কোনটি সাধুরীতির শব্দ?
A
আজ
B
জোসনা
C
মিনতি
D
জল
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় সাধু রীতি (শাস্ত্রীয়/প্রাচীন ধারা) ও চলিত রীতি (আধুনিক ব্যবহার) – এই দুই ধরনের ভঙ্গি আছে।
-
আজ → চলিত রীতির শব্দ। সাধু রীতিতে বলা হয় "অদ্য"।
-
জোসনা → সাধু রীতির শব্দ। চলিত রীতিতে ব্যবহার হয় "আলো" বা "চাঁদের আলো"।
-
মিনতি → চলিত রীতির শব্দ। সাধু রীতিতে ব্যবহার হয় "প্রার্থনা" বা "অনুরোধ"।
-
জল → চলিত রীতি। সাধু রীতিতে বলা হয় "তোয়" বা "পানি" নয়, তবে "জল" সাধারণত চলিত রীতিতেই বেশি ব্যবহৃত।
তাই প্রদত্ত বিকল্পের মধ্যে ‘জোসনা’ হলো সাধু রীতির শব্দ।

0
Updated: 1 month ago
কোন ভাষায় সাহিত্যের গাম্ভীর্য ও আভিজাত্য প্রকাশ পায়?
Created: 2 weeks ago
A
চলিত
B
উপভাষা
C
সাধু
D
কথ্য
সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য হলো যে ভাষা রূপের কিছু নির্দিষ্ট গুণাবলী রয়েছে যেগুলো অপরিবর্তনীয় এবং নিয়মাবদ্ধ।
-
অপরিবর্তনীয়তা: সাধু ভাষার রূপ অপরিবর্তনীয়, অঞ্চলভেদে বা কালক্রমে পরিবর্তিত হয় না।
-
তৎসম ও সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার: এই ভাষায় তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের প্রচুর ব্যবহার থাকে, যা একটি প্রকার আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য প্রদান করে।
-
ব্যাকরণের নিয়মিত ব্যবহার: ভাষারীতি ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে এবং পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট থাকে।
-
প্রধান ব্যবহার ক্ষেত্র: সাধু ভাষারীতি শুধু লেখায় ব্যবহার হয়, কথাবার্তা, বক্তৃতা বা ভাষণের জন্য উপযোগী নয়।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরূপ: এখানে সর্বনাম এবং ক্রিয়াপদ পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 2 weeks ago
সাধু ভাষা সাধারণত কোথায় অনুপযোগী?
Created: 3 months ago
A
কবিতার পংক্তিতে
B
গানের কলিতে
C
গল্পের কলিতে
D
নাটকের সংলাপে
সাধু ভাষা
সাধু ভাষা বাংলা লেখ্য গদ্যের একটি প্রাচীন রূপ, যা চলিত ভাষার চেয়ে অনেক বেশি ঐতিহ্যবাহী এবং ধ্রুপদী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। বর্তমান সময়ে চলিত ভাষা বেশি প্রচলিত এবং তা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কযুক্ত। ভাষার এই দ্বৈত রীতি—সাধু ও চলিত—কে বলা হয় দ্বি-ভাষারীতি।
সাধু ভাষার বাক্য গঠন অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও নিয়মমাফিক হয়। এতে প্রায়শই তৎসম শব্দের ব্যবহার দেখা যায়, যা মৌখিক চলিত ভাষার তুলনায় অনেক বেশি পূর্ণতা এবং শুদ্ধতা বহন করে। সর্বনাম, ক্রিয়াপদসহ অন্যান্য ব্যাকরণিক রূপ সাধু ভাষায় বেশ পরিপূর্ণ এবং সুনির্ধারিত।
এই রীতি কঠোর ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে এবং এর শব্দ ও পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও গঠনমূলক। সাধু ভাষা সাধারণত গুরুগম্ভীর স্বরে গড়ে ওঠে এবং এতে প্রচুর পরিমাণে তৎসম শব্দের সন্নিবেশ ঘটে।
নাটকের সংলাপ বা সাধারণ বক্তৃতার জন্য সাধু ভাষার রীতি তুলনামূলকভাবে অনুপযুক্ত, কারণ এর গম্ভীরতা ও কঠোরতা সেসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ) ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 months ago
সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট পদবিন্যাস অনুসরণ করে কোন ভাষারীতি?
Created: 1 month ago
A
সাধু ভাষারীতি
B
প্রমিত ভাষারীতি
C
উপ ভাষারীতি
D
আঞ্চলিক ভাষারীতি
• সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য:
-
রূপ অপরিবর্তনীয়; অঞ্চল বা কালক্রমে পরিবর্তন হয় না।
-
ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে; পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত।
-
তৎসম / সংস্কৃত শব্দ ব্যবহারে আভিজাত্য ও গম্ভীরতা থাকে।
-
শুধুমাত্র লেখায় ব্যবহৃত; কথাবার্তা, বক্তৃতা, ভাষণ ইত্যাদিতে অনুপযোগী।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 month ago