A
প্রশ্নবাচক
B
অনুজ্ঞাবাচক
C
আবেগবাচক
D
আবেগবাচক
উত্তরের বিবরণ
অনুজ্ঞাবাচক বাক্য
-
সংজ্ঞা: আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, প্রার্থনা ইত্যাদি বোঝাতে যে বাক্য ব্যবহৃত হয়, তাকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
আমাকে একটি কলম দাও।
-
তার মঙ্গল হোক।
-
আমাকে একটু জল দাও।
-
বিপদে ধৈর্য ধর।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২৩ সংস্করণ)

0
Updated: 3 days ago
'তিনি কথা বললেন না।'- বাক্যটির অস্তিবাচক রূপ কী হবে?
Created: 1 month ago
A
তিনি কথা বলতে চাইলেন না।
B
তিনি কথা না বলে থাকতে পারলেন না।
C
তিনি নীরব থাকতে চেষ্টা করলেন।
D
তিনি চুপ করে থাকলেন।
মূল বাক্য: তিনি কথা বললেন না।
প্রশ্ন: এর অস্তিবাচক রূপ কী হবে?
এই বাক্যটি একটি নেতিবাচক বাক্য, যেখানে বোঝানো হয়েছে – তিনি কিছু বলেননি।
অস্তিবাচক রূপ মানে এমন একটি বাক্য তৈরি করা, যা ইতিবাচক শব্দে বলা হলেও মূল অর্থ একই থাকে—মানে, কথার অনুপস্থিতি বোঝাতে হবে।
এখন বিভিন্ন বিকল্প দেখা যাক:
ক) তিনি কথা বলতে চাইলেন না:
এখানে এখনও “চাইলেন না” – এটি একটি নেতিবাচক শব্দ, তাই এটি সম্পূর্ণ অস্তিবাচক রূপ নয়।
খ) তিনি কথা না বলে থাকতে পারলেন না:
এই বাক্যেও “পারলেন না” আছে, যেটা আবার নেতিবাচক, তাই এটিও সঠিক নয়।
গ) তিনি নীরব থাকতে চেষ্টা করলেন:
এখানে বোঝানো হয়েছে, তিনি চেষ্টা করেছেন নীরব থাকার, কিন্তু এটি মূল বাক্যের সরল অর্থ (কথা না বলা) ঠিকভাবে প্রকাশ করে না।
✅ ঘ) তিনি চুপ করে থাকলেন:
এই বাক্যে কোনো নেতিবাচক শব্দ নেই, কিন্তু অর্থ ঠিকই বোঝায় – তিনি কিছু বলেননি।
এটাই হচ্ছে আসল অর্থের ইতিবাচকভাবে প্রকাশ – মানে সঠিক অস্তিবাচক রূপ।
ফলাফল:
✔ সঠিক উত্তর: "তিনি চুপ করে থাকলেন।"
কারণ এটি ইতিবাচক রূপে বলা হলেও মূল নেতিবাচক অর্থটি বজায় রেখেছে।
উৎস: ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষা-শিক্ষা

0
Updated: 1 month ago
'আকাশে মেঘ ছিল না, কিন্তু বজ্রপাত হলো।' - বাক্যটির সরল রূপ কোনটি?
Created: 3 months ago
A
বজ্রপাত হলো, তাই আকাশে মেঘ ছিল না।
B
আকাশে মেঘ না থাকলে কিন্তু বজ্রপাত হলো।
C
আকাশে মেঘ না থাকা সত্ত্বেও বজ্রপাত হলো।
D
আকাশে মেঘ থাকায় বজ্রপাত হলো।
যৌগিক বাক্য থেকে সরল বাক্য
যৌগিক বাক্যে সাধারণত দুটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, অন্যদিকে সরল বাক্যে থাকে মাত্র একটি সমাপিকা ক্রিয়া। তাই যৌগিক বাক্যকে সরল বাক্যে রূপান্তর করতে হলে, মধ্যবর্তী সমাপিকা ক্রিয়াকে অসমাপিকা ক্রিয়ায় রূপান্তর করতে হয়।
উদাহরণ:
-
যৌগিক বাক্য: আকাশে মেঘ ছিল না, কিন্তু বজ্রপাত হলো।
সরল বাক্য: আকাশে মেঘ না থাকা সত্ত্বেও বজ্রপাত হলো। -
যৌগিক বাক্য: পরিশ্রম কর, তবেই ফল পাবে।
সরল বাক্য: পরিশ্রম করলে ফল পাবে।
উৎস:
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ ও ২০২২ সংস্করণ)
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 3 months ago
'যেহেতু তুমি বেশি নম্বর পেয়েছ, সুতরাং তুমি প্রথম হবে' কোন ধরনের বাক্য?
Created: 1 month ago
A
সরল
B
জটিল
C
যৌগিক
D
অনুজ্ঞামূলক
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের সাথে এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য যুক্ত থাকে, বা একাধিক বাক্য পরস্পরের সঙ্গে নির্ভরশীল ও সম্পর্কিত হয়ে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলা হয়।
সহজ কথায়, যেখানে একটি মূল বাক্যের সঙ্গে সাব-বাক্যগুলো সংযুক্ত থাকে এবং তারা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, সেসব বাক্যই জটিল বাক্য।
জটিল বাক্যে ব্যবহৃত সাপেক্ষ সর্বনাম ও সাপেক্ষ যোজক
জটিল বাক্যে প্রায়শই ‘যে-সে’, ‘যারা-তারা’, ‘যিনি-তিনি’, ‘যাঁরা-তাঁরা’, ‘যা-তা’ এর মতো সাপেক্ষ সর্বনাম এবং ‘যদি-তবে’, ‘যদিও-তবু’, ‘যেহেতু-সেহতু’, ‘যত-তত’, ‘যেটুকু-সেটুকু’, ‘যেমন-তেমন’, ‘যখন-তখন’ ইত্যাদি সাপেক্ষ যোজক ব্যবহৃত হয়।
এই ধরনের শব্দ ও যুক্তি অপ্রধান ও প্রধান খণ্ডবাক্যগুলোকে যুক্ত করে এবং বাক্যের অর্থকে পরস্পরের সঙ্গে সাপেক্ষ করে।
উদাহরণসমূহ
-
যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ, তাই তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে।
(এখানে ‘যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ’ অংশটি অপ্রধান খণ্ডবাক্য এবং ‘তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে’ প্রধান খণ্ডবাক্য।) -
যে ছাত্রটি সময়মতো এসেছে, সে আমার বন্ধু।
-
যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন আমরা ছাতা নিয়ে বের হলাম।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯), ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষা-শিক্ষা

0
Updated: 1 month ago