নিচের কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়?
A
প্রাকৃতিক গ্যাস
B
বায়োগ্যাস
C
কয়লা
D
তরল পেট্রোলিয়াম
উত্তরের বিবরণ
জ্বালানি ও জীবাশ্ম জ্বালানি
জ্বালানি:
যে সব পদার্থ থেকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রচুর তাপশক্তি উৎপাদিত হয়, সেগুলোকে জ্বালানি বলা হয়।
জ্বালানিই তাপশক্তির প্রধান উৎস।
জীবাশ্ম জ্বালানি:
কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ও তরল পেট্রোলিয়াম হলো জীবাশ্ম জ্বালানি।
এগুলো প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর উচ্চ চাপ ও তাপে পরিবর্তিত হয়ে তৈরি হয়।
অন্যদিকে:
বায়োগ্যাস জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, কারণ এটি পুনঃনবীকরণযোগ্য জ্বালানি উৎস।
এটি সাম্প্রতিক জৈব পদার্থের পচন থেকে উৎপন্ন হয়, যা স্বল্প সময়ে পুনরায় উৎপাদনযোগ্য।
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি অনবায়নযোগ্য শক্তির অন্তর্ভুক্ত?
Created: 2 weeks ago
A
সৌর শক্তি
B
বায়ু শক্তি
C
ভূ-তাপীয় শক্তি
D
কয়লা
শক্তির উৎস প্রধানত দুই প্রকারে বিভক্ত।
-
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস:
-
এই ধরনের শক্তি বারবার ব্যবহার করা যায়।
-
নবায়নযোগ্য শক্তি পরিবেশবান্ধব এবং এটি গ্রীন শক্তি হিসেবেও পরিচিত।
-
উদাহরণ: সমুদ্রস্রোত, বায়ুপ্রবাহ শক্তি, সৌর শক্তি, ভূ-তাপীয় শক্তি ইত্যাদি।
-
-
অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস:
-
এই ধরনের শক্তি পুনরায় ব্যবহার করা যায় না।
-
প্রকৃতিতে এর উৎস সীমিত এবং চাহিদার তুলনায় মজুদ খুব বেশি নয়।
-
অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন খরচ বেশি এবং অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নয়।
-
উদাহরণ: কয়লা, খনিজ তেল, নিউক্লিয় শক্তি, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি।
-

0
Updated: 2 weeks ago
ইথানল জীবাশ্ম জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কী ধরনের ইঞ্জিনে প্রয়োগ করা হয়?
Created: 1 month ago
A
বাষ্প ইঞ্জিন
B
বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিন
C
তাপ ইঞ্জিন
D
হাইড্রোলিক ইঞ্জিন
জ্বালানি হিসেবে ইথানলের ব্যবহার:
-
ইথানলের অপর নাম ইথাইল অ্যালকোহল।
-
রাসায়নিক সংকেত: CH3-CH2-OH।
-
জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন: কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রল প্রভৃতির মতো ইথানলও পোড়ালে তাপ উৎপন্ন হয়।
-
তাই জীবাশ্ম জ্বালানির মতো ইথানলকেও তাপ ইঞ্জিনে ব্যবহার করে কলকারখানা, গাড়ি, বিমান, জাহাজ প্রভৃতি চালানো যায়।
-
উত্তর আমেরিকাসহ অনেক দেশে জীবাশ্ম জ্বালানির সাথে ইথানল মিশিয়ে তাপ ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হয়।
-
যুক্তরাষ্ট্রে সব গাড়িতে পেট্রলের সাথে শতকরা ১০ ভাগ ইথানল মিশিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
-
তাই ইথানলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করলে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর চাপ কমে।
উৎস: রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
অনবায়নযোগ্য শক্তি নয় কোনটি?
Created: 1 week ago
A
বায়োগ্যাস
B
খনিজ তেল
C
কয়লা
D
প্রাকৃতিক গ্যাস
শক্তির উৎস সাধারণভাবে দুই প্রকার—নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ও অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। এ দুটি উৎসের পার্থক্য শক্তির ব্যবহার, পুনঃউৎপাদন ও পরিবেশগত প্রভাবের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।
১। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস
এ ধরনের শক্তি বারবার ব্যবহার করা যায় এবং প্রাকৃতিকভাবে পুনরায় উৎপন্ন হয়। এটি পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় একে গ্রীন শক্তিও বলা হয়।
-
নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে পুনরায় সৃষ্টি হয়।
-
এর ব্যবহার দূষণমুক্ত ও টেকসই উন্নয়নের সহায়ক।
-
এই শক্তি জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করে।
-
উদাহরণ: সৌর শক্তি, জলবিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস, ভূ-তাপীয় শক্তি ইত্যাদি।
-
নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তন ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানো সম্ভব।
২। অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস
এ ধরনের শক্তি একবার ব্যবহার করলে পুনরায় উৎপন্ন করা যায় না বা অত্যন্ত ধীরে সৃষ্টি হয়। প্রকৃতিতে এর পরিমাণ সীমিত।
-
অনবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে খরচ বেশি এবং এটি পরিবেশবান্ধব নয়।
-
এ উৎসগুলো ব্যবহারে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়, যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ।
-
শক্তির এ রূপ মূলত ভূগর্ভস্থ সম্পদ থেকে আহরণ করা হয়।
-
উদাহরণ: কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, নিউক্লিয় শক্তি ইত্যাদি।
-
ভবিষ্যতে এ ধরনের উৎস নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় এর বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে।

0
Updated: 1 week ago