সবচেয়ে প্রথম নির্মিত ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কম্পিউটারের নাম কোনটি?
A
EDVAC
B
IBM 701
C
ENIAC
D
Harvard Mark-I
উত্তরের বিবরণ
ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কম্পিউটার
যে কম্পিউটার যান্ত্রিক ও ইলেকট্রনিক উভয় পদ্ধতির সমন্বয়ে তৈরি হয়, তাকে ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কম্পিউটার বলা হয়।
১৯৩৭ সালে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক ড. হাওয়ার্ড এইচ. আইকেন চার্লস ব্যাবেজের Analytical Engine-এর অনুরূপ একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেন।
১৯৪৪ সালে তার উদ্যোগে তৈরি হয় বিশ্বের প্রথম ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কম্পিউটার Harvard Mark-I, যাকে Automatic Sequence Controlled Calculator (ASCC) নামেও ডাকা হয়।
এটি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও IBM কোম্পানির যৌথ সহযোগিতায় নির্মিত হয়।
Harvard Mark-I প্রায় ১৫ বছর কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
বর্তমানে এটি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শনের জন্য সংরক্ষিত আছে।
অন্যান্য কম্পিউটার সম্পর্কিত তথ্য
EDVAC (১৯৪৯): প্রথম Electronic Stored-Program Computer।
IBM 701 (১৯৫২): IBM-এর তৈরি প্রথম বাণিজ্যিক বৈজ্ঞানিক কম্পিউটার।
ENIAC (১৯৪৫): বিশ্বের প্রথম সাধারণ উদ্দেশ্যপূর্ণ সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক কম্পিউটার।
উৎস: মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
এমবেডেড কম্পিউটার কেন সাধারণ কম্পিউটার থেকে আলাদা?
Created: 3 weeks ago
A
অপারেটিং সিস্টেম নেই
B
আকারে বড় ও ব্যয়বহুল
C
নির্দিষ্ট কাজের জন্য ডিজাইন করা
D
ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না
এমবেডেড কম্পিউটার হলো একটি বিশেষ ধরনের কম্পিউটার সিস্টেম যা সরাসরি একটি যন্ত্র বা ডিভাইসের ভিতরে স্থাপন করা থাকে এবং সেই যন্ত্রের নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য ডিজাইন করা হয়। এগুলো সাধারণত ছোট আকারের এবং কম শক্তিশালী হয়, তবে মূল পার্থক্য হলো এগুলো সাধারণ কম্পিউটারের মতো বহুমুখী কাজ করতে পারে না, বরং এক বা কিছু নির্দিষ্ট কাজের জন্য সীমাবদ্ধ থাকে।

0
Updated: 3 weeks ago
বৈজ্ঞানিক গবেষণা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস বা মহাকাশ অনুসন্ধানের মতো ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য কোন ধরনের কম্পিউটার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
Minicomputer
B
Mainframe Computer
C
Supercomputer
D
Workstation
সুপারকম্পিউটার হলো পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার, যা প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি গণনা করতে সক্ষম। এগুলো মূলত জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, পারমাণবিক গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মহাকাশ অনুসন্ধানে ব্যবহৃত হয়।
সুপারকম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার:
-
সর্বোচ্চ ক্ষমতা ও দ্রুতগতি: এটি সবচেয়ে শক্তিশালী, ব্যয়বহুল এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটার।
-
একাধিক ব্যবহারকারীর জন্য সক্ষমতা: সুপারকম্পিউটার একসাথে একাধিক ব্যবহারকারী পরিচালনা করতে পারে।
-
উচ্চ মেমোরি ও প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা: বিপুল পরিমাণ উপাত্ত সংরক্ষণ এবং জটিল গণনা পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত মেমোরি ও প্রসেসিং ইউনিট থাকে।
-
সমান্তরাল প্রসেসর ব্যবহারে ক্ষমতা: একাধিক প্রসেসর একসাথে কাজ করে প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি বৈজ্ঞানিক, গাণিতিক ও প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পন্ন করে।
-
বহু ক্ষেত্রের ব্যবহার: সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বড় ডেটা বিশ্লেষণ, নভোযান, ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, মহাকাশ গবেষণা, আগ্নেয়াস্ত্র ডিজাইন, সিমুলেশন, পারমাণবিক চুল্লি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
প্রধান প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য:
-
বিশাল সংখ্যার প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট।
-
RAM টাইপ মেমোরির বিশাল সংগ্রহ।
-
নোডের মধ্যে উচ্চ গতির আন্তঃসংযোগ।
-
উচ্চ ইনপুট/আউটপুট গতি।
-
কাস্টম সফ্টওয়্যার ব্যবহার।
-
কার্যকর তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
-
মানুষের ক্ষমতার বাইরে বিপুল গণনা পরিচালনার সক্ষমতা।

0
Updated: 3 weeks ago