A
বায়োগ্যাস
B
জলবিদ্যুৎ
C
সৌরশক্তি
D
প্রাকৃতিক গ্যাস
উত্তরের বিবরণ
শক্তির উৎস (Sources of Energy):
শিল্পায়ন এবং জীবনের মানোন্নয়নের কারণে শক্তির চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলছে। এজন্য বিজ্ঞানীরা নতুন শক্তির উৎস খুঁজছেন। শক্তির উৎস প্রধানত দুই প্রকার:
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস (Renewable Energy):
বারবার ব্যবহার করা যায়।
পরিবেশ বান্ধব, তাই গ্রীন শক্তি হিসেবেও পরিচিত।
ব্যবহার বৃদ্ধি করলে অর্থ সাশ্রয় হয় এবং দূষণ কমে পরিবেশ রক্ষা হয়।
অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস (Non-renewable Energy):
পুনঃব্যবহার করা যায় না।
প্রকৃতিতে সীমিত পরিমাণে পাওয়া যায়।
উদাহরণ: কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস।
দেশে মজুদের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় কম।
চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
উৎপাদনের খরচ বেশি এবং পরিবেশ বান্ধব নয়।
উল্লেখ: প্রাকৃতিক গ্যাস অনবায়নযোগ্য শক্তি এবং এর উৎস সীমিত।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি নবায়নযোগ্য শক্তির উদাহরণ?
Created: 2 days ago
A
খনিজ তেল
B
কয়লা
C
প্রাকৃতিক গ্যাস
D
বায়ুশক্তি
শক্তি:
-
শক্তি ছাড়া সভ্যতা এক মুহূর্তও চলতে পারে না।
-
শক্তির বিনিময়ে কাজ সম্পন্ন হয়, তাই জীবনের জন্য শক্তির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অপরিহার্য।
-
শিল্পায়নের অগ্রগতি ও জীবনমান উন্নয়নের কারণে শক্তির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। এ কারণে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বিজ্ঞানীরা নতুন শক্তির উৎস খুঁজে যাচ্ছেন।
শক্তির উৎস:
শক্তির উৎস প্রধানত দুই ধরনের—
১। নবায়নযোগ্য শক্তি (Renewable energy):
-
নবায়নযোগ্য শক্তি বারবার ব্যবহার করা যায়।
-
এটি পরিবেশবান্ধব এবং গ্রীন শক্তি নামেও পরিচিত।
-
উদাহরণ: সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ, বায়োমাস শক্তি, ভূ-তাপীয় শক্তি ইত্যাদি।
২। অনবায়নযোগ্য শক্তি (Non-renewable energy):
-
অনবায়নযোগ্য শক্তিকে পুনঃব্যবহার করা যায় না।
-
প্রকৃতিতে এ শক্তির উৎস সীমিত।
-
দেশে কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি অনবায়নযোগ্য শক্তির মজুদ খুব বেশি নয়।
-
চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে খনিজ তেল ও কয়লা আমদানি করতে হয়, যা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের কারণ।
-
অনবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে ব্যয় বেশি এবং এটি অনেক সময় পরিবেশবান্ধব নয়।
-
নবায়নযোগ্য শক্তি জনপ্রিয় করা গেলে অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি দূষণ থেকেও পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব।
-
শক্তির সঠিক ও কার্যকর ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 days ago
সকল শক্তির উৎস কোনটি?
Created: 2 days ago
A
সূর্য
B
নক্ষত্র
C
জীবাশ্ম
D
প্রাকৃতিক গ্যাস
সৌরশক্তি:
সূর্য থেকে যে শক্তি পাওয়া যায়, তাকে সৌরশক্তি বলা হয়।
সূর্য সকল শক্তির মূল উৎস।
পৃথিবীতে যত শক্তি আছে, তার অধিকাংশই কোনো না কোনোভাবে সূর্য থেকে এসেছে বা সূর্যকিরণ ব্যবহৃত হয়ে তৈরি হয়েছে।
- উদাহরণ: আধুনিক সভ্যতার জীবাশ্ম জ্বালানিতে আসলে বহুদিনের সঞ্চিত সৌরশক্তি আছে।
সৌরশক্তির ব্যবহার:
১. গরম রাখার কাজে: শীতের দেশে ঘরবাড়ি গরম রাখতে ব্যবহার করা হয়।
২. শস্য, মাছ ও সবজি শুকানো: সৌরশক্তি দিয়ে শস্য, মাছ, সবজি শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়।
- মাছ শুকিয়ে শুটকি তৈরি করা সম্ভব।
৩. বিদ্যুৎ উৎপাদন: সৌরশক্তি দিয়ে বয়লারে বাষ্প তৈরি করে টার্বাইন ঘুরিয়ে তড়িৎ উৎপাদন করা হয়।
৪. সৌরকোষ (Solar Cell): আধুনিক প্রযুক্তিতে সৌরকোষ তৈরি করা হয়েছে, যা সূর্যের আলো থেকে সরাসরি তড়িৎ উৎপন্ন করে।
- ব্যবহার: কৃত্রিম উপগ্রহে তড়িৎ সরবরাহ।
উৎস: বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণি

0
Updated: 2 days ago
এক খণ্ড পাথরের উপর একটি ধাতব দণ্ড দ্বারা জোরে আঘাত করলে যান্ত্রিক শক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
Created: 2 days ago
A
রাসায়নিক শক্তিতে
B
চুম্বক শক্তিতে
C
বিদ্যুৎ শক্তিতে
D
তাপ ও শব্দ শক্তিতে
যান্ত্রিক শক্তির রূপান্তর:
হাত দিয়ে শরীরের অন্য কোনো অংশ ঘষলে গরম অনুভূত হয়, এতে যান্ত্রিক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
বাঁশি বাজালে যান্ত্রিক শক্তি শব্দশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
এক খন্ড পাথরের উপর ধাতব দণ্ড দ্বারা জোরে আঘাত করলে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বের হতে দেখা যায় এবং কিছু শব্দ সৃষ্টি হয়। ফলে ধাতব দণ্ড ও পাথর খানিকটা উত্তপ্ত হয় এবং যান্ত্রিক শক্তি তাপ, শব্দ ও আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
ঢেঁকি দিয়ে ধান ভাঙ্গার সময় যান্ত্রিক শক্তি শব্দ ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
দোলনায় যান্ত্রিক শক্তি স্থিতি ও গতি শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণি

0
Updated: 2 days ago