আইয়ুব খানের স্বৈরশাসনের পতন (১৯৬৯)
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
১৯৬৯ সালে গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব খানের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।
-
এই গণ–অভ্যুত্থানের ফলে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
-
পতনের পূর্বে তিনি ‘ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা’ তুলে নেন।
-
পতনের পর জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নতুন সামরিক সরকার ১৯৭০ সালে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের বাধ্য হয়।
-
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ববাংলার জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটে।
পটভূমি (আইয়ুব খানের ক্ষমতায় আসা):
-
১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট মনোনীত হন এবং পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করেন।
-
ইস্কান্দার মির্জা জেনারেল আইয়ুব খানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন।
-
তিন সপ্তাহের মধ্যেই ২৭ অক্টোবর আইয়ুব খান প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জাকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন।
-
পরের দিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন।
-
ক্ষমতা আরও দৃঢ় করতে ১৩ জন জেনারেলকে বরখাস্ত করেন এবং নিজেকে ফিল্ড মার্শাল উপাধিতে ভূষিত করেন।
-
রাজধানী স্থানান্তর: করাচি → রাওয়ালপিন্ডি → ইসলামাবাদ।
-
১৯৫৯ সালে ‘মৌলিক গণতন্ত্র’ নামে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা চালু করেন।
-
১৯৬০ সালে মৌলিক গণতন্ত্রের আস্থা ভোটে আইয়ুব খান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
-
১৯৫৮-১৯৬৯ পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর আইয়ুব খানের সামরিক শাসন অব্যাহত ছিল।
উৎস:
-
ইতিহাস ২য় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
-
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি।