প্যারা চৌম্বক পদার্থ কোনটি?
A
সোনা
B
পানি
C
সোডিয়াম
D
নিকেল
উত্তরের বিবরণ
চৌম্বক পদার্থের প্রকারভেদ
১. ফেরোচৌম্বক পদার্থ (Ferromagnetic Materials)
সংজ্ঞা: যে পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে শক্তিশালী চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের সাথে মিল থাকে।
উদাহরণ: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট।
২. প্যারাচৌম্বক পদার্থ (Paramagnetic Materials)
সংজ্ঞা: যে পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দূর্বল চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং চুম্বকের দিকে মুখ করতে চায়।
উদাহরণ: অক্সিজেন, সোডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, টিন।
৩. ডায়াচৌম্বক পদার্থ (Diamagnetic Materials)
সংজ্ঞা: যে পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয় এবং চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে সরে যায়।
চুম্বকায়নের অভিমুখ: বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের বিপরীত দিকে।
উদাহরণ: হাইড্রোজেন, পানি, সোনা, রূপা, তামা, বিসমাথ।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি প্যারা চৌম্বক পদার্থের উদাহরণ?
Created: 4 weeks ago
A
নিকেল
B
পানি
C
অক্সিজেন
D
হাইড্রোজেন
চৌম্বকত্বের ধরন অনুযায়ী পদার্থকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—প্যারা চৌম্বক, ডায়া চৌম্বক এবং ফেরো চৌম্বক পদার্থ। এরা বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে।
প্যারা চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং তারা চুম্বকের দিকে মুখ করে থাকতে চায়, তাদেরকে প্যারা চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: অক্সিজেন, সোডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, টিন ইত্যাদি।
-
এদের অণু, পরমাণু বা আয়নের মধ্যে স্থায়ী চৌম্বক দ্বিপোল মোমেন্ট থাকে।
-
প্রতিটি দ্বিপোল স্বাধীনভাবে কাজ করে।
-
কিন্তু সাধারণ তাপমাত্রায় তাপজনিত কম্পনের কারণে এগুলো এলোমেলোভাবে অবস্থান করে, ফলে একদিকে নীট চুম্বকায়ণ দেখা যায় না।
ডায়া চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে দুর্বল চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয় কিন্তু তারা চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে সরে যায়, তাদেরকে ডায়া চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: হাইড্রোজেন, পানি, সোনা, রূপা, তামা, বিসমাথ ইত্যাদি।
-
এদের মধ্যে সৃষ্ট চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের বিপরীত দিকে হয়।
ফেরো চৌম্বকত্ব:
-
যে পদার্থগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে শক্তিশালী চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং আবিষ্ট চুম্বকায়নের অভিমুখ বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের অভিমুখের সাথে একই দিকে হয়, তাদেরকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
উৎস:

0
Updated: 4 weeks ago
অচৌম্বক পদার্থ কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
ইস্পাত
B
কোবাল্ট
C
পিতল
D
নিকেল
চৌম্বক পদার্থ হলো সেই সমস্ত পদার্থ যা চুম্বকের দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং যাদেরকে চুম্বকে রূপান্তর করা সম্ভব।
-
বেশির ভাগ চৌম্বক পদার্থে লোহা থাকে, তাই এদেরকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ (Ferromagnetic materials) বলা হয়।
-
'ফেরো' শব্দের অর্থ লোহা।
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট।
অচৌম্বক পদার্থ হলো সেই সমস্ত পদার্থ যা চুম্বকের দ্বারা আকৃষ্ট হয় না এবং যাদেরকে চুম্বকে রূপান্তর করা যায় না।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, টিন, কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক, রাবার।
উৎস:

0
Updated: 4 weeks ago
কুরি তাপমাত্রা বলতে কী বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
যে তাপমাত্রায় চৌম্বক পদার্থ তাপ পরিবাহনের ক্ষমতা হারায়
B
যে তাপমাত্রায় চৌম্বক পদার্থ সর্বাধিক চুম্বকায়িত হয়
C
যে তাপমাত্রায় চৌম্বক পদার্থের চুম্বকত্ব সম্পূর্ণ নষ্ট হয়
D
যে তাপমাত্রায় চৌম্বক পদার্থ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গলতে শুরু করে
কুরি তাপমাত্রা (Curie Temperature / Curie Point)
যে তাপমাত্রায় কোনো চৌম্বক পদার্থের চুম্বকত্ব সম্পূর্ণ নষ্ট হয়, তাকে কুরি তাপমাত্রা বা কুরি বিন্দু বলা হয়।
রিমেনেন্স (Remanence)
চুম্বকায়ন বলের প্রভাব সরিয়ে নেওয়ার পর চৌম্বক পদার্থে যে চুম্বকায়ন মাত্রা অবশিষ্ট থাকে, তাকে রিমেনেন্স বলে।
চৌম্বক ধারকত্ব (Magnetic Retentivity)
চুম্বকায়ন বলের প্রভাব সরানো হলেও কোনো চৌম্বক পদার্থে চুম্বকত্ব বজায় রাখার ক্ষমতা।
উদাহরণ: নরম লোহা এবং ইস্পাত সমপরিমাণ চুম্বকায়িত হলে, ইস্পাতের চুম্বকত্ব হ্রাসের পরিমাণ কম, অর্থাৎ চৌম্বক ধারকতা বেশি।
চৌম্বক সহনশীলতা (Magnetic Susceptibility)
চুম্বকত্ব হ্রাসের নিয়ামক থাকা সত্ত্বেও কোনো চৌম্বক পদার্থে চুম্বকত্ব বজায় রাখার ক্ষমতা, তাকে চৌম্বক সহনশীলতা বলে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago