A
আরব লিগ
B
আসিয়ান
C
ওআইসি
D
ব্রিকস
উত্তরের বিবরণ
নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB)
নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা ব্রিকস (BRICS) দেশসমূহ দ্বারা গঠিত একটি বহুমুখী উন্নয়ন ব্যাংক। এর পূর্ববর্তী নাম ছিল ‘ব্রিকস ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’। ব্যাংকটির সদর দপ্তর সাংহাই, চীনে অবস্থিত।
বর্তমানে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্য সংখ্যা আটটি, যেখানে সর্বশেষ সদস্য হিসেবে মিশর এপ্রিল ২০২৫ সালে যোগদান করেছে। ব্যাংকটির দাপ্তরিক ভাষা ইংরেজি এবং বর্তমান সভাপতি দিলমা রুসেফ, যিনি এপ্রিল ২০২৫ থেকে পদে আছেন।
উৎস: নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
কোনটি 'ওআইসি'-এর অঙ্গসংস্থা নয়?
Created: 2 months ago
A
আন্তর্জাতিক ইসলামী আদালত
B
সাধারণ সচিবালয়
C
ইসলামী বাণিজ্য উন্নয়ন কেন্দ্র
D
ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক
OIC (The Organisation of Islamic Cooperation)
-
OIC-এর পূর্ণরূপ হলো The Organisation of Islamic Cooperation, যা একটি ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
-
এটি মুসলিম দেশগুলোর একটি রাজনৈতিক জোট হিসেবে কাজ করে।
-
গঠন করা হয় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সালে, মরক্কোতে অনুষ্ঠিত রাবাত সম্মেলনের মাধ্যমে।
-
OIC গঠনের মূল প্রেক্ষাপট ছিল ইসরাইলের দ্বারা আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগ।
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সংখ্যা ছিল ২৪টি।
-
বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭টি।
-
OIC-এর সদরদপ্তর অবস্থিত জেদ্দা, সৌদি আরব-এ।
-
বর্তমানে মহাসচিবের পদে কর্মরত আছেন ইব্রাহিম তাহা।
-
সংস্থার অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয় আরবি, ইংরেজি এবং ফরাসি।
-
প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬৯ সালে রাবাত, মরক্কোতে।
OIC-এর প্রধান অঙ্গসংস্থা সমূহ
-
ইসলামী শীর্ষ সম্মেলন
-
পররাষ্ট্র মন্ত্রী পরিষদ
-
স্থায়ী কমিটি
-
কার্যনির্বাহী কমিটি
-
ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক কোর্ট অফ জাস্টিস
-
স্বাধীন স্থায়ী মানবাধিকার কমিশন
-
স্থায়ী প্রতিনিধিদের কমিটি
-
সাধারণ সচিবালয়
-
সহায়ক অঙ্গ
-
বিশেষায়িত অঙ্গ
-
অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ইসলামী বাণিজ্য উন্নয়ন কেন্দ্র (Islamic Centre for Development of Trade) OIC-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান নয়।
উৎস: OIC-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
'ব্রেটন উডস ইনস্টিটিউট' নিচের কোন সংস্থাকে বোঝায়?
Created: 2 weeks ago
A
আইএমএফ
B
বিশ্বব্যাংক
C
এডিবি
D
আইডিবি
ব্রেটন উডস ইনস্টিটিউশনস বলতে আইএমএফ (IMF) ও বিশ্বব্যাংক (World Bank) - এই দুই আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বোঝানো হয়।
ব্রেটন উডস সম্মেলন
১৯৪৪ সালের ১ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ব্রেটন উডস শহরে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে এই সম্মেলনে বিশ্বের ৪৪টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল—যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর পুনর্গঠন, আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতকরণ এবং ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যব্যবস্থার রূপরেখা নির্ধারণ।
এই সম্মেলনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন আমেরিকান অর্থনীতিবিদ হ্যারি ডেক্সটার হোয়াইট এবং ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেইনস। তাঁদের দুজনকে ‘আইএমএফ’ ও ‘বিশ্বব্যাংক’-এর Founding Fathers বা প্রতিষ্ঠাতা পিতৃপুরুষ বলা হয়।
এই সম্মেলনের ফলেই জন্ম নেয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান—
-
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)
-
আন্তর্জাতিক পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংক (IBRD), যা বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের অংশ।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, IBRD-এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৬ সালের জুন মাসে, যদিও এর ভিত্তি স্থাপিত হয় ১৯৪৪ সালের সম্মেলনের মাধ্যমে।
এই দুটি প্রতিষ্ঠানকে একত্রে ‘ব্রেটন উডস ইনস্টিটিউশনস’ বলা হয়। আবার অনেক সময়, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংককে “ব্রেটন উডস জমজ” হিসেবেও অভিহিত করা হয়, কারণ তাদের উত্থান একই সম্মেলন থেকে।
তথ্যসূত্র:
i) World Bank Group
ii) U.S. Department of State (state.gov)

0
Updated: 2 weeks ago
উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা গঠিত হয়েছিল-
Created: 1 month ago
A
৪ এপ্রিল, ১৯৪৯
B
৩ জানুয়ারি, ১৯৫৪
C
২৬ মে ১৯৫৫
D
১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬
NATO (North Atlantic Treaty Organisation) হলো একটি আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতামূলক জোট, যা ৪ এপ্রিল ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উত্তর আটলান্টিক চুক্তির মাধ্যমে এই সংস্থা গঠিত হয় মূলত পশ্চিম ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে। প্রতিষ্ঠার সময় ১২টি দেশ ছিল এর সদস্য, আর বর্তমানে এটি ৩২টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত।
NATO-এর সদর দপ্তর ব্রাসেলস, বেলজিয়ামে অবস্থিত এবং বর্তমানে এর মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মার্ক রুট। মুসলিম দেশের মধ্যে আলবেনিয়া ও তুরস্ক এই জোটের সদস্য। সম্প্রতি সুইডেন ৩২তম সদস্য হিসেবে যোগদান করেছে।
এই সংস্থাটি একটি আন্তঃসরকারি সামরিক জোট, যা মূলত সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে। NATO-এর মূল আদর্শ বা স্লোগান হল "A mind unfettered in deliberation" অর্থাৎ অবাধ আলোচনা ও চিন্তার মাধ্যমে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
NATO-এর প্রথম ইউরোপের বাইরে অনুষ্ঠিত মিশন হয়েছিল আফগানিস্তানে, ২০০৩ সালে।
উৎস: NATO-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago