যে সকল পদের সমন্বয়ে সমাস হয় তাকে কি বলে?
A
সমস্ত পদ
B
পূর্বপদ
C
উভয়পদ
D
সমস্যমান পদ
উত্তরের বিবরণ
অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। সমাসের প্রক্রিয়ায় সমাসবদ্ধ বা সমাসনিষ্পন্ন পদটিকে বলে সমস্ত পদ। সমস্ত পদ কতগুলো পদের মিলিত রুপ, এই প্রতিটি পদকে বলে সমস্যমান পদ।

0
Updated: 1 month ago
উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
Created: 3 months ago
A
অব্যয় ও শব্দাংশ
B
নতুন শব্দ গঠনে
C
উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পিছনে
D
ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
উপসর্গ ও প্রত্যয়ের মধ্যে মূল পার্থক্য
উপসর্গ হলো সেই অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থসহ শব্দ তৈরি করে, আর প্রত্যয় হলো অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের পরে যোগ হয়ে নতুন শব্দের সৃষ্টি করে।
উপসর্গ
-
উপসর্গ হলো এমন ছোট ছোট অর্থহীন অংশ যা শব্দের শুরুতে বসে এবং নতুন অর্থবহ শব্দ তৈরি করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, ‘অজানা’ শব্দে ‘অ’, ‘অভিযোগ’ শব্দে ‘অভি’, ‘বেতার’ শব্দে ‘বে’ অংশগুলো উপসর্গ।
-
উপসর্গ নিজে কোনো নির্দিষ্ট অর্থ বহন করে না, কিন্তু এটি নতুন শব্দে অর্থের দ্যোতনা বা বৈচিত্র্য আনে। তাই বলা হয়, “উপসর্গের নিজস্ব অর্থ নেই, তবে অর্থ প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
-
বাংলায় প্রায় পঞ্চাশের বেশি উপসর্গ ব্যবহৃত হয়।
-
ভাষার গতিপথ অনুযায়ী, উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ,
৩. বিদেশি উপসর্গ।
প্রত্যয়
-
প্রত্যয় হলো শব্দ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হওয়া অর্থহীন অংশ যা নতুন শব্দ গঠনে সহায়তা করে।
-
যেমন: ‘বাঘ’ + ‘আ’ = ‘বাঘা’, ‘দিন’ + ‘ইক’ = ‘দৈনিক’।
-
প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার—
১. কৃৎ প্রত্যয়:
ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয় এমন শব্দাংশ যা ক্রিয়ারূপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: ‘চল’ + ‘ন্ত’ = ‘চলন্ত’, ‘কৃ’ + ‘তব্য’ = ‘কর্তব্য’।
বাংলায় কৃৎ প্রত্যয়ের দুটি রূপ পাওয়া যায়—বাংলা কৃৎ প্রত্যয় ও সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।
২. তদ্ধিত প্রত্যয়:
শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে।
যেমন: ‘চোর’ + ‘আ’ = ‘চোরা’, ‘কেষ্ট’ + ‘আ’ = ‘কেষ্টা’, ‘ডিঙি’ + ‘আ’ = ‘ডিঙা’, ‘হাত’ + ‘আ’ = ‘হাতা’।সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 3 months ago
'অবিন্ধন' শব্দের শুদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
অব্ + ইন্ধন
B
অপ্ + ইন্ধন
C
অপ্ + বিন্ধন
D
অবি্ + ইন্ধন
বাংলা ভাষায় সংস্কৃত ব্যঞ্জন সন্ধি হলো এমন একটি ব্যুৎপত্তিগত নিয়ম যেখানে পূর্বপদ এবং পরপদ যুক্ত হয়ে নতুন ধ্বনি উৎপন্ন করে। এটি মূলত ধ্বনিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে স্বর ও ব্যঞ্জনের মিলন নির্দেশ করে।
-
নিয়ম অনুযায়ী, পূর্বপদের শেষ বর্গের ব্যঞ্জন যদি ক, চ, ট, ত্, প হয় এবং পরপদের প্রথম ধ্বনি স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জন, তাহলে পূর্বপদের ব্যঞ্জনকে সংশ্লিষ্ট তৃতীয় ধ্বনি তে পরিবর্তন করা হয়।
উদাহরণ: ক → গ্, চ → জ্, ট → ড্ [ড়্], ত্ → দ্, প্ → ব্। পরপদের স্বর ধ্বনি বর্গের তৃতীয় ধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়। -
উদাহরণসমূহ:
দিক্ + অন্ত → দিগন্ত
বাক্ + আড়ম্বর → বাগাড়ম্বর
প্রাক্ + উক্ত → প্রাগুক্ত
ণিচ্ + অন্ত → ণিজন্ত
অচ্ + অন্ত → অজন্ত
ষট্ + অঙ্গ → ষড়ঙ্গ
ষট্ + ঋতু → ষড়ঋতু
ষট্ + ঐশ্বর্য → ষড়ৈশ্বর্য
ষট্ + আনন → ষড়ানন
সৎ + অর্থক → সদর্থক
সৎ + ইচ্ছা → সদিচ্ছা
মৃৎ + অজ্ঞা → মৃদঙ্গ
শরৎ + ইন্দু → শরদিন্দু
অপ্ + অগ্নি → অবগ্নি
অপ্ + ইন্ধন → অবিন্ধন
সুপ্ + অন্ত → সুবন্ত
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
‘মনমাঝি’- এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মন ও মাঝি।
B
মন মাঝির ন্যায়
C
মনরূপ মাঝি
D
মন যে মাঝি
উপমান ও উপমেয়ের মধ্যে অভিন্নতা কল্পনা করা হলে রূপক কর্মধারয় সমাস হয়। এ সমাসে উপমেয় পদ পূর্বে বসে ও উপমান পদ পরে বসে এবং সমস্যমান পদে 'রূপ' অথবা 'ই' যোগ করে ব্যাসবাক্য গঠন করা হয়। যেমন: ক্রোধ রূপ অনল = ক্রোধানল, বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু, মন রূপ মাঝি = মনমাঝি।

0
Updated: 1 month ago