবজ্ঞান, হৃদয় ও জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষকে উন্নত মানসিকতা এবং উচ্চ মানবিক মূল্যবোধে বিকশিত করতে কাজ করে।
-
প্রতিষ্ঠাতা: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
-
প্রতিষ্ঠার সাল: ১৯৭৮
-
কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য হলো দেশের প্রতিটি মানুষকে আলোকিত, সক্রিয় এবং মূল্যবোধসমৃদ্ধ করে গড়ে তোলা, তাদের একত্রিত করে জাতীয় শক্তি হিসেবে তৈরি করা এবং দেশের মানুষের চেতনায় সামগ্রিক আলোকায়ন ঘটানো।
শ্লোগান: ‘আলোকিত মানুষ চাই’
সূত্র: বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 months ago