'শব্দ তরঙ্গ' কোন ধরনের তরঙ্গ?
A
গামা রশ্মির তরঙ্গ
B
যান্ত্রিক তরঙ্গ
C
বেতার তরঙ্গ
D
তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ
উত্তরের বিবরণ
তরঙ্গ
তরঙ্গ সৃষ্টির জন্য জড় মাধ্যম প্রয়োজন।
মাধ্যমের কণাগুলো স্থানান্তরিত না হলেও, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে শক্তি সঞ্চারিত হওয়া পর্যাবৃত্ত আন্দোলনকে তরঙ্গ বলে।
যান্ত্রিক তরঙ্গ (Mechanical Wave)
জড় মাধ্যমের কণার কম্পনের মাধ্যমে সৃষ্ট তরঙ্গকে যান্ত্রিক তরঙ্গ বলা হয়।
উদাহরণ: পানির তরঙ্গ, শব্দ তরঙ্গ, ভূ-তরঙ্গ ইত্যাদি।
জড় মাধ্যমের ছাড়া এই তরঙ্গ সৃষ্টি হয় না।
তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ (Electromagnetic Wave)
মাধ্যম ছাড়া মহাশূন্যে সঞ্চারিত হয়।
সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো ও তাপ আসার মাধ্যম।
উদাহরণ: বেতার তরঙ্গ, এক্স-রশ্মি, গামা রশ্মি ইত্যাদি।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
তরঙ্গের বিস্তার বেশি হলে শব্দের তীব্রতা কেমন হবে?
Created: 1 month ago
A
বেশি হবে
B
কম হবে
C
অপরিবর্তনশীল থাকবে
D
কোনোটিই নয়
শব্দ হলো একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ, যা বস্তুর কম্পনের ফলে সৃষ্টি হয় এবং এটি সঞ্চালনের জন্য একটি স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। শব্দ তরঙ্গ অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ হিসেবে কাজ করে, কারণ তরঙ্গের প্রবাহের দিক এবং কম্পনের দিক একই হয়।
-
মাধ্যম অনুযায়ী শব্দের গতি:
-
কঠিন পদার্থ: শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি, যেমন ইস্পাত, লোহা।
-
তরল পদার্থ: শব্দের গতি কম, যেমন পানি।
-
বায়বীয় পদার্থ: শব্দের গতি সর্বনিম্ন।
-
শূন্য মাধ্যম: শব্দের বেগ শূন্য।
-
-
শব্দের বেগ: মাধ্যমের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার উপর নির্ভরশীল।
-
শব্দের তীব্রতা: অন্যান্য তরঙ্গের মতো শব্দের তীব্রতা তার বিস্তারের বর্গের সমানুপাতিক। অর্থাৎ, তরঙ্গের বিস্তার বেশি হলে তীব্রতা বেশি হয় এবং বিস্তার কম হলে তীব্রতা কম হয়।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি আড় তরঙ্গ নয়?
Created: 4 weeks ago
A
শব্দ তরঙ্গ
B
পানির তরঙ্গ
C
আলোক তরঙ্গ
D
বেতার তরঙ্গ
তরঙ্গ
-
যে তরঙ্গের সঞ্চালনের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন, তাকে যান্ত্রিক তরঙ্গ বলা হয়।
-
যে তরঙ্গের জন্য কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন নেই, তাকে তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ বলা হয়।
-
যান্ত্রিক তরঙ্গ সাধারণত মাধ্যমের কণার স্পন্দনের মাধ্যমে সৃষ্ট হয়।
যান্ত্রিক তরঙ্গের প্রকার:
১. অনুপ্রস্থ তরঙ্গ (Transverse Wave)
-
তরঙ্গের কণার স্পন্দনের দিক এবং তরঙ্গের অগ্রগতির দিক সমকোণ বা আড়াআড়ি হয়।
-
উদাহরণ: পানির উপর সৃষ্টি হওয়া তরঙ্গ, আলোক তরঙ্গ, বেতার তরঙ্গ।
-
পানির মধ্যে তরঙ্গের ক্ষেত্রে কণাগুলো উপর-নিচে ওঠা-নামা করে, কিন্তু তরঙ্গ পানির পৃষ্ঠে সামনে ছড়ায়।
২. অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ (Longitudinal Wave)
-
তরঙ্গের কণার স্পন্দনের দিক এবং তরঙ্গের অগ্রগতির দিক সমান্তরাল হয়।
-
উদাহরণ: শব্দ তরঙ্গ, স্প্রিং-এর তরঙ্গ।
উৎস:

0
Updated: 4 weeks ago
মানুষের শ্রাব্যতার সীমা কোন কম্পাঙ্কের মধ্যে?
Created: 1 month ago
A
10 Hz – 10,000 Hz
B
100 Hz – 30,000 Hz
C
50 Hz – 15,000 Hz
D
20 Hz – 20,000 Hz
শ্রাব্যতার সীমা, শব্দেতর ও শব্দোত্তর তরঙ্গ
শব্দের উৎস:
শব্দের উৎস হলো যেকোনো বস্তুর কম্পন।
শ্রাব্যতার সীমা:
কম্পন হলেই শব্দ শোনা যাবে তা নয়। মানুষের শ্রবণযন্ত্রের সীমাবদ্ধতা থাকে।
মানুষ সাধারণত ২০ Hz থেকে ২০,০০০ Hz কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পারে।
এই সীমার মধ্যে থাকা শব্দকে বলা হয় শ্রাব্য শব্দ।
শব্দেতর ও শব্দোত্তর তরঙ্গ:
শব্দেতর তরঙ্গ (Infrasonic Wave): ২০ Hz-এর নিচের কম্পাঙ্কের তরঙ্গ।
শব্দোত্তর তরঙ্গ (Ultrasonic Wave): ২০,০০০ Hz-এর উপরের কম্পাঙ্কের তরঙ্গ।
লক্ষণীয় বিষয়:
সব মানুষের শ্রাব্যতার ক্ষমতা সমান নয়।
ব্যক্তি ভেদে শ্রাব্যতার সীমা কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago