A
আব্দুস সাত্তার
B
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
C
বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম
D
বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ
উত্তরের বিবরণ
জেনারেল এরশাদ:
-
রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
-
তিনি তখন সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর দেশে সামরিক আইন জারি করেন।
-
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সরিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন।
-
সামরিক ফরমান জারি করে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ, জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা বাতিল করেন এবং সংবিধানের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।
-
জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা চালান।
-
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠন জোটবদ্ধ হয়ে এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।
-
ধীরে ধীরে আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নেয়।
-
গণআন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর জেনারেল এরশাদ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন।
-
প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মুখে জেনারেল এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
উৎস:
i) প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)
ii) প্রথম আলো

0
Updated: 2 days ago
সরকারি গেজেট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কতজন শহীদ হয়েছেন?
Created: 2 days ago
A
৮৩২ জন
B
৮৩৬ জন
C
৮৪২ জন
D
৮৪৪ জন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এর শহীদদের গেজেট:
-
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এর শহীদদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার।
-
এটি প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
-
সরকারি গেজেট অনুযায়ী ওই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা ৮৪৪।
-
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত গেজেটে ‘মেডিকেল কেস আইডি’, শহীদদের নাম, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য:
-
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ তহবিল রাখা হচ্ছে।
-
তহবিলের পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে।
-
তহবিল থেকে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে এককালীন অর্থ, মাসিক ভাতা, দেশে-বিদেশে চিকিৎসা খরচ এবং কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
-
একই তহবিলের অর্থে ঢাকার মিরপুরে তাদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।
উৎস:
i) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়
ii) প্রথম আলো

0
Updated: 2 days ago
ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
Created: 2 days ago
A
এ. কে. ফজলুল হক
B
খাজা নাজিমউদ্দিন
C
আতাউর রহমান খান
D
নুরুল আমিন
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন:
-
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী: খাজা নাজিমউদ্দিন
-
পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী: নুরুল আমিন
-
পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল: গোলাম মুহাম্মদ
-
পূর্ব বাংলার গভর্নর: ফিরোজ খান নুন
-
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকার ছাত্র ও সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে আসে।
-
এই দিনটি বাংলা ১৩৫৮ সনের ৮ ফাল্গুন, বৃহস্পতিবারের দিন।
-
১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
-
একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে সরকারি ছুটি প্রদান করা হয়।
-
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
উৎস:
i) প্রথম আলো
ii) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 days ago
'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচির সময় শিক্ষার্থীরা কোন দাবিতে একত্রিত হয়েছিল?
Created: 2 days ago
A
শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি
B
শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট বৃদ্ধি
C
শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা
D
কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ
বাংলা ব্লকেড আন্দোলন (২০২৪)
মূল কারণ:
-
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
-
২০১৮ সালের সরকারি পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতেই আন্দোলন শুরু
প্রেক্ষাপট:
-
৫ জুন, ২০২৪: হাইকোর্ট ২০১৮ সালের পরিপত্রের আংশিক অবৈধ ঘোষণা করলে আন্দোলন পুনরায় জ্বলে ওঠে
-
৭ জুলাই, ২০২৪: শিক্ষার্থীরা সারা দেশে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধের ডাক দেন
-
কর্মসূচির নাম: ‘বাংলা ব্লকেড’
-
শাহবাগ মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কর্মসূচি পালন
পূর্ববর্তী ইতিহাস:
-
২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হয়
-
২০২১ সালে কিছু বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করেন, যার ফলে কোটা ব্যবস্থা ৫ জুন ২০২৪-এ পুনরায় ফিরে আসে
-
১ জুলাই, ২০২৪ থেকে শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু করেন
উৎস:
-
প্রথম আলো
-
BBC

0
Updated: 2 days ago