২১) দুটি ভিন্ন প্রোটোকল-ভিত্তিক নেটওয়ার্ককে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করার জন্য কোন নেটওয়ার্ক ডিভাইস ব্যবহার করা হয়?
A
Hub
B
Switch
C
Router
D
Gateway
উত্তরের বিবরণ
নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসগুলোর মধ্যে সুইচ, রাউটার এবং গেটওয়ে অন্যতম। গেটওয়ে এমন একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা ভিন্ন ভিন্ন প্রোটোকল ব্যবহারকারী নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করতে সক্ষম। এটি ডেটা ফরম্যাট, প্রোটোকল এবং আর্কিটেকচার পরিবর্তন করে এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে ডেটা আদান-প্রদান নিশ্চিত করে।
সুইচ একটি ডিভাইস যা নেটওয়ার্কে প্রেরিত ডাটাকে বিভক্ত করে এবং নেটওয়ার্কের সকল সিস্টেমে না পাঠিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। হাবের মতো কাজ করলেও সুইচ প্রেরিত সিগন্যাল শুধুমাত্র টার্গেট কম্পিউটারে প্রেরণ করে। স্টার টপোলজিতে সুইচ কেন্দ্রিয় কানেকটিভ ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
রাউটার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ব্যবহৃত হয়। এটি ছোট ছোট নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারে এবং নেটওয়ার্কের মধ্যে একাধিক পথ সৃষ্টি করতে সক্ষম। রাউটার মূলত একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে।
গেটওয়ে ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের পাশাপাশি ভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্কও সংযুক্ত করা যায়। গেটওয়ে এবং রাউটার একসাথে ব্যবহার করে ছোট নেটওয়ার্কগুলোকে সংযুক্ত করে বড় ধরনের নেটওয়ার্ক গঠন করা সম্ভব হয়। যদিও রাউটার শুধুমাত্র একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে, গেটওয়ে বিভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে সক্ষম।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য নিচের কোন ডিভাইসটি ব্যবহৃত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
রাউটার
B
সুইচ
C
ব্রিজ
D
হাব
রাউটার, সুইচ, হাব, ব্রিজ এবং গেটওয়ে হলো নেটওয়ার্কিং-এ ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। প্রতিটি ডিভাইসের আলাদা ভূমিকা রয়েছে এবং এগুলো নেটওয়ার্কে তথ্য আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে তোলে। নিচে এগুলোর কাজ এবং বৈশিষ্ট্য বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো।
• Router
-
বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহার হয়।
-
এটি ডেটা প্যাকেটের গতি ও পথ (path) নির্ধারণ করে।
-
IP address এর ভিত্তিতে ডেটা ট্রান্সমিশন করে।
-
ছোট ছোট নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে।
-
ভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক যেমন Ethernet, Token Ring ইত্যাদি সংযুক্ত করতে পারে।
-
একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে কার্যকর।
• Switch
-
নেটওয়ার্কের ডেটা শুধু নির্দিষ্ট গন্তব্যে পাঠায়, সবার মধ্যে নয়।
-
হাব এবং সুইচের কাজ প্রায় একই, তবে হাব একসাথে সব কম্পিউটারে ডেটা পাঠায়, সুইচ শুধুমাত্র target computer এ পাঠায়।
-
স্টার টপোলজিতে সুইচ একটি কেন্দ্রীয় কানেক্টিভ ডিভাইস হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
• Hub
-
কম্পিউটারগুলিকে একসাথে যুক্ত করে।
-
মাল্টিপল পোর্ট থাকে, যেখানে একটি প্যাকেট এলে তা কপি করে সব পোর্টে পাঠায়।
-
স্টার টপোলজিতে কেন্দ্রীয় ডিভাইস হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
-
এর ক্ষমতার উপর নির্ভর করে কতগুলো কম্পিউটার যুক্ত করা যাবে।
কার্যকারিতার ভিত্তিতে হাব দুই প্রকার—
১. Active Hub-
সংকেতকে amplify করে মান উন্নত করে।
-
কিছু ক্ষেত্রে সংকেতকে আংশিকভাবে process করে।
-
মূল সংকেত থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় অংশ প্রেরণ করে।
২. Passive Hub
-
শুধু তথ্য আদান-প্রদানে সহায়তা করে।
-
সংকেত amplify করে না, এজন্য Active Hub এর সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করে।
-
• Bridge
-
একাধিক নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
ভিন্ন কাঠামো বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে, তবে ভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে না।
ব্রিজের প্রকারভেদ—
১. Local Bridge → সরাসরি LAN এর সাথে যুক্ত থাকে।
২. Remote Bridge → ভৌগোলিকভাবে আলাদা দুটি LAN সেগমেন্টকে সংযুক্ত করে।
৩. Wireless Bridge → একাধিক LAN যুক্ত করা বা LAN এর দূরবর্তী স্টেশনকে সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
• Gateway
-
নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ব্যবহৃত হয়।
-
রাউটার একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে, কিন্তু গেটওয়ে different protocols বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে।
-
ছোট ছোট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করে বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সহায়তা করে।

0
Updated: 3 weeks ago
একটি LAN কে WAN-এর সাথে যুক্ত করতে কোন নেটওয়ার্ক ডিভাইস ব্যবহৃত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
রাউটার
B
রিপিটার
C
সুইচ
D
অ্যাক্সেস পয়েন্ট
Router হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস, যা বিভিন্ন নেটওয়ার্ক (যেমন LAN ↔ WAN) একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে। এটি IP Address ব্যবহার করে ডেটা প্যাকেটকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেয় এবং একাধিক নেটওয়ার্কের মধ্যে ডেটা রাউটিং করে।
রাউটার (Router):
-
রাউটার হলো একটি বুদ্ধিমান নেটওয়ার্ক ডিভাইস, যা একই প্রটোকল বিশিষ্ট দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে।
-
এটি উৎস কম্পিউটার থেকে গন্তব্য কম্পিউটারে সর্বনিম্ন দূরত্বের পথ ব্যবহার করে ডেটা প্যাকেট পৌঁছে দেয়।
-
নেটওয়ার্কে ডেটার আধিক্য বা ব্যস্ততা দেখা দিলে রাউটার সেই পথ পরিহার করে অন্য রুট ব্যবহার করে ডেটা পাঠাতে সক্ষম।
-
একাধিক LAN সংযুক্ত করতে বা WAN-এর সাথে LAN সংযুক্ত করতে রাউটার ব্যবহার করা হয়।
-
রাউটার NAT (Network Address Translator) ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে।
অন্যান্য নেটওয়ার্ক ডিভাইস:
-
Switch (সুইচ): একই LAN-এর ভেতরে একাধিক ডিভাইস সংযুক্ত করে, কিন্তু WAN-এর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে না।
-
Repeater (রিপিটার): সিগন্যাল দুর্বল হলে সেটিকে পুনরায় শক্তিশালী করে, নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে ব্যবহৃত হয়।
-
Access Point (অ্যাক্সেস পয়েন্ট): মূলত ওয়্যারলেস LAN (Wi-Fi) তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, WAN সংযোগের জন্য নয়।

0
Updated: 3 weeks ago
মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত টপোলজির নাম কী?
Created: 1 month ago
A
রিং টপোলজি
B
মেশ টপোলজি
C
স্টার টপোলজি
D
কোনোটিই নয়
মোবাইল নেটওয়ার্কের কাঠামো মূলত স্টার টপোলজি-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে কেন্দ্রীয় হাবের সঙ্গে প্রতিটি মোবাইল ডিভাইস সরাসরি সংযুক্ত থাকে।
-
মোবাইল ফোন:
-
মোবাইল ফোনের জনক হলেন মার্টিন কুপার।
-
যুক্তরাষ্ট্রে Motorola DynaTAC (Total Access Communication System) নামে প্রথম হ্যান্ড-মোবাইল সেট চালু করা হয়।
-
১৯৭৯ সালে জাপানের NTTC (Nippon Telegraph and Telephone Corporation) প্রথম বাণিজ্যিকভাবে অটোমেটেড সেলুলার নেটওয়ার্ক চালু করে, যা 1G-এর সূচনা।
-
মোবাইল ফোনের প্রজন্মকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম প্রজন্ম।
-
-
স্টার টপোলজি:
-
একটি কেন্দ্রীয় নোড বা হাব থাকে এবং প্রতিটি ডিভাইস সেই কেন্দ্রীয় নোডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে।
-
মোবাইল নেটওয়ার্কে প্রতিটি বেস স্টেশন বা সেল টাওয়ার কেন্দ্রীয় হাব হিসেবে কাজ করে।
-
বেস স্টেশনের আওতাধীন প্রতিটি মোবাইল ফোন সেই কেন্দ্রীয় হাবের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে।
-
সেলুলার নেটওয়ার্কের মৌলিক কাঠামো স্টার টপোলজির মতো, যেখানে বেস স্টেশন কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে।
-
উৎস:

0
Updated: 1 month ago