A
নেকড়ে অরণ্য
B
বন্দী শিবির থেকে
C
নিষিদ্ধ লোবান
D
প্রিয়যোদ্ধা প্রিয়তম
উত্তরের বিবরণ
‘বন্দী শিবির থেকে’ – শামসুর রহমান
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শামসুর রহমান ভারতীয় শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন।
-
সেই সময় তিনি “মজলুম আদিব” ছদ্মনামে বিভিন্ন দেশের পত্রিকায় লেখা প্রকাশ করতেন।
-
তার লেখা “বন্দী শিবির থেকে” কাব্যগ্রন্থটি ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যগ্রন্থের সব কবিতা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রচিত।
-
কাব্যগ্রন্থের শুরুতে ‘পুর্বলেখ’ শিরোনামে কবি রচনার পটভূমি এবং প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেছেন।
উল্লেখযোগ্য কবিতা:
-
তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা
-
স্বাধীনতা তুমি
-
মধুস্মৃতি
-
রক্তাক্ত প্রান্তরে
অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যকর্ম
-
শওকত ওসমান – নেকড়ে অরণ্য (উপন্যাস)
-
সৈয়দ শামসুল হক – নিষিদ্ধ লোবান (উপন্যাস)
-
হারুন হাবীব – প্রিয়যোদ্ধা প্রিয়তম (১৯৮২, উপন্যাস), যেখানে বাংলাদেশ ও যুগোস্লাভিয়ার মুক্তিসংগ্রামকে অভিন্ন অনুভূতি ও বিশ্বাসের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে।
উৎস:বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 days ago
'গোরক্ষ বিজয়' কাব্য কোন ধর্মমতের কাহিনি অবলম্বনে লেখা?
Created: 1 week ago
A
শৈবধর্ম
B
বৌদ্ধ সহজযান
C
নাথধর্ম
D
কোনোটি নয়
ষোল শতকে কবি শেখ ফয়জুল্লাহ “গোরক্ষ-বিজয়” নামে প্রথম কাব্য রচনা করেছিলেন। এই কাব্যে নাথগুরুর মাহাত্ম্য এবং নাথধর্মের মহত্ত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
গোরক্ষবিজয় কাব্যগ্রন্থ:
নাথ সাহিত্যধারার মধ্যে “গোরক্ষবিজয়” অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাহিনি। বাংলা ভাষায় এটি সম্পর্কিত প্রায় ১৭টি পুথি সংগৃহীত হয়েছে। এই পুথি সংগ্রাহকরা হলেন:
-
নলিনীকান্ত ভট্টশালী – ১টি পুথি
-
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ – ৮টি পুথি
-
আলি আহমদ – ৭টি পুথি
-
পঞ্চানন মন্ডল – ১টি পুথি
অনেকগুলো পুথি বর্তমানে খণ্ডিত অবস্থায় আছে। পুথি অনুসারে সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা তিনটি। এর মধ্যে:
-
নলিনীকান্ত ভট্টশালী সম্পাদিত – মীনচেতন
-
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সম্পাদিত – গোরক্ষবিজয়
-
পঞ্চানন মন্ডল সম্পাদিত – গোর্খবিজয়
রচনাকাল ও কবি:
গোরক্ষবিজয় কাব্যের লিখিত সময় নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। ছাড়া, ভণিতায় কবীন্দ্র, ভীমসেন ও শ্যামদাস নামও পাওয়া যায়। তবে নামের সংখ্যাধিক্য অনুযায়ী শেখ ফয়জুল্লাহকে মূল কবি মনে করা হয়; বাকিরা মূলত গায়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 week ago
‘রূপাই ও সাজু’ - কোন কাব্যের চরিত্র?
Created: 1 week ago
A
রাখালী
B
সোজন বাদিয়ার ঘাট
C
নক্সী কাঁথার মাঠ
D
বোবা কাহিনী
‘নক্সী কাঁথার মাঠ’
-
‘নক্সীকাঁথার মাঠ’ (১৯২৯) জসীম উদ্দীন রচিত কাহিনি কাব্য বা গাথা কাব্য।
-
গ্রন্থের প্রথম অংশে বর্ণিত: চাষির ছেলে রূপাই ও পাশের গ্রামের মেয়ে সাজুর প্রথম পরিচয়, তাদের অনুরাগের বিকাশ, বিবাহ এবং কয়েক মাসের সুখময় জীবন।
-
দ্বিতীয় অংশে আলোচনা করা হয়েছে তাদের বিচ্ছেদ।
-
জসীম উদ্দীন পূর্ববঙ্গ গীতিকায় বর্ণনাভঙ্গি ও ভাষারীতি অবলম্বন করেছেন।
-
কাব্যের উপকরণ: গ্রামীণ জীবনের মাধুর্য ও কারুণ্য, বৈচিত্র্যহীন ক্লান্তিকরতা এবং মানুষের অসহায়তা।
-
আধুনিক বাংলা কাব্যের ইতিহাসে এটি একটি বিশেষ স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ রচনা।
জসীম উদ্দীনের অন্যান্য বিখ্যাত গাথা কাব্য
-
নক্সী কাঁথার মাঠ
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
মা যে জননী কান্দে
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
কোনটি কাব্যগ্রন্থ?
Created: 1 month ago
A
কবিতা
B
কাব্য পরিক্রমা
C
কয়েকটি কবিতা
D
বাঙলার কাব্য
সমর সেন ও 'কয়েকটি কবিতা': আধুনিক বাংলা কাব্যের এক উজ্জ্বল নাম
বাংলা আধুনিক কবিতার জগতে এক অনন্য নাম সমর সেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৬ সালের ১০ অক্টোবর, কলকাতার বাগবাজারে। সাহিত্যিক পরিবারে জন্ম নেওয়া সমর সেনের রক্তে ছিল সাহিত্য-ভাবনার ধারা; তাঁর পিতামহ ছিলেন প্রখ্যাত গবেষক দীনেশচন্দ্র সেন।
কবিতায় তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে এক নতুন ধারা নিয়ে, যেখানে নাগরিক জীবনের বাস্তবতা ও সমাজমনস্ক ভাবনার ছাপ স্পষ্ট। এ কারণে তাঁকে "আধুনিক নাগরিক কবি" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সমর সেন কখনোই রোমান্টিকতার মোহে আবদ্ধ ছিলেন না; তিনি নিজেই বলেছিলেন—
"আমি রোমান্টিক কবি নই, আমি মার্ক্সিস্ট"। এই উক্তি থেকেই বোঝা যায়, সমাজ ও রাজনীতির প্রতি তাঁর গভীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং মার্কসবাদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা।
তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘কয়েকটি কবিতা’ প্রকাশিত হয় ১৯৩৭ সালে। এটি বাংলা কবিতার ভুবনে এক নতুন পথচলার সূচনা করে। এই কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতার বইগুলো হলো:
-
গ্রহণ ও অন্যান্য কবিতা
-
নানাকথা
-
খোলাচিঠি
-
তিন পুরুষ
-
সমর সেনের কবিতা
গদ্য সাহিত্যে তাঁর অবদানও কম নয়। তাঁর রচিত ‘বাবু বৃত্তান্ত’ গদ্যগ্রন্থটি বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য।
সম্পাদনা জীবনেও সমর সেন রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি ছিলেন ‘ফ্রন্টিয়ার’ (Frontier) ও ‘নাও’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। এই পত্রিকাগুলোর মাধ্যমে তিনি সাহিত্য ও সমাজ ভাবনার একটি নতুন দিক উন্মোচন করেন।
অন্যদিকে বাংলা কাব্যচর্চার প্রসঙ্গ এলে স্মরণে আসে আরও কিছু বিশিষ্ট গ্রন্থ ও পত্রিকার নাম:
-
হুমায়ুন কবির রচিত কাব্য সমালোচনামূলক গ্রন্থ: ‘বাঙলার কাব্য’
-
অজিতকুমার চক্রবর্তী রচিত গ্রন্থ: ‘কাব্য পরিক্রমা’
-
এবং বাংলা সাহিত্যের আলোচিত একটি পত্রিকা ‘কবিতা’, যা ছিল একটি ত্রৈমাসিক কবিতাবিষয়ক পত্রিকা। এর প্রথম প্রকাশ হয় ১ অক্টোবর ১৯৩৫ (আশ্বিন ১৩৪২), যার সম্পাদনায় ছিলেন বুদ্ধদেব বসু ও প্রেমেন্দ্র মিত্র।
তথ্যসূত্র:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago