A
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
B
সোনালী ব্যাংক
C
অগ্রণী ব্যাংক
D
রূপালী ব্যাংক
উত্তরের বিবরণ
বিশেষায়িত ব্যাংক
বাংলাদেশে বর্তমানে ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক রয়েছে। এ ব্যাংকগুলোর মালিকানা পুরোপুরি বাংলাদেশ সরকারের হাতে। প্রতিটি ব্যাংক নির্দিষ্ট বিশেষ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য প্রতিষ্ঠিত।
এই তিনটি ব্যাংক হলো—
১. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
২. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
৩. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
অ-তফসিলী ব্যাংক
যেসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের তফসিলভুক্ত তালিকায় নেই, সেগুলোকে অ-তফসিলী ব্যাংক বলা হয়। এ ধরনের ব্যাংক সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব বিধিনিষেধ মেনে চলে না।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৫টি অ-তফসিলী ব্যাংক রয়েছে। এগুলো হলো—
-
আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক
-
কর্মসংস্থান ব্যাংক
-
গ্রামীণ ব্যাংক
-
জুবিলি ব্যাংক
-
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক
উৎস: বাংলাদেশ ব্যাংক (অফিসিয়াল ওয়েবসাইট)

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি হিসেবে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়-
Created: 1 day ago
A
ফার্নেস অয়েল
B
কয়লা
C
প্রাকৃতিক গ্যাস
D
ডিজেল
বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত প্রধান জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের অবস্থা
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় প্রাকৃতিক গ্যাস। ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ৪৯.০৭% গ্যাস ভিত্তিক, এবং ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক উৎপাদন ২৬.৯৫%।
২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬,৮৪৪ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির ব্যবহারের ভাগ হলো:
-
গ্যাস: ৪৯.০৭%
-
ফার্নেস অয়েল: ২৬.৯৫%
-
কয়লা: ১১.৪৬%
-
ডিজেল: ৫.৪৯%
-
বিদ্যুৎ আমদানি: ৪.৯৪%
-
নবায়নযোগ্য জ্বালানি: ২.০৮%
উৎস: অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪

0
Updated: 1 day ago
লর্ড ক্যানিং ভারত উপমহাদেশে প্রথম কোন ব্যবস্থা চালু করেন?
Created: 1 week ago
A
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা
B
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা
C
সতীদাহ নিবারণ ব্যবস্থা
D
পুলিশ ব্যবস্থা
লর্ড ক্যানিং এবং ভারতের প্রশাসনিক সংস্কার
লর্ড জন ক্যানিং ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল (১৮৫৬–১৮৬২) এবং ১৮৫৮ সালের ১ নভেম্বর থেকে ভারতের প্রথম ভাইসরয়। তাঁর প্রশাসনের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ। তিনি এই বিদ্রোহ দমন করেন, এবং এর পর ১৮৫৮ সালে পার্লামেন্টারি আইন প্রণীত হয়।
লর্ড ক্যানিংয়ের উল্লেখযোগ্য অবদানসমূহ:
-
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম কাগজের মুদ্রা প্রচলন। এর আগে মূলত স্বর্ণ ও রূপি ব্যবহার হতো।
-
প্রথম বার্ষিক বাজেট ঘোষণা।
-
১৮৬১ সালে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা, যা আধুনিক পুলিশ ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে।
অন্য প্রশাসনিক সংস্কারের কিছু উদাহরণ:
-
লর্ড কর্নওয়ালিশ (১৭৯৩): ভূমি ব্যবস্থাপনায় ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন।
-
রবার্ট ক্লাইভ (১৭৬৫): বাংলায় দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন।
-
উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (১৮২৯): সতীদাহ প্রথা বিলুপ্তি সংক্রান্ত আইন অনুমোদন।
উৎস: ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
কিসের ভিত্তিতে পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলন হয়েছিল?
Created: 1 day ago
A
দ্বি-জাতি তত্ত্ব
B
সামাজিক চেতনা
C
অসাম্প্রদায়িকতা
D
বাঙালি জাতীয়তাবাদ
ভাষা আন্দোলনের ভিত্তি
পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলনের মূল ভিত্তি ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ। এই আন্দোলনই ছিল বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সূচনা।
ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে পূর্ব বাংলার মানুষ নিজেদের জাতীয় পরিচয় ও আত্মপরিচয়ের প্রতি সচেতন হয়ে ওঠে।
বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতি ছিল এ জাতীয়তাবোধের মূল ভরকেন্দ্র। এর ফলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠে, যা পরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 day ago