মানুষের শ্রাব্যতার সীমা কোন কম্পাঙ্কের মধ্যে?
A
10 Hz – 10,000 Hz
B
100 Hz – 30,000 Hz
C
50 Hz – 15,000 Hz
D
20 Hz – 20,000 Hz
উত্তরের বিবরণ
শ্রাব্যতার সীমা, শব্দেতর ও শব্দোত্তর তরঙ্গ
শব্দের উৎস:
শব্দের উৎস হলো যেকোনো বস্তুর কম্পন।
শ্রাব্যতার সীমা:
কম্পন হলেই শব্দ শোনা যাবে তা নয়। মানুষের শ্রবণযন্ত্রের সীমাবদ্ধতা থাকে।
মানুষ সাধারণত ২০ Hz থেকে ২০,০০০ Hz কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পারে।
এই সীমার মধ্যে থাকা শব্দকে বলা হয় শ্রাব্য শব্দ।
শব্দেতর ও শব্দোত্তর তরঙ্গ:
শব্দেতর তরঙ্গ (Infrasonic Wave): ২০ Hz-এর নিচের কম্পাঙ্কের তরঙ্গ।
শব্দোত্তর তরঙ্গ (Ultrasonic Wave): ২০,০০০ Hz-এর উপরের কম্পাঙ্কের তরঙ্গ।
লক্ষণীয় বিষয়:
সব মানুষের শ্রাব্যতার ক্ষমতা সমান নয়।
ব্যক্তি ভেদে শ্রাব্যতার সীমা কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
স্থির তরঙ্গে পরপর দুটো সুস্পন্দ বিন্দু বা দুটো নিস্পন্দ বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের কতগুণ হয়?
Created: 1 month ago
A
অর্ধেক
B
দ্বিগুণ
C
সমান
D
কোনোটিই নয়
স্থির তরঙ্গ (Standing Wave)
সংজ্ঞা:
দুটি সমান মাত্রার অগ্রগামী তরঙ্গ বিপরীত দিকে অগ্রসর হয়ে একে অপরের উপর আপতিত হলে যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, তাকে স্থির তরঙ্গ বলা হয়।
উদ্ভব:
একটি তার বা মোটা দড়ির এক প্রান্ত দৃঢ়ভাবে বেঁধে অন্য প্রান্ত দোলা দিলে তরঙ্গটি তার বেয়ে অগ্রসর হয়।
বন্ধ প্রান্তে তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে।
নতুন অগ্রগামী তরঙ্গের সঙ্গে প্রতিফলিত তরঙ্গ আপতিত হলে স্থির তরঙ্গ উদ্ভব হয়।
তরঙ্গ তার বা দড়ি বেয়ে অগ্রসর হয় না, বরং তার অংশের মধ্যে উৎপন্ন ও লুপ্ত হয়।
বৈশিষ্ট্য:
১. কিছু বিন্দুতে কোনো স্পন্দন নেই → নিস্পন্দ বিন্দু (Node)
২. কিছু বিন্দুতে সর্বাধিক স্পন্দন → সুস্পন্দ বিন্দু (Antinode)
৩. নিস্পন্দ ও সুস্পন্দ বিন্দুর অবস্থান স্থির থাকে।
৪. পরপর দুটো সুস্পন্দ বিন্দু বা নিস্পন্দ বিন্দুর মধ্যে দূরত্ব = তরঙ্গদৈর্ঘ্যের অর্ধেক।
উদাহরণ:
গীটার, একতারা, সেতার ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রের তারে স্থির তরঙ্গ উৎপন্ন হয়।

0
Updated: 1 month ago
শব্দের তীব্রতা কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
Created: 1 week ago
A
তাপমাত্রার সঙ্গে সমানুপাতিক
B
তরঙ্গের প্রস্থের সঙ্গে সমানুপাতিক
C
তরঙ্গের বিস্তারের বর্গের সঙ্গে সমানুপাতিক
D
তরঙ্গের দৈর্ঘ্যের সঙ্গে সমানুপাতিক
শব্দ হলো এক ধরনের শক্তি, যা আমাদের শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে শোনার অনুভূতি সৃষ্টি করে। এটি একটি তরঙ্গাকার প্রক্রিয়ায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চারিত হয়, যেখানে পদার্থের কণাগুলো সামনের ও পেছনের দিকে দোলন করে শক্তি পরিবহন করে।
শব্দ তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য:
-
শব্দ হলো যান্ত্রিক এবং অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ, যা মাধ্যমের কণার স্পন্দনের দিকের সমান্তরালে অগ্রসর হয়।
-
শব্দ উৎপন্ন হয় কোনো বস্তুর কম্পনের ফলে; অর্থাৎ, কম্পনই শব্দের উৎস।
-
শব্দ তরঙ্গের সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যম (বায়ু, জল বা কঠিন পদার্থ) প্রয়োজন; শূন্যস্থানে শব্দ চলতে পারে না।
-
শব্দ তরঙ্গের বেগ নির্ভর করে মাধ্যমের প্রকৃতির উপর, যেমন—ঘনত্ব, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা।
উদাহরণস্বরূপ, শব্দের বেগ কঠিনে সর্বাধিক, তরলে কম, এবং বায়ুতে সর্বনিম্ন। -
শব্দের তীব্রতা (Intensity) তরঙ্গের বিস্তার (Amplitude)-এর বর্গের সমানুপাতিক; অর্থাৎ, বিস্তার যত বেশি, শব্দ তত জোরে শোনা যায়।
-
শব্দ তরঙ্গ প্রতিফলন (Reflection), প্রতিসরণ (Refraction) এবং উপরিপাতন (Diffraction) ঘটাতে সক্ষম।
-
শব্দ তরঙ্গের এই বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে আমরা প্রতিধ্বনি শুনতে পাই এবং বাদ্যযন্ত্রের সুর ভিন্নভাবে অনুভব করি।

0
Updated: 1 week ago
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের মধ্যে কোন রঙের বিচ্যুতি ও প্রতিসরণ সবচেয়ে কম?
Created: 2 weeks ago
A
সবুজ
B
লাল
C
বেগুনি
D
কমলা
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ:
-
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ হলো তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির অতিবেগুনি রশ্মির পরের সেই ক্ষুদ্র অংশ, যা আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়।
-
এই তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় 4×10⁻⁷ m থেকে 7×10⁻⁷ m পর্যন্ত বিস্তৃত। এই পরিসরের বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য আলোর বিভিন্ন বর্ণ দেখা যায়।
-
আলোর বর্ণগুলো হলো: বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল।
-
এদের মধ্যে বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম এবং লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি।
-
যেই বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, তার প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম হওয়ায় এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে কম।

0
Updated: 2 weeks ago