A
ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত
B
দুর্যোগ সংঘটনের হার হ্রাস
C
দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ বিতরণ
D
আবহাওয়ার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ
উত্তরের বিবরণ
প্রশমন (Mitigation)
-
সংজ্ঞা:
দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপের মাধ্যমে দুর্যোগ সংঘটনের হার কমানো এবং দুর্যোগ-পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণকে দুর্যোগ প্রশমন বলা হয়। -
প্রধান কার্যক্রম:
-
দৃঢ় অবকাঠামো নির্মাণ: মজবুত পাকা ভবন ও সেতু, বেড়িবাঁধ ইত্যাদি।
-
কৃষি কৌশল: শস্য বহুমুখীকরণ।
-
ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা: বিপর্যয় হ্রাসের কৌশল অবলম্বন।
-
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থানান্তর: ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লোক স্থানান্তর।
-
প্রাকৃতিক সুরক্ষা: বনায়ন।
-
সুবিধা নির্মাণ: আশ্রয়কেন্দ্র ও নদী খনন।
-
-
বৈশিষ্ট্য:
-
দীর্ঘমেয়াদী এবং ব্যয়বহুল কার্যক্রম হলেও, এগুলো দুর্যোগের ক্ষতি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ।
-
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 days ago
সমুদ্রের পানি ফুলে উঠাকে কী বলা হয়?
Created: 2 days ago
A
ঢেউ
B
ভাটা
C
জোয়ার
D
জলোচ্ছ্বাস
জোয়ার ভাটা (Tides):-
-
সংজ্ঞা:
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ শক্তি প্রভাবে সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফুলে ওঠা ও নেমে যাওয়াকে জোয়ার ভাটা বলে।-
জোয়ার (High Tide): পানি ফুলে ওঠা
-
ভাটা (Ebb/Low Tide): পানি নেমে যাওয়া
-
-
ঘটনার সময়:
-
প্রতি ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট অন্তর জোয়ার ভাটা সংঘটিত হয়।
-
অর্থাৎ প্রতিদিন সমুদ্রের একই স্থানে দু’বার জোয়ার এবং দু’বার ভাটা ঘটে।
-
-
উপকূলীয় বৈশিষ্ট্য:
-
নদীর মোহনা থেকে উজানে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত জোয়ার ভাটা বেশি অনুভূত হয়।
-
সমুদ্রের মধ্যভাগ থেকে উপকূলের কাছে পানির উচ্চতা বেশি থাকে।
-
দেশের ভিতরে নদীপথে পানি প্রবেশ ও নেমে যাওয়া জোয়ার ভাটা নয়।
-
-
কারণ:
-
প্রাচীনকালে: নানা রকম অবাস্তব কল্পনা করা হতো।
-
বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা:
১. মহাকর্ষণ শক্তির প্রভাব (চন্দ্র ও সূর্য)
২. কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব (পৃথিবীর আবর্তন)
-
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 days ago
উচ্চতা বাড়লে বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা কী হয়?
Created: 2 days ago
A
হ্রাস পায়
B
বৃদ্ধি পায়
C
অপরিবর্তিত থাকে
D
কোনোটিই নয়
জলবায়ু ও উচ্চতা:
জলবায়ু:
-
জলবায়ু হলো কোনো স্থানের ৩০–৪০ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থা।
-
আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান: বায়ুর তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ।
-
প্রধান নিয়ামক:
-
অক্ষাংশ
-
উচ্চতা
-
সমুদ্র থেকে দূরত্ব
-
বায়ুপ্রবাহ
-
বনভূমি
-
সমুদ্রস্রোত
-
পর্বতের অবস্থান
-
ভূমির ঢাল ও মৃত্তিকা
-
উচ্চতা এবং জলবায়ু:
-
উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
-
সাধারণত প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতায় ৬° সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে।
-
একই অক্ষাংশের মধ্যে দুই স্থানের উচ্চতার পার্থক্যের কারণে জলবায়ু ভিন্ন হয়।
-
উদাহরণ: দিনাজপুর ও শিলং – একই অক্ষাংশে হলেও শিলং-এর উচ্চতা বেশি হওয়ায় তাপমাত্রা অনেক কম।
-
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 days ago
আবহাওয়ায় ৯০% আদ্রতা মানে-
Created: 3 months ago
A
বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ৯০%
B
১০০ ভাগ বাতাসে ৯০ ভাগ জলীয় বাষ্প
C
বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান সম্পৃক্ত অবস্থায় ৯০%
D
বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান বৃষ্টিপাতের সময়ের ৯০%
আর্দ্রতা
-
যখন বলা হয় আর্দ্রতা ৯০%, তখন বুঝায় যে বায়ু যতটা জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে তার ৯০% ইতোমধ্যেই বায়ুতে বিদ্যমান। একে বলে আপেক্ষিক আর্দ্রতা।
-
আপেক্ষিক আর্দ্রতা হলো—বায়ুমণ্ডলে বাস্তবিকভাবে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে, তার সাথে বায়ু সর্বোচ্চ যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে, তার শতকরা অনুপাত।
-
বায়ুতে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিকেই আর্দ্রতা বলা হয়।
-
কোনো অঞ্চলের আর্দ্রতা সেখানে বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।
-
বেশি আর্দ্রতা থাকলে সেই বায়ু জলবায়ুর ওপর বেশি প্রভাব ফেলে। ফলে, এমন এলাকায় দিনে প্রচণ্ড গরম এবং রাতে প্রবল ঠান্ডা অনুভূত হয়।
-
কারণ, আর্দ্র বায়ু সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে।
-
বর্ষাকালে অধিক আর্দ্রতার ফলে ফসল সহজেই রোগবালাই ও পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হয়।
-
শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে, অর্থাৎ বাতাস হয় শুষ্ক।
-
শীতকালে গড় আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকে প্রায় ৭২% থেকে ৮৫%।
-
আর গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে এটি বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৮৩% থেকে ৯০%-এ।
উৎস: কৃষি শিক্ষা প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 months ago