A
৮৩২ জন
B
৮৩৬ জন
C
৮৪২ জন
D
৮৪৪ জন
উত্তরের বিবরণ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এর শহীদদের গেজেট:
-
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এর শহীদদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার।
-
এটি প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
-
সরকারি গেজেট অনুযায়ী ওই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা ৮৪৪।
-
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত গেজেটে ‘মেডিকেল কেস আইডি’, শহীদদের নাম, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য:
-
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ তহবিল রাখা হচ্ছে।
-
তহবিলের পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে।
-
তহবিল থেকে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে এককালীন অর্থ, মাসিক ভাতা, দেশে-বিদেশে চিকিৎসা খরচ এবং কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
-
একই তহবিলের অর্থে ঢাকার মিরপুরে তাদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।
উৎস:
i) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়
ii) প্রথম আলো

0
Updated: 2 days ago
কে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৮২ সালে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করেন?
Created: 2 days ago
A
আব্দুস সাত্তার
B
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
C
বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম
D
বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ
জেনারেল এরশাদ:
-
রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
-
তিনি তখন সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর দেশে সামরিক আইন জারি করেন।
-
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সরিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন।
-
সামরিক ফরমান জারি করে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ, জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা বাতিল করেন এবং সংবিধানের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।
-
জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা চালান।
-
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠন জোটবদ্ধ হয়ে এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।
-
ধীরে ধীরে আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নেয়।
-
গণআন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর জেনারেল এরশাদ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন।
-
প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মুখে জেনারেল এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
উৎস:
i) প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)
ii) প্রথম আলো

0
Updated: 2 days ago
নিম্নের কোন স্লোগান নব্বইয়ের আন্দোলনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল?
Created: 2 days ago
A
শান্তি ও সমৃদ্ধি
B
একাত্তরের চেতনায় মুক্তি
C
স্বাধীনতা আমার অধিকার
D
স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন:
-
স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনের উজ্জ্বলতম অধ্যায় হলো নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান।
-
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
-
ক্ষমতা দখলের পর থেকেই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
-
টানা ৯ বছর চলা আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটে।
-
ধারাবাহিক আন্দোলনের সময় ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর শিক্ষার্থী জেহাদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
উল্লেখযোগ্য:
-
আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর একটি মিছিলে নূর হোসেন বুকে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ এবং পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লেখা স্লোগানসহ অংশ নেন।
-
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর নূর হোসেন শহীদ হন।
উৎস: প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)

0
Updated: 2 days ago
জহির রায়হান পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র কোনটি?
Created: 2 days ago
A
হুলিয়া
B
ওরা ১১ জন
C
ধীরে বহে মেঘনা
D
স্টপ জেনোসাইড
Stop Genocide:
-
Stop Genocide মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র।
-
নির্মাণ করেন জহির রায়হান।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের মে/জুন মাসে প্রথম কলকাতায় প্রদর্শিত হয়।
-
প্রামাণ্যচিত্রটি মূলত বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগৃহীত স্টক ফুটেজ ও নিউজরিলের ছবির ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
-
চলচ্চিত্র-নির্মাতা জহির রায়হান এই ছবির মাধ্যমে বিশ্বের মানুষকে বাংলাদেশে চলমান গণহত্যার খবর জানান।
-
ছবির শুরুতে লেনিনের একটি বক্তব্য দিয়ে বিভিন্ন জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার তুলে ধরা হয়েছে।
-
২০ মিনিটের এই প্রামাণ্যচিত্রে বাংলাদেশের মানুষ, এর প্রকৃতি, পাকিস্তানি অত্যাচার, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র:
-
হুলিয়া একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, পরিচালনা করেছেন তানভীর মোকাম্মেল।
-
ওরা ১১ জন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র, পরিচালনা করেছেন চাষী নজরুল ইসলাম।
-
১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় নির্মিত ধীরে বহে মেঘনা চলচ্চিত্রের পরিচালক আলমগীর কবির।
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া
ii) প্রথম আলো

0
Updated: 2 days ago