যখন কোনো ডাটাবেজ টেবিলের একাধিক ফিল্ড একত্রে ব্যবহার করে একটি অনন্য প্রাইমারি কী তৈরি করা হয়, তখন সেটিকে কী বলা হয়?
A
প্রাইমারি কী
B
অল্টারনেট কী
C
কম্পোজিট প্রাইমারি কী
D
ফরেন কী
উত্তরের বিবরণ
কী-ফিল্ড (Key Field)
ডাটাবেজে যে ফিল্ড বা কলামের মাধ্যমে ডেটা শনাক্ত, অনুসন্ধান ও সম্পর্ক স্থাপন করা হয়, তাকে কী-ফিল্ড বলা হয়।
ডাটাবেজ সিস্টেমে প্রধানত ৩ ধরনের কী-ফিল্ড ব্যবহৃত হয়—
প্রাইমারি কী (Primary Key)
ফরেন কী (Foreign Key)
কম্পোজিট প্রাইমারি কী (Composite Primary Key)
১. প্রাইমারি কী (Primary Key)
যে ফিল্ড একটি টেবিলের প্রতিটি রেকর্ডকে অদ্বিতীয় (Unique) ভাবে সনাক্ত করে, তাকে প্রাইমারি কী বলে।
এটি কখনো ফাঁকা (NULL) হতে পারে না।
প্রাইমারি কী-এর মাধ্যমে একাধিক টেবিলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে রিলেশনাল ডাটাবেজ তৈরি করা হয়।
উদাহরণ: Student টেবিলে StudentID ফিল্ড।
২. ফরেন কী (Foreign Key)
কোনো টেবিলের প্রাইমারি কী যদি অন্য একটি টেবিলে ব্যবহৃত হয়, তখন সেটিকে ফরেন কী বলা হয়।
ফরেন কী-এর মাধ্যমে একটি টেবিলের সাথে অন্য টেবিলের সম্পর্ক স্থাপন করা যায়।
উদাহরণ:
Student টেবিলে → StudentID (Primary Key)
Student_Course টেবিলে → StudentID (Foreign Key)
৩. কম্পোজিট প্রাইমারি কী (Composite Primary Key)
যখন কোনো টেবিলে নির্দিষ্ট একক প্রাইমারি কী নেই, তখন একাধিক ফিল্ডকে একত্রে ব্যবহার করে একটি রেকর্ডকে অনন্যভাবে শনাক্ত করা হয়।
এ ধরনের প্রাইমারি কী-কে বলা হয় কম্পোজিট প্রাইমারি কী।
উদাহরণ:
Student_Course টেবিলে—
StudentID + CourseID একসাথে মিলে প্রতিটি রেকর্ডকে আলাদা করে সনাক্ত করে।
অতএব, এ দুটি ফিল্ড মিলে একটি Composite Primary Key।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
কোনটি Oracle ডাটাবেসের মূল ইন্টারঅ্যাকশন ভাষা?
Created: 1 month ago
A
HTML
B
Java
C
SQL
D
Python
Oracle ডাটাবেস ও SQL
মূল ভাষা:
Oracle ডাটাবেসের জন্য মূল ইন্টারঅ্যাকশন ভাষা হলো SQL (Structured Query Language)।
SQL ব্যবহার করে ডাটাবেসে তথ্য সংরক্ষণ, অনুসন্ধান, পরিবর্তন ও মুছে ফেলা সম্ভব।
কেন SQL:
HTML ও Python সাধারণত ওয়েব বা প্রোগ্রামিংয়ের জন্য ব্যবহৃত।
Java ডাটাবেস অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে সহায়ক হলেও ডাটাবেসের মূল ভাষা নয়।
Oracle ডাটাবেসে SQL অপরিহার্য ভাষা, যা ডাটাবেস প্রশাসক ও ডেভেলপারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (RDBMS):
ডাটাবেজ যেখানে ডাটা টেবিল আকারে থাকে, তাকে রিলেশনাল ডাটাবেজ বলা হয়।
হেনরি এফ কড ১৯৭০ সালে রিলেশনাল ডেটাবেজ মডেল উপস্থাপন করেন।
কিছু RDBMS সফটওয়্যার:
Oracle
MySQL
Microsoft Access
RDBMS এর বৈশিষ্ট্য:
সহজে টেবিল তৈরি ও ডাটা এন্ট্রি করা যায়।
টেবিলের মধ্যে রিলেশন তৈরি করা যায়।
বড় ডাটার মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে বের করা যায়।
এক ডাটাবেজ থেকে অন্য ডাটাবেজে তথ্য আদানপ্রদান করা যায়।
সংখ্যাবাচক ডাটায় সূক্ষ্ম গাণিতিক কাজ করা সম্ভব।
রিপোর্ট ও চার্ট তৈরি ও মুদ্রণ করা যায়।
আকর্ষণীয় এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায়।
অন্যান্য ডাটাবেস প্রোগ্রাম থেকে তথ্য আনা যায়।
সহজে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়।
উৎস:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান

0
Updated: 1 month ago
MongoDB কোন ধরনের ডাটাবেজ হিসেবে পরিচিত?
Created: 2 weeks ago
A
NoSQL ভিত্তিক ডকুমেন্ট ডাটাবেজ
B
Relational বা টেবিল-ভিত্তিক ডাটাবেজ
C
Graph ভিত্তিক ডাটাবেজ
D
Time-series ভিত্তিক ডাটাবেজ
MongoDB হলো একটি NoSQL Document-Oriented Database, যা নন-রিলেশনাল ডেটা ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ঐতিহ্যবাহী SQL ডেটাবেজের মতো টেবিল-ভিত্তিক নয়, বরং ডকুমেন্ট আকারে ডেটা সংরক্ষণ করে।
ডাটাবেজ প্রোগ্রাম:
-
তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী সফটওয়্যার হলো ডাটাবেজ প্রোগ্রাম।
-
বড় বড় প্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা, অফিস-আদালতে কর্মচারীর নাম, ঠিকানা, পদবী, বেতন, আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্য ইত্যাদি সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য ডাটাবেজ ব্যবহার করা হয়।
-
যে কোনো বড় আকারের তথ্য ব্যবস্থাপনা সহজে, দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে করা যায় ডাটাবেজ প্রোগ্রামের সাহায্যে।
-
প্রচলিত কিছু ডাটাবেজ প্রোগ্রাম হলো dBASE III, dBASE III+, dBASE IV, FoxBase, FoxPro।
-
মাইক্রোসফট ভিত্তিক ডাটাবেজ প্রোগ্রামের মধ্যে Microsoft Access বহুল ব্যবহৃত।
NoSQL ডাটাবেজ:
-
NoSQL ডাটাবেজ হলো নন-রিলেশনাল ডাটাবেজ, যা রিলেশনাল ডাটাবেজ (যেমন MySQL, Oracle, SQL Server) থেকে ভিন্নভাবে কাজ করে।
-
এগুলি সাধারণত schema-less ডিজাইন অনুসরণ করে এবং উচ্চমাত্রার scalability প্রদান করে।
-
আধুনিক ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, বিগ ডেটা এবং রিয়েল-টাইম প্রসেসিংয়ে NoSQL ডাটাবেজ অত্যন্ত জনপ্রিয়।
-
NoSQL ডাটাবেজের কিছু উদাহরণ হলো MongoDB, Cassandra, Redis, Amazon DynamoDB, Couchbase।

0
Updated: 2 weeks ago
রিলেশনাল ডাটাবেজ মডেলের ধারণা প্রথম কে উপস্থাপন করেন?
Created: 2 weeks ago
A
ডেনিস রিচি
B
ল্যারি এলিসন
C
ই. এফ. কড
D
কেন থম্পসন
রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হলো এমন একটি ডাটাবেজ যা রিলেশন বা ডাটা টেবিলের সমন্বয়ে গঠিত। ১৯৭০ সালে এডগার এফ. কড (Edgar F. Codd) আইবিএম গবেষণাগারে রিলেশনাল ডাটাবেজ মডেল প্রস্তাব করেন এবং তাঁর গবেষণাপত্র "A Relational Model of Data for Large Shared Data Banks" ডাটাবেজ প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটায়।
-
রিলেশনাল ডাটাবেজে ডাটা টেবিলের মধ্যে সম্পর্ক (Relation) তৈরি করা যায়।
-
আধুনিক ডাটাবেজ সফটওয়্যার প্রায়শই রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকেই বোঝায়।
-
এডগার এফ. কড কে রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রবর্তক বলা হয়।
-
জনপ্রিয় রিলেশনাল ডাটাবেজ সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে রয়েছে Oracle, MySQL, Microsoft Access।
রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
সহজে টেবিল তৈরি করে ডাটা এন্ট্রি করা যায়।
-
ডাটা টেবিলের মধ্যে এক বা একাধিক রিলেশন তৈরি করা যায়।
-
অসংখ্য ডাটার মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য দ্রুত বের করা যায়।
-
এক ডাটাবেজ থেকে অন্য ডাটাবেজে তথ্য আদান-প্রদান সহজ।
-
সংখ্যাবাচক ডাটার উপর সূক্ষ্ম গাণিতিক কাজ করা যায়।
-
বিভিন্ন ফরম্যাটের রিপোর্ট তৈরি ও মুদ্রণ করা যায়।
-
প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লেবেল তৈরি ও ছাপানো যায়।
-
এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায়।
-
বিভিন্ন ধরনের চার্ট তৈরি করা যায় এবং আকর্ষণীয় ডাটা এন্ট্রি ফর্ম তৈরি করা যায়।
-
অন্যান্য ডাটাবেজ প্রোগ্রাম (যেমন FoxPro, Excel) থেকে ডাটা আনা যায়।
-
সহজে এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার/প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়।

0
Updated: 2 weeks ago