A
পারকিনসন
B
এপিলেপসি
C
থ্রম্বোসিন
D
ডায়াবেটিস
উত্তরের বিবরণ
পারকিনসন রোগ (Parkinson's Disease):
পারকিনসন রোগ হলো মস্তিষ্কের এমন অবস্থা, যেখানে হাতে ও পায়ে কাঁপুনি হয় এবং আক্রান্ত রোগীর নড়াচড়া ও হাঁটাহাঁটি করা কষ্টকর হয়।
সাধারণত এটি ৫০ বছর বয়সের পরে দেখা দেয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে যুবক-যুবতীর মধ্যেও হতে পারে (বংশগত কারণে)।
মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ ডোপামিন নামে রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে, যা পেশির নড়াচড়ায় সাহায্য করে।
পারকিনসন রোগে ডোপামিন উৎপাদনকারী কোষ ধীরে ধীরে নষ্ট হয়, ফলে পেশি কোষগুলো কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে না।
বয়স বৃদ্ধির সাথে রোগীর মাংসপেশি আরও অকার্যকর হয়ে ওঠে, ফলে চলাফেরা, লেখালেখি ইত্যাদি কাজ করা কষ্টকর হয়।
রোগের প্রাথমিক ও অন্যান্য উপসর্গ:
হাত বা পায়ের হালকা কাঁপুনি
চোখের পাতার কাঁপুনি
কোষ্ঠকাঠিন্য
খাবার গিলতে কষ্ট
সোজাসুজি হাঁটার সমস্যা
মুখের বাচনভঙ্গি অনড় থাকা (মুখে টান বা ব্যথা)
চেয়ার থেকে ওঠা বা হাঁটতে শুরু করার সময় অসুবিধা
চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ:
নিয়মিত ফিজিওথেরাপি
পরিমিত খাদ্য গ্রহণ
সুশৃঙ্খল জীবনযাপন
উপযুক্ত যত্ন ও চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী অনেকটা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 days ago
কোন রোগেরপ্রতিষেধক টিকা ভাইরাস দিয়েই তৈরি করা হয়?
Created: 2 days ago
A
কলেরা
B
বসন্ত
C
এইডস
D
সবগুলোই
ভাইরাসের উপকারিতা:
বিজ্ঞানীরা পরিশ্রম করে ভাইরাসকে মানুষের উপকারে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছেন।
উপকারিতা:
১. রোগ প্রতিষেধক টিকা: বসন্ত, পোলিও ও জলাতঙ্কের টিকা ভাইরাস দিয়েই তৈরি হয়।
২. জন্ডিস রোগের টিকা: ভাইরাস থেকে জন্ডিসের প্রতিষেধক তৈরি করা হয়।
৩. জিন প্রকৌশলে ব্যবহার: জিনতত্ত্ব ও আণবিক জীববিদ্যায় ভাইরাসকে বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৪. ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ: ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসে ভাইরাস ব্যবহার করা হয়।
- যেমন: ফাজ ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে আমাশয় রোগ থেকে রক্ষা করে।
৫. পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ দমন: কিছু ভাইরাস ক্ষতিকর পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়েছে।
৬. জীব ও জড় বৈশিষ্ট্য অধ্যয়ন: ভাইরাসে জীব ও জড় উভয় বৈশিষ্ট্য থাকা কারণে জীব সৃষ্টি, অভিব্যক্তি ও ক্রমবিবর্তন বোঝার চাবিকাঠি।
৭. উদ্ভিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি: লাল টিউলিপে ভাইরাস আক্রমণের ফলে লম্বা সাদা দাগ পড়ে, যা ফুলের সৌন্দর্য ও মূল্য বৃদ্ধি করে।
উৎস: উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 days ago
ভাইরাসজনিত রোগ নয় কোনটি?
Created: 1 week ago
A
জন্ডিস
B
এইডস
C
নিউমোনিয়া
D
চোখ ওঠা
ভাইরাসজনিত রোগ
-
ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ভাইরাসজনিত রোগ বলা হয়।
-
উল্লেখযোগ্য কিছু ভাইরাসজনিত রোগ হলো: এইডস, জন্ডিস, কোভিড-১৯, হার্পিস, গুটি বসন্ত, জল বসন্ত, হাম, মাম্পস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, পোলিও, জলাতঙ্ক, ডেঙ্গু, ইবোলা ইত্যাদি।
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ
-
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগকে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ বলা হয়।
-
এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো: যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, কলেরা, গনোরিয়া, সিফিলিস, টাইফয়েড, আমাশয়, প্লেগ, কুষ্ঠ ইত্যাদি।
নিউমোনিয়া নিয়ে বিশেষ মন্তব্য
নিউমোনিয়া শুধু ভাইরাস নয়, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং অন্যান্য অণুজীব দিয়েও হতে পারে। তাই অপশনভিত্তিক প্রশ্নে এটি কখনো ভাইরাসজনিত রোগের মধ্যে পড়লেও, মূলত এটি বিভিন্ন অণুজীবের সংক্রমণে ঘটতে পারে। সুতরাং পরীক্ষায় প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সঠিক উত্তর বেছে নিতে হবে।
চোখ ওঠা রোগ (Conjunctivitis)
-
চোখ ওঠা রোগের বৈজ্ঞানিক নাম কনজাংটিভাইটিস।
-
এটি চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহজনিত অসুখ।
-
এ রোগ সাধারণত ভাইরাস দ্বারা হয় এবং খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
উৎস: উচ্চ মাধ্যমিক উদ্ভিদবিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক

0
Updated: 1 week ago