'ইনকা' কোন অঞ্চলের প্রাচীন সভ্যতা?
A
পশ্চিম আফ্রিকা
B
পূর্ব ইউরোপ
C
দক্ষিণ আমেরিকা
D
পূর্ব এশিয়া
উত্তরের বিবরণ
ইনকা সভ্যতা:
-
এটি দক্ষিণ আমেরিকার এক প্রাচীন ও সমৃদ্ধ সভ্যতা।
-
ইনকা সভ্যতা মূলত পেরুকে কেন্দ্র করে বিকশিত হয়েছিল।
-
এর বিস্তার ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী এলাকা এবং আন্দিজ পর্বতমালা বরাবর—উত্তরে ইকুয়েডর থেকে শুরু করে দক্ষিণে মধ্য চিলি পর্যন্ত।
-
ইনকা সভ্যতার উল্লেখযোগ্য ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় পেরুর মাচু পিচুতে, যা আজও বিশ্ব ঐতিহ্যের এক নিদর্শন।
-
এই সভ্যতার প্রতিষ্ঠাতা বা প্রধান স্থপতি ছিলেন মানকো কাপাক।
-
তাদের ভাষা ছিল কেচুয়া।
তথ্যসূত্র: ব্রিটানিকা

0
Updated: 1 month ago
কোনটি প্রাচীন সভ্যতা?
Created: 2 weeks ago
A
গ্রিস
B
মেসোপটেমিয়া
C
রোম
D
সিন্ধু
মেসোপটেমীয় সভ্যতা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা, যা মূলত নদীমাতৃক অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল এবং ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর তীরে বিস্তৃত ছিল। আধুনিক তুরস্ক, সিরিয়া, ইরান ও ইরাক অঞ্চলে এই সভ্যতার চিহ্ন দেখা যায়, যার অধিকাংশ এলাকা বর্তমানে ইরাকের অন্তর্গত।
'Mesopotamian' শব্দের অর্থ হলো “two rivers’ land”, অর্থাৎ দুই নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল। গ্রীকরা এই অঞ্চলের জন্য 'Mesopotamia' নামকরণ করেছিলেন।
মেসোপটেমীয় সভ্যতার প্রধান চারটি পর্যায় ছিল:
-
সুমেরীয় সভ্যতা (Sumerian Civilization)
-
ব্যাবিলনীয় সভ্যতা (Babylonian Civilization)
-
অ্যাশেরীয় সভ্যতা (Assyrian Civilization)
-
ক্যালেডীয় সভ্যতা (Chaldean Civilization)
মেসোপটেমীয় সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ অবদানগুলো হলো:
-
সুমেরীয় সভ্যতা গড়ে ওঠা সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা, যারা চাকা আবিষ্কার করেন এবং জলঘড়ি ও চন্দ্রপঞ্জিকা তৈরি করে সময় গণনার ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখান।
-
অ্যাশেরীয় সভ্যতা বৃত্তকে ৩৬০° ভাগে বিভক্ত করার ধারণা প্রদান করে এবং তারা সমরবিদ্যা, অস্ত্র ও হাতিয়ার তৈরি ও ব্যবহারেও অগ্রগণ্য ছিলেন।
-
ব্যাবিলনীয় সভ্যতা বিশ্বের প্রথম লিখিত আইন প্রবর্তন করে, যা হাম্মুরাবি আইন নামে পরিচিত। এছাড়াও, তারা প্রথম পঞ্জিকার প্রচলন করেন।
-
ক্যালেডীয় সভ্যতা ৭ দিনের সপ্তাহ গণনা প্রবর্তন করে এবং প্রতিদিনকে ১২ জোড়া ঘন্টায় ভাগ করার পদ্ধতি তৈরি করেন। এই সভ্যতা গড়ে তোলেন রাজা নেবুচাঁদনেজার।

0
Updated: 2 weeks ago
মানব সভ্যতায় প্রথম কোন যুগে তামা ব্যবহারের সূচনা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
লৌহ যুগ
B
তাম্র যুগ
C
প্রস্তর যুগ
D
ব্রোঞ্জ যুগ
তাম্রযুগ:
-
খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দের শেষ দিকে ইউরোপ ও নিকট প্রাচ্যে তাম্রযুগের সূচনা ঘটে।
-
তাম্রযুগে প্রবেশের মাধ্যমে নগরসভ্যতার সূচনা ঘটে।
-
তাম্রযুগে পাথরের ব্যবহার চলছিলেও তামার ব্যবহার নতুনত্বের পরিচায়ক।
-
এই যুগকে তাম্রপলীয় যুগ নামে আখ্যায়িত করা হয়।
-
মানুষের প্রথম ব্যবহৃত ধাতু হলো তামা।
-
প্রাচীন মিশর, সিরিয়া ও অ্যাসিরিয়ার মানুষ তামা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করত।
-
সুমেরের নগরসভ্যতার গোড়াপত্তনও তামা ব্যবহারের মাধ্যমে ঘটে।
-
তামার সীমিত প্রাপ্যতা এবং পরে ব্রোঞ্জযুগের আগমনের কারণে তাম্রযুগ দীর্ঘায়িত হয়নি।
-
তামার হাতিয়ার ও তৈজসপত্রের ব্যবহার পাথরের স্থলে শ্রমের উৎপাদনশক্তি বৃদ্ধি করে।

0
Updated: 3 weeks ago
মায়াদের ‘হাব (Haab)’ ক্যালেন্ডার কিসের উপর ভিত্তি করে তৈরি?
Created: 1 month ago
A
ধর্মীয় রীতি
B
সৌর বছর
C
চন্দ্র বছর
D
কৃষি মৌসুম
মায়া সভ্যতা (Maya Civilization)
প্রকৃতি: তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক ও উন্নত সভ্যতা
নিবাসকারী: মায়া সভ্যতার মানুষকে মায়ান বলা হতো
অবস্থান: মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার দেশসমূহ — গুয়েতমালা, বেলিজ, এল সালভাদোর, হন্ডরাস প্রভৃতি
সময়কাল: আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০ অব্দ থেকে বসবাস শুরু
কেন্দ্রবিন্দু: মেক্সিকোর ইয়াকাতানে অবস্থিত চেচেন ইৎজা (Chichen Itza) শহর
সভ্যতার পর্যায়:
প্রাচীন মায়া সভ্যতা: খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০ – ২৫০ খ্রিস্টাব্দ
ক্ল্যাসিক মায়া সভ্যতা: ২৫০ – ৯০০ খ্রিস্টাব্দ
ক্যালেন্ডার:
হাব (Haab): ৩৬৫ দিনের সৌর ক্যালেন্ডার
টজলকিন (Tzolk’in): ২৬০ দিনের ধর্মীয় ক্যালেন্ডার
তথ্যসূত্র: Britannica & history.com

0
Updated: 1 month ago