যমুনা নদী কোথায় পতিত হয়েছে?
A
পদ্মায়
B
বঙ্গোপসাগরে
C
ব্রহ্মপুত্রে
D
মেঘনায়
উত্তরের বিবরণ
যমুনা নদী
-
যমুনা নদী বাংলাদেশের প্রধান তিন নদীর অন্যতম।
-
এটি ব্রহ্মপুত্র নদীর প্রধান শাখা হিসেবে পরিচিত।
-
১৭৮২ থেকে ১৭৮৭ সালের মধ্যে সংঘটিত একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প ও বিধ্বংসী বন্যার কারণে ব্রহ্মপুত্রের প্রাচীন গতিপথ বদলে যায় এবং এর ফলস্বরূপ বর্তমান যমুনা নদীর সৃষ্টি ঘটে।
-
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে যমুনা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২০৫ কিলোমিটার।
-
নদীর প্রশস্ততা ৩ থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভিন্ন, তবে গড় প্রশস্ততা প্রায় ১০ কিলোমিটার।
-
যমুনা নদী গোয়ালন্দের কাছে পদ্মা নদীতে মিলিত হয়।
-
যমুনা নদী বয়ে যায় বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল (টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতি ও ভূঞাপুর), এবং গাইবান্ধা জেলা হয়ে।
-
নদীর প্রধান উপনদীগুলোর মধ্যে তিস্তা, ধরলা, করতোয়া, আত্রাই এবং সুবর্ণশ্রী উল্লেখযোগ্য; যার মধ্যে করতোয়া যমুনার সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘতম উপনদী।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
0
Updated: 5 months ago
জামাল নজরুল ইসলাম কে?
Created: 2 months ago
A
ফুটবল খেলোয়াড়
B
অর্থনীতিবিদ
C
কবি
D
বৈজ্ঞানিক
প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম
প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন বিশ্বখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। তাঁর গবেষণার প্রধান ক্ষেত্র ছিল আপেক্ষিকতা, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, বিশ্বতত্ত্ব এবং মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কিত তত্ত্ব।
তিনি আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং ব্ল্যাক হোল, কসমোলজি সহ জটিল পদার্থবিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে মৌলিক গবেষণা করেছেন।
ড. জামাল নজরুল ইসলাম ১৯৩৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালে তাঁর লেখা ইংরেজি বই “The Ultimate Fate of the Universe” কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয় এবং বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়। বাংলা ভাষায় তাঁর সবচেয়ে পরিচিত বই হলো ‘কৃষ্ণগহ্বর’ (বাংলা একাডেমি প্রকাশিত), যা ব্ল্যাক হোল সম্পর্কিত।
তিনি সৌরজগতের গ্রহগুলোর অবস্থান এবং পৃথিবীর ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কেও গবেষণা করেছেন। তাঁর অবদান আইনস্টাইন-পরবর্তী মহাবিশ্ব গবেষণায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
ড. জামাল নজরুল ইসলাম ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। তিনি ২০১৩ সালের ১৬ মার্চ চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, প্রথম আলো, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬.
0
Updated: 2 months ago
কোনটি যমুনার উপনদী?
Created: 1 month ago
A
তিস্তা
B
ধলেশ্বরী
C
ধোলাই
D
বংশী
যমুনা নদী বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী, যা ভূ-প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ফলে গঠিত হয়েছে এবং বিভিন্ন নদী ও উপনদীর সঙ্গে যুক্ত। এটি ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী হিসেবে ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পের পর ময়মনসিংহ জেলার দেওয়ানগঞ্জের কাছে উৎপন্ন হয়েছিল।
যমুনা নদী দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দের কাছে পদ্মার সাথে মিলিত হয় এবং এই মিলিত স্রোত পরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পদ্মা নদী নামে প্রবাহিত হয়। যমুনার প্রধান শাখানদী হলো ধলেশ্বরী, যার শাখানদী বুড়িগঙ্গা।
যমুনার মূল বৈশিষ্ট্য ও শাখানদী:
-
যমুনা দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে পদ্মার সাথে মিলিত হয়।
-
প্রধান শাখানদী: ধলেশ্বরী
-
ধলেশ্বরীর শাখানদী: বুড়িগঙ্গা
-
ব্রহ্মপুত্রের শাখানদী: শীতলক্ষ্যা ও বংশী
যমুনার উপনদী:
-
ধরলা
-
তিস্তা
-
করতোয়া
-
আত্রাই
0
Updated: 1 month ago
মহাস্থানগড় কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
তিস্তা
B
যমুনা
C
করতোয়া
D
ধলেশ্বরী
বাংলার ইতিহাসে মহাস্থানগড় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, যা প্রাচীন সভ্যতার সাক্ষী বহন করে। এটি বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় অবস্থিত এবং করতোয়া নদীর তীরে অবস্থান করার কারণে একসময় এটি ছিল বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতির কেন্দ্র। নিচে এর সাথে সম্পর্কিত প্রধান তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো।
• অবস্থান ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট:
মহাস্থানগড় বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। নদীটির উপস্থিতি এই জনপদকে প্রাচীনকালে নদী–নির্ভর কৃষি, যোগাযোগ ও বাণিজ্যে সুবিধা দিয়েছিল। করতোয়া নদী উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী নদীগুলোর একটি, যা একসময় বৃহত্তর পুন্ড্রবর্ধন অঞ্চলের প্রাণরেখা ছিল।
• ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
এটি বাংলার প্রাচীনতম নগরী হিসেবে পরিচিত। প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দী থেকে এখানে মানুষের বসবাসের প্রমাণ পাওয়া যায়। মহাস্থানগড় একসময় পুন্ড্রবর্ধন বা পুন্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল। এটি মৌর্য, গুপ্ত, পাল এবং সেন বংশের শাসনামলে রাজধানী বা প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
• প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন:
এখানে পাওয়া গেছে বহু পুরোনো দুর্গপ্রাচীর, মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, স্তূপ, প্রাচীন ইটের নির্মাণ, শিলালিপি, মুদ্রা ও মৃৎপাত্র। ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক দল প্রথম এখানে খনন কাজ শুরু করে, পরবর্তীতে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর তা অব্যাহত রাখে।
• ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য:
মহাস্থানগড় বৌদ্ধ, হিন্দু ও প্রাথমিক মুসলিম সভ্যতার মিলনস্থল। প্রাচীনকালে এখানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রভাব ছিল প্রবল, পরবর্তীতে হিন্দু ধর্ম ও ইসলামী সভ্যতারও বিকাশ ঘটে। স্থানীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এখানেই গোকুল মেধ বা বেহুলার বাসরঘর অবস্থিত, যা মানিক পীরের দরগাহ হিসেবেও পরিচিত।
• প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
করতোয়া নদীর পাশে অবস্থান করায় এই নগরটি ছিল বাণিজ্যিকভাবে সমৃদ্ধ। নদীপথে সহজ যোগাযোগের কারণে পণ্য পরিবহন সহজ ছিল এবং এই অঞ্চল ছিল উত্তরবঙ্গের বাণিজ্যকেন্দ্র। এছাড়া কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি বিকাশে নদীর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
• বর্তমান অবস্থা ও সংরক্ষণ:
বর্তমানে মহাস্থানগড় বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক ও পর্যটন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর, যেখানে সংগৃহীত প্রাচীন নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত আছে। এটি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
সংক্ষেপে বলা যায়, মহাস্থানগড় শুধু একটি প্রত্নস্থান নয়, এটি বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতা, রাজনীতি, ধর্ম ও সংস্কৃতির মিলনস্থল। করতোয়া নদীর তীরে এর অবস্থান প্রমাণ করে, নদীই ছিল প্রাচীন সভ্যতার প্রাণশক্তি এবং এ নদীর তীরেই পুন্ড্রনগর বা মহাস্থানগড় গড়ে উঠেছিল এক সমৃদ্ধ নগরসভ্যতা।
0
Updated: 1 week ago