A
সুখের পায়রা
B
যক্ষের ধন
C
খোদার খাসি
D
বসন্তের কোকিল
উত্তরের বিবরণ
খোদার খাসি = চিন্তাভাবনাহীন অলস অকর্মণ্য হৃষ্টপুষ্ট ব্যক্তি। (খোদার নামে ছেড়ে দেয়া এমন অর্থে ব্যবহার হয়)

0
Updated: 2 days ago
'ঢাকের কাঠি' বাগধারার অর্থ
Created: 1 month ago
A
সাহায্যকারী
B
তোষামুদে
C
বাদক
D
স্বাস্থ্যহীন লোক
• 'ঢাকের কাঠি' – এই বাগ্ধারাটি সাধারণত চাটুকার বা তোষামুদে ব্যক্তিদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
বাক্য: ঢাকের কাঠির মতো লোকদের কথায় অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
• 'ঢাকের বাঁয়া' – এ শব্দবন্ধটি অকেজো বা নিরর্থক কিছু বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
বাক্য: দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হলেও লাভ কী, মামুন তো ঢাকের বাঁয়া—কোনো কাজে লাগে না।
• 'ঢেঁকির কুমির' – এই বাগ্ধারাটি বোঝায় এমন লোকদের, যারা একেবারেই অযোগ্য বা নিরুদ্যম।
বাক্য: যারা ঢেঁকির কুমির, তারা চেষ্টা না করেই ব্যর্থতায় ডুবে থাকে।
• 'ঢাক পেটানো' – এর মাধ্যমে কোনো কিছুর ব্যাপক প্রচার বা প্রকাশ বোঝানো হয়।
বাক্য: মেয়েটির বয়স সতেরো—তা নিয়ে ঢাক পেটানোর মতো কিছু নেই।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি — ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 1 month ago
স্বেচ্ছাচারী ব্যক্তি” কোন বাগধারা দিয়ে বোঝানো হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
বুদ্ধির ঢেকি
B
পোয়া বারো
C
ধর্মের ষাঁড়
D
রাহুর দশা
ক) বুদ্ধির ঢেকি – যে কোনো কিছুতেই বুদ্ধি খাটায়, কিন্তু কাজের কাজ করে না।
খ) পোয়া বারো – খুবই সুখের সময়, চরম আনন্দ বা সুযোগপ্রাপ্তি।
গ) ধর্মের ষাঁড় – যে ধর্মের দোহাই দিয়ে অন্যায়ভাবে, স্বেচ্ছাচারীভাবে আচরণ করে।
ঘ) রাহুর দশা – দুঃসময়, অশুভ পরিস্থিতি।
সঠিক উত্তর: গ) ধর্মের ষাঁড়

0
Updated: 1 day ago
'ব্যাঙের সর্দি' - অর্থ কি?
Created: 2 months ago
A
রোগ বিশেষ
B
সম্ভাব্য ঘটনা
C
অসম্ভব ঘটনা
D
প্রতারণা
‘ব্যাঙের সর্দি’ একটি মজার এবং তাৎপর্যপূর্ণ বাগ্ধারা, যার মাধ্যমে বোঝানো হয় একটি অসম্ভব বা অকল্পনীয় ঘটনা। বাংলা ভাষায় এমন অনেক বাগ্ধারা রয়েছে যেগুলো দৈনন্দিন কথাবার্তায় গভীর অর্থ প্রকাশে ব্যবহৃত হয়।
যেমন, ‘ব্যাঙের আধুলি’ বলতে বোঝানো হয় খুব সামান্য অর্থ বা অমূল্য কিছু। আবার, ‘ঝিঙেফুল ফোটা’ বাগ্ধারাটি দিয়ে বোঝানো হয় কারও জীবনের শেষ সময় বা আয়ু ফুরিয়ে আসা। এটি সাধারণত বৃদ্ধ বা দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থাকে ইঙ্গিত করে ব্যবহৃত হয়।
‘কালে ভদ্রে’ বাগ্ধারাটি বোঝায় খুবই কদাচিৎ কোনো কিছু হওয়া, অর্থাৎ যা প্রায় হয় না বললেই চলে। অন্যদিকে, ‘কেউ কেটা’ শব্দটি দিয়ে বোঝানো হয় খুব অল্প বা সামান্য কিছু — তা ব্যক্তি, বিষয় বা পরিমাণ যাই হোক না কেন।
অন্য একটি প্রচলিত বাগ্ধারা ‘গয়ংগচ্ছ’, যার অর্থ হলো ধীর গতি বা ঢিলেমি — কোনো কাজকে গুরুত্বহীনভাবে ধীরগতিতে করা বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
এই বাগ্ধারাগুলি বাংলা ভাষার রস ও রঙকে আরো গভীর ও প্রাণবন্ত করে তোলে। ভাষার এইসব অলঙ্কারমূলক উপাদান শুধু অর্থবহ নয়, বরং সংজ্ঞা ও অনুভবের দিক থেকেও গভীর তাৎপর্য বহন করে।
(তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর)

0
Updated: 2 months ago