মুনীর চৌধুরীর 'মুখরা রমণী বশীকরণ' একটি-
A
উপন্যাস
B
ছোটগল্প
C
প্রবন্ধ
D
অনুবাদ নাটক
উত্তরের বিবরণ
মুনীর চৌধুরীর ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ নাটক
-
রচনা ও উৎস
‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ হলো বাংলাদেশি নাট্যকার মুনীর চৌধুরীর অনুবাদ নাটক। এটি উইলিয়াম শেক্সপিয়রের The Taming of The Shrew (টেমিং অব দ্য শ্রু) নাটকের অনুবাদ, ১৯৭০ সালে প্রকাশিত। নাটকটি পাঁচ অঙ্কের কমেডি রূপে উপস্থাপিত। -
পটভূমি ও কাহিনী:
নাটকটির প্রধান চরিত্র দুই কন্যা — ক্যাথেরিনা এবং বিয়াঙ্কা, যাদের পিতা পডুয়া শহরের ধনী ব্যক্তি। ক্যাথেরিনা চঞ্চল ও মুখরায়, আর বিয়াঙ্কা সুন্দরী ও কোমল স্বভাবের। ভেরোনা শহরের যুবক পেট্রুশিও ক্যাথেরিনার আত্মমর্যাদা ও জেদকে চ্যালেঞ্জ করে, শেষে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়।
মুনীর চৌধুরীর ভাষায়, কাহিনিটি স্থূল হলেও এতে হাস্যরস সতেজ, সরস ও উপভোগ্য।
মুনীর চৌধুরী
-
জন্ম: ২৭ নভেম্বর ১৯২৫, মানিকগঞ্জ।
-
পেশা: শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
-
জীবন: শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রচিত নাটকসমূহ
-
মূল নাটক: রক্তাক্ত প্রান্তর, চিঠি, কবর, দণ্ডকারণ্য।
-
অনুবাদ নাটক: কেউ কিছু বলতে পারে না, রূপার কৌটা, মুখরা রমণী বশীকরণ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago
'মুখরা রমণী বশীকরণ' নাটকটি অনুবাদ করেন কে?
Created: 1 month ago
A
মামুনুর রশীদ
B
সেলিম আল দীন
C
মুনীর চৌধুরী
D
সেলিনা হোসেন
‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ নাটক
-
মুনীর চৌধুরী উইলিয়াম শেক্সপিয়রের The Taming of The Shrew (টেমিং অব দি শ্রু) অনুবাদ করেন ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ নামে (১৯৭০ সালে)। এটি একটি পাঁচ অঙ্কের কমেডি নাটক।
-
নাটকের কাহিনি: পদুয়া নামক স্থানের এক ধনী ব্যক্তি ব্যাপ্টিস্তার দুই কন্যা ছিল— ক্যাথেরিনা ও বিয়াঙ্কা।
-
ক্যাথেরিনা ছিলেন অত্যন্ত মুখরা ও জেদি স্বভাবের।
-
অন্যদিকে বিয়াঙ্কা ছিলেন রূপবতী ও কোমলস্বভাবা।
-
-
ভেরোনা নামক স্থানের যুবক পেট্রুশিও ক্যাথেরিনার অহংকার ভেঙে তাকে বিবাহ করেন।
-
মুনীর চৌধুরী নিজেই মন্তব্য করেছিলেন: “কাহিনিটি স্থুল, কিন্তু এতে যে হাস্যরস আছে তা সতেজ, সরস ও উপভোগ্য।”
মুনীর চৌধুরীর অনুবাদ নাটকসমূহ
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
মুনীর চৌধুরী রচিত "কবর" কোন ধরনের রচনা?
Created: 1 week ago
A
নাটক
B
প্রবন্ধ
C
উপন্যাস
D
কবিতা
‘কবর’ হলো অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী রচিত একটি ঐতিহাসিক ও প্রতীকধর্মী নাটক, যা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত। এটি কেবল বাংলা নাটকের ইতিহাসেই নয়, বরং বাংলাদেশের প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত।
-
‘কবর’ নাটকটি ১৯৫৩ সালে রচিত হয়, যখন মুনীর চৌধুরী রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে জেলে অবস্থান করছিলেন।
-
বামপন্থী চিন্তাবিদ রণেশ দাশগুপ্তের অনুরোধে, ভাষা আন্দোলনের স্মরণে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন উপলক্ষে এই নাটকটি লেখা হয়।
-
নাটকটি প্রথম অভিনীত হয় ১৯৫৩ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে, যেখানে বন্দিরাই অভিনেতা ছিলেন।
-
১৯৬৬ সালে নাটকটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম প্রতিবাদী রাজনৈতিক নাটক, যা ভাষা আন্দোলনের আত্মত্যাগ, শোক ও পুনর্জাগরণের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
নাটকের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য:
-
পটভূমি: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, যা বাঙালির ভাষা ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সংগ্রামকে প্রতিফলিত করে।
-
নাটকটির মূল প্রতীক হলো “কবর”—যা মৃত্যুর মধ্য দিয়েই নতুন জীবনের, নতুন চেতনার জন্মের ইঙ্গিত দেয়।
-
এতে বাঙালি জাতির সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতা চেতনার নবজাগরণ ফুটে উঠেছে।
-
নাটকটি একদিকে রাজনৈতিক প্রতিবাদের ভাষা, অন্যদিকে আত্মত্যাগের মহিমার কাব্যময় উপস্থাপন।
মুনীর চৌধুরী (১৯২৫–১৯৭১):
-
জন্ম: ২৭ নভেম্বর ১৯২৫, মানিকগঞ্জ শহরে।
-
ছিলেন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
-
ছাত্রজীবন থেকেই বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতি লেখক ও শিল্পী সংঘ, কমিউনিস্ট পার্টি এবং ভাষা আন্দোলন-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
-
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ঠিক আগে, তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসরদের হাতে অপহৃত ও নিহত হন, এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।
উল্লেখযোগ্য নাটকসমূহ:
-
কবর
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
দণ্ডকারণ্য
-
পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
মীর মানস
-
তুলনামূলক সমালোচনা
-
বাংলা গদ্যরীতি
‘কবর’ শুধু একটি নাটক নয়—এটি ভাষা আন্দোলনের চেতনা, প্রতিবাদ ও আত্মত্যাগের কাব্যিক প্রতীক, যা দেখায় কীভাবে মৃত্যু থেকেও নতুন জীবন ও জাতিসত্তার পুনর্জন্ম সম্ভব।

0
Updated: 1 week ago
'কবর' নাটকটির লেখক-
Created: 5 months ago
A
জসীমউদ্দীন
B
নজরুল ইসলাম
C
মুনীর চৌধুরী
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
• ‘কবর’ নাটক:
- ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক 'কবর'।
- নাটকটি লেখক জেলে থাকা অবস্থায় রচনা করেন এবং ১৯৫৩ সালে জেলের রাজবন্দিদের দ্বারা নাটকটি প্রথম অভিনীত হয়।
- নাটকটি ১৯৬৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
• ‘কবর’ নাটকের কাহিনি সংক্ষেপ:
- মার্কিন নাট্যকার Irwin Shaw রচিত 'Bury The Dead' (১৯৩৬) নাটকের অনুসরণে এদেশীয় ঘটনা কেন্দ্র করে 'কবর' নাটক লেখা হয়েছে।
- 'কবর' নাটকে মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে শহরে কারফিউ দিয়ে লাশ গুম করতে গভীর রাতে কবরস্থানে নিয়ে যায়। পুলিশ ইন্সপেক্টর হাফিজ এবং নেতা (নাটকে তার নাম নেই) যৌথভাবে এ দায়িত্ব নেয়। কিন্তু লাশগুলো ছিন্নভিন্ন দেখে তারা ধর্মীয় প্রথা অনুসারে কবরস্থ না করে একত্রে মাটিচাপা দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বাধা দেয় গোর-খোদক। কবরস্থানে আশ্রয় নেয়া আরেক স্বজনহারা পাগল মুর্দা ফকিরও প্রতিবাদ জানায়।
বলে: এ লাশগুলো আন্দোলনকারীর। এরা এভাবে কবরে যাবে না। লাশগুলোও তখন উঠে দাঁড়ায় এবং বলে: আমরা কবরে যাবো না। এসব দেখে মদ্যপ ইন্সপেক্টর ও নেতা ভয় পেয়ে যায়।
- 'কবর' একুশের পটভূমিতে রচিত প্রথম বাংলা নাটক।
---------------------
• মুনীর চৌধুরী:
- মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
- ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে তাঁর জন্ম।
- মুনীর চৌধুরী শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মুনীর চৌধুরীর মৌলিক নাটক:
- রক্তাক্ত প্রান্তর,
- চিঠি,
- কবর,
- দণ্ডকারণ্য।
অনুবাদ নাটক:
- কেউ কিছু বলতে পারে না,
- রূপার কৌটা ও
- মুখরা রমণী বশীকরণ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 5 months ago