ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC) প্রথম তৈরি করেন কে?
A
বিল গেটস
B
জ্যাক কেলবি
C
চার্লস ব্যাবেজ
D
টমাস ওয়াটসন
উত্তরের বিবরণ
ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC):-
-
আধুনিক কম্পিউটারের দ্রুত অগ্রগতির মূল উপাদান ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট।
-
উদ্ভাবক: ১৯৫৮ সালে জ্যাক কেলবি ট্রানজিস্টর, রেজিস্টর ও ক্যাপাসিটর সমন্বিত করে একটি সার্কিট তৈরি করেন, যা IC নামে পরিচিত।
-
সুবিধা:
-
কম্পিউটারের আকার ছোট হয়,
-
ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়,
-
কমে আসে কম্পিউটারের মূল্য,
-
হিসাব নিকাশের সময় কমে।
-
-
ঐতিহাসিক ব্যবহার:
-
১৯৬৮ সালে বারোস কোম্পানি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ভিত্তিক B-2500 ও B-3500 কম্পিউটার উপস্থাপন করে।
-
IC চিপ দিয়ে তৈরি প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার: IBM System 360।
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি ও ব্রিটানিকা।

0
Updated: 1 month ago
n-টাইপ অর্ধপরিবাহীতে কোনটি বেশি থাকে?
Created: 2 weeks ago
A
ধনাত্মক আয়ন
B
ঋণাত্মক আয়ন
C
হোল
D
মুক্ত ইলেকট্রন
অর্ধপরিবাহী ডায়োড বা জাংশন ডায়োড মূলত p-টাইপ ও n-টাইপ অর্ধপরিবাহীকে এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করে তৈরি করা হয়, যা প্যার্টিকেল এবং বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সংযোগের ফলে একটি p-n জাংশন তৈরি হয় যা বৈদ্যুতিক প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে।
-
একটি p-টাইপ অর্ধপরিবাহী ও একটি n-টাইপ অর্ধপরিবাহীকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করলে সংযোগ পৃষ্ঠ বা জাংশন তৈরি হয়, যাকে p-n জাংশন বা জাংশন ডায়োড বলা হয়। দুইটি অর্ধপরিবাহী মিলিয়ে গঠিত হওয়ায় একে অর্ধপরিবাহী ডায়োডও বলা হয়।
-
বাস্তবে দুটি আলাদা অর্ধপরিবাহীকে জোড়া লাগিয়ে ডায়োড তৈরি করা হয় না; বরং একটি বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহীর এক অর্ধাংশে ত্রিযোজী অপদ্রব্য এবং অন্য অর্ধাংশে পঞ্চযোজী অপদ্রব্য মিশিয়ে p-n জাংশন তৈরি করা হয়।
-
একটি p-টাইপ অর্ধপরিবাহীর ভেতরে বহুসংখ্যক হোল এবং অতি অল্প সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে, আর n-টাইপ অর্ধপরিবাহীতে বহুসংখ্যক মুক্ত ইলেকট্রন এবং অতি অল্পসংখ্যক হোল থাকে।
-
p-n জাংশন তৈরি হলে p-অঞ্চলের হোলের সংখ্যা n-অঞ্চলের হোলের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় হোলগুলো n-অঞ্চলে প্রবাহিত হওয়ার চেষ্টা করে, যাতে উভয় অঞ্চলে হোলের ঘনত্ব সমান হয়।
-
একইভাবে n-অঞ্চল থেকে কিছু ইলেকট্রন p-অঞ্চলে চলে আসে। p-অঞ্চল থেকে কিছু হোল n-অঞ্চলে প্রবেশ করলে মুক্ত ইলেকট্রনের সাথে মিলিত হয়ে তড়িৎ নিরপেক্ষ হয়, ফলে n-অঞ্চলে সমসংখ্যক ধনাত্মক দাতা আয়ন তৈরি হয়। n-অঞ্চল থেকে ইলেকট্রন p-অঞ্চলে গেলে ঋণাত্মক গ্রাহক আয়ন তৈরি হয়।
-
ফলে জাংশনের সংলগ্ন অঞ্চলে p-অঞ্চলে ঋণাত্মক আয়ন এবং n-অঞ্চলে ধনাত্মক আয়ন তৈরি হয়। যখন পর্যাপ্ত গ্রাহক ও দাতা আয়ন তৈরি হয়, তখন হোল ও ইলেকট্রনের ব্যাপন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
-
p-n জাংশনের বিভব বাঁধা অংশে n-অঞ্চলে ধনাত্মক আয়ন এবং p-অঞ্চলে ঋণাত্মক আয়ন থাকে। এই অঞ্চলে মুক্ত চার্জ বাহক অনুপস্থিত, এবং এটি নিঃশেষিত স্তর বা ডিপ্লেশন স্তর (Depletion layer) নামে পরিচিত।

0
Updated: 2 weeks ago
ইলেকট্রনিকস পদ্ধতির উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বৈদ্যুতিক মোটর
B
জলবাষ্প ইঞ্জিন
C
টেলিফোন লাইন
D
টেলিভিশন
ইলেকট্রনিকস পদ্ধতি:
বিশেষ কোনো প্রয়োগের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত অনেকগুলি ইলেকট্রনিকস বর্তনীকে সমষ্টিগতভাবে ইলেকট্রনিকস পদ্ধতি বলা হয়।
উদাহরণ: কম্পিউটার, টেলিভিশন, রেডিও, ইলেকট্রনিকস ঘড়ি, ক্যালকুলেটর ইত্যাদি।
ডিজিটাল পদ্ধতি:
ডিজিটাল সংকেত হলো বিচ্ছিন্ন তড়িৎ সংকেত, যার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মান নির্ধারিত।
এই দুই মানের মধ্যে অন্য কোনো স্তর নেই। সময়ের সাথে মান পরিবর্তিত হলেও তা সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্নে থাকে।
ডিজিটাল সংকেত চৌকো তরঙ্গ (square waves) আকারে থাকে।
ক্রম-পরিবর্তনশীল এনালগ সংকেতের বদলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্তর পরিবর্তনশীল সংকেত ব্যবহার করা হয়।
এই সংকেতকে ডিজিটাল বা বাইনারী (binary) সংকেত বলা হয়।
দুটি পৃথক অবস্থায় কাজ করা যন্ত্রাংশের মাধ্যমে এই সংকেত তৈরি করা যায়। উদাহরণ:
- ট্রানজিস্টারের সচল বা অন (on) এবং অচল বা অফ (off) অবস্থা।
- প্রজ্জ্বলিত বাতি ও নির্বাপিত বাতি, বা টেপের চৌম্বকায়িত ও অচৌম্বকায়িত অবস্থা।
ডিজিটাল সংকেতের স্তর দুটি প্রকাশ করা হয়: ০ এবং ১ (0 and 1), সত্য ও মিথ্যা (true and false), বা উচ্চ ও নিম্ন (high and low)।
জনপ্রিয় উদাহরণ: ডিজিটাল ঘড়ি, ক্যালকুলেটর।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago