A
সম্বোধন পদ
B
অব্যয়
C
সর্বনাম
D
ক্রিয়া
উত্তরের বিবরণ
যে পদ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থেকে কখনো বাক্যের শোভা বর্ধন করে, কখনো একাধিক পদের, বাক্যাংশের বা বাক্যের সংযোগ বা বিয়োগ ঘটায়, তাকে অব্যয় পদ বলে। সাধু ও চলিত রীতিতে অভিন্নরূপে ব্যবহৃত হয় অব্যয় পদ।

0
Updated: 1 day ago
'পরশ্ব' শব্দটির অর্থ কী?
Created: 2 weeks ago
A
পরশু
B
পরের ধন
C
কোকিল
D
পার্শ্ববর্তী
পরশ্ব (বিশেষ্য ও ক্রিয়া-বিশেষণ পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়)
-
শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে।
-
অর্থ:
-
আগামীকালের পরবর্তী বা গতকালের পূর্ববর্তী দিন,
-
পরশু।
-
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান

0
Updated: 2 weeks ago
কোন সাহিত্যাদর্শের মর্মে নৈরাশ্যবাদ আছে?
Created: 1 month ago
A
রোমান্টিসিজম
B
আধুনিকতাবাদ
C
উত্তরাধুনিকতাবাদ
D
বাস্তববাদ
উত্তর-আধুনিকতাবাদ:
- উত্তর-আধুনিকবাদ মতটি সংস্কৃতি, সাহিত্য, শিল্প, দর্শন, ইতিহাস, অর্থনীতি, স্থাপত্য, সমালোচনার ক্ষেত্রে Deconstruction ও Post-structural- ism-এর সঙ্গে অনেকটাই সংশ্লিষ্ট।
- Postmodernism শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৮৭০ সালে। জন ওয়াটকিনস চ্যাপম্যান ফরাসি Impressionism থেকে চিত্রকলাকে পৃথক করার জন্য প্রথম এই ধারার চিত্রের কথা বলেন।
- সাহিত্যের ক্ষেত্রে Postmodern ধারণাটি প্রথম আসে ১৯৭২ সালে আমেরিকান 'সীমান্ত ২' (Boundary 2) পত্রিকার মাধ্যমে। ডেভিড এনটিন, চার্লস অলসন, জর্জ লুইস বর্জ প্রমুখ এই ধারাকে বেগবান করেন। আরব-আমেরিকার লেখক ইহাব হাসান ১৯৭১ সালে উত্তর-আধুনিক ধারায় সাহিত্য সমালোচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
- উত্তর-আধুনিকতার মূলকথা হচ্ছে: 'সব কিছুই বহমান ও খণ্ডিত। সত্যের কোনো বস্তুগত রূপ নেই। সমস্ত নৈতিক, সামাজিক রীতি-নীতি কৃত্রিম, বিধি বহির্ভূত অকারণ ও বাইরে থেকে চাপানো; সত্য কেবল বিষয়গত ও আধ্যাত্মীয়।'
- আরনল্ড টয়েনবি, আরভিং হো, হ্যারি লেভিন, এডওয়ার্ড সাইড প্রমুখ উত্তর-আধুনিক ধারার সমর্থক।
- এই ধারা মূলত আধুনিকতার বিপরীতে পথসন্ধান করে এবং মধ্যযুগের মূল্যবোধে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। মধ্যযুগ ব্যাখ্যায় বৈজ্ঞানিকতার বদলে অনেকে ধর্মীয় ব্যাখ্যায় স্থিত হন। এখানেই উত্তর-আধুনিকতার সীমাবদ্ধতা।
- মূলত নৈরাশ্য থেকে এ পথে তারা সর্বসমস্যার সমাধান খোঁজেন। তখন আধুনিক বৈজ্ঞানিক ধারাকে পাশ কাটিয়ে তারা পতিত হন ধর্মমোহে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago
'গিন্নি' কোন শ্রেণির শব্দ?
Created: 2 days ago
A
দেশি
B
বিদেশি
C
তদ্ভব
D
অর্ধ-তৎসম
অর্ধ-তৎসম শব্দ
বাংলা ভাষায় অনেক সংস্কৃত শব্দ সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের শব্দকে বলা হয় অর্ধ-তৎসম শব্দ।
-
‘তৎসম’ মানে হচ্ছে সরাসরি সংস্কৃত শব্দ।
-
আর ‘অর্ধ-তৎসম’ বলতে বোঝায় আধা সংস্কৃত বা কিছুটা পরিবর্তিত রূপ।
উদাহরণ
👉 গিন্নি একটি অর্ধ-তৎসম শব্দ।
এটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ গৃহিণী থেকে। উচ্চারণ ও রূপে সামান্য পরিবর্তন হয়ে বাংলায় গিন্নি রূপে প্রচলিত হয়েছে।
অতিরিক্ত তথ্য
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণের সর্বশেষ (২০১৯) সংস্করণে শব্দের শ্রেণিবিভাগ থেকে অর্ধ-তৎসম শব্দের আলাদা শ্রেণি রাখা হয়নি। তবে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এখনো এ বিষয় থেকে প্রশ্ন আসে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক।
উৎসঃ বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান

0
Updated: 2 days ago